Almond Benefits: আমন্ড হৃদয় ও মস্তিষ্ককে বাঁচানোর 'ব্রহ্মাস্ত্র', কিন্তু কীভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার?

আমন্ড বা কাঠবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে আমন্ড সঠিকভাবে খেলে তা হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, ত্বক এবং পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী সাব্যস্ত হয়।

এতে ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকে। তবে, কীভাবে, কখন এবং কত পরিমাণ বাদাম খাওয়া উচিত তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এর উপকারিতা সর্বাধিক লাভ করা যায়।

আমন্ড খাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হল সকালে খালি পেটে। এক সময়ে প্রতি বাঙালি বাড়িতে যে কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠে সারা রাত ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খাওয়ার প্রথা প্রচলিত ছিল, এখন তা অনেক পরিবার থেকে উঠে গিয়েছে। সকালে রাতভর জলে ভেজানো বাদাম খেলে শরীর সহজেই হজম করতে পারে এবং সর্বাধিক পুষ্টি লাভ করে।

ভিজিয়ে রাখলে আমন্ডের বাইরের ত্বক নরম হয় এবং হজম করা সহজ হয়। যদি কেউ আমন্ড চিবিয়ে খায়, তাহলে এটি দাঁত এবং মাড়ির জন্যও উপকার দেয়। মিক্সারে পিষে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে খেলে পুষ্টির সর্বাধিক শোষণ হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান যে, দিনে ৫ থেকে ৭টি আমন্ড খাওয়া যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। বেশি পরিমাণে খেলে ক্যালোরি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়তে পারে। এছাড়াও, দিনের বেলায় বেশি পরিমাণে আমন্ড খাওয়া হজম প্রক্রিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই, সঠিক পরিমাণে আমন্ড খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত এবং সঠিকভাবে আমন্ড খাওয়া হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এর মধ্যে থাকা ভাল ফ্যাট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। আমন্ড খাওয়া মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে শিশু এবং শিক্ষার্থীদের জন্য।

এছাড়াও, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বার্ধক্যের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তি বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

আমন্ড খাওয়া কেবল অনেক দিক থেকেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সঠিক সময়, সঠিক পরিমাণে গ্রহণ এবং ভিজিয়ে বা পিষে খাওয়ার মাধ্যমে এর পুষ্টিগুণ থেকে সর্বাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। এই ছোট নিয়ম মেনে চললেই হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, হজম এবং ত্বকের জন্য স্বাস্থ্য উপকারিতা নিশ্চিত করা যেতে পারে।