Priya Marathe Death News: মাত্র ৩৮ বছরেই মর্মান্তিক মৃত্যু, ক্যানসারই কেড়ে নিল অভিনেত্রী প্রিয়াকে, কেন অল্প বয়সীদের মধ্যে হু হু করে বাড়ছে মারণ রোগ? ভুলেও এড়াবেন না 'এই' লক্ষণ

বিনোদন জগতে বিরাট দুঃসংবাদ৷ প্রখ্যাত টিভি অভিনেত্রী এবং কৌতুকাভিনেতা প্রিয়া মারাঠে মারা গেছেন। ৩৮ বছর বয়সে, তিনি ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন, কিন্তু ৩১ অগাস্ট ২০২৫ সালে মুম্বইতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি গত এক বছর ধরে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। চিকিৎসা চলাকালীন তার স্বাস্থ্যের কোনও উন্নতি হয়নি এবং রবিবার সকালে তিনি সকলকে কাঁদিয়ে চলে যান।

অভিনেত্রী প্রিয়া গত এক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে ছিলেন। তার কেরিয়ার সম্পর্কে বলতে গেলে, তিনি মারাঠি টিভি দিয়ে তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। পরে, তিনি বালাজি টেলিফিল্মসের অনুষ্ঠান 'কসম সে'-তে বিদ্যা বালির চরিত্রে অভিনয় করে হিন্দি দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি কমেডি শো 'কমেডি সার্কাস'-এর প্রথম সিজনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেখানে তার কমিক টাইমিং তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছিল।

'পবিত্র রিশতা'র মাধ্যমে ঘরে ঘরে পরিচিতি পাওয়া প্রিয়া মারাঠে, তার সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র ছিল 'পবিত্র রিশতা'-তে বর্ষা সতীশের ভূমিকা। এই অনুষ্ঠানটি তাকে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিখ্যাত করে তুলেছিল। এর পাশাপাশি, তিনি ২০১২ সালে 'বড়ে আচ্ছে লাগে হ্যায়'-তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। 'তু তিথে মে', 'জয়স্তুতে', 'ভাগে রে মন' এবং 'ভারত কা বীর পুত্র - মহারাণা প্রতাপ'-এর মতো অনুষ্ঠানে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছিলেন।

২০১২ সালে, প্রিয়া মারাঠে অভিনেতা শান্তনু মোগেকে বিয়ে করেন। শান্তনু হলেন প্রবীণ মারাঠি অভিনেতা শ্রীকান্ত মোগে-র ছেলে। প্রিয়াকে তার ঘনিষ্ঠরা সবসময় তার কাজের প্রতি একজন প্রেমময়, দৃঢ় এবং নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবে মনে রাখবে।

নারী স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট অনুসারে, গত কয়েক বছরে ৩০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ক্যানসারের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি কেবল উন্নত সনাক্তকরণ কৌশলের কারণে নয়, আমাদের জীবনধারা এবং পরিবেশের পরিবর্তনও একটি বড় কারণ। প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ক্যানসারের ক্ষেত্রে প্রায় ৭৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ক্যানসারকে বয়স্কদের রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু এখন এটি কম বয়সেও দেখা যাচ্ছে।

আজকাল মানুষের খাদ্যতালিকায় জাঙ্ক ফুড, বেশি চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে। এই অভ্যাসগুলি শরীরে স্থূলতা বৃদ্ধি করে এবং স্থূলতা স্তন, কোলন এবং কিডনি ক্যানসারের মতো অনেক ধরণের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে দূষণ, প্লাস্টিক, রাসায়নিক এবং খারাপ বাতাসও ক্যানসারের ঘটনা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গবেষণায়, মাইক্রো-প্লাস্টিককেও ক্যানসারের একটি নতুন হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে এখন অল্প বয়সেও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যানসার স্ক্রিনিং করা জরুরি। বিশেষ করে যাদের পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস রয়েছে তাদের জন্য।

৩০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ক্যানসারের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা একটি গুরুতর সতর্কতা। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, দূষণ এড়ানো এবং নিয়মিত চেকআপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সচেতন থাকা এই বিপদ এড়াতে সবচেয়ে সহজ উপায়। (Disclaimer: এখানে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। কোনও প্রতিকার চেষ্টা করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। News18 বাংলা কোনওটিকেই সমর্থন করে না।)