90 Days without Sugar Health Benefits: একটানা ৯০ দিন চিনি না খেলে কী কী হবে? রেজাল্ট জানলে চমকে উঠবেন...

বর্তমানে আমরা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতায় বেশি অভ্যস্ত। চিনি হল এমন এক ‘আল্ট্রা প্রসেসড’ উপাদান, যা শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। যদিও এটি কার্বোহাইড্রেটের উৎস, কিন্তু এত কেমিক্যাল থাকে যে শরীরে নানাবিধ সমস্যা তৈরি করে। তাই প্রশ্ন ওঠে, যদি কেউ ৩ মাস অর্থাৎ ৯০ দিন চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেয়, তবে শরীরে কী পরিবর্তন আসে?

চিনি ছাড়ার অর্থ কী?সিকে বিড়লা হাসপাতাল, দিল্লির ইন্টারনাল মেডিসিন ডিরেক্টর ডঃ মণীষা অরোরা জানান, চিনি ছাড়ার অর্থ হলো টেবিল সুগার, হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ এমনকি মধুর মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান থেকেও দূরে থাকা। চকলেট, ক্যান্ডি, প্যাকেট জুস, বিস্কুট ইত্যাদিতে থাকা গোপন চিনি থেকেও দূরে থাকতে হবে। কার্বোহাইড্রেট দরকারি হলেও, অতিরিক্ত মিষ্টি শরীরের ক্ষতি করে।

শুরুতে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারেচিনি ছাড়ার প্রথম দিকেই মাথা ব্যথা, রাগ, ক্লান্তি এবং মিষ্টির প্রতি প্রবল আকর্ষণ দেখা যায়। ডঃ অরোরা বলেন, মস্তিষ্কে শক্তির অভ্যাস গড়ে ওঠায় এমনটি হয়। সাধারণত নতুন অভ্যাস গড়তে ২১ দিন এবং সেটিকে স্থায়ী করতে ৬৬ দিন সময় লাগে।

৯০ দিন চিনি না খেলে কী হয়?৩ মাস চিনি ছাড়ার পর শরীর ও মনের নানা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। ওজন কমে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ত্বক পরিষ্কার হয়, পেটের হজম ভালো হয়, এবং মুড স্টেবল থাকে। দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো হয় এবং ক্যাভিটির ঝুঁকি কমে যায়।

মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ কমে যায়ডঃ মণীষা আগরওয়াল জানান, প্রথমদিকে ক্লান্তি ও মুড সুইং থাকলেও ২য় বা ৩য় সপ্তাহে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং ভালো লাগা শুরু হয়। ঘুম ভালো হয়, মন শান্ত থাকে এবং পেটের ফ্যাট কমতে থাকে।

সময়ের সাথে স্বাদের পরিবর্তনযত দিন যায়, শরীর ও জিভ মিষ্টির কম পরিমাণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে ফলমূলের মতো প্রাকৃতিক খাবারেই মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমে যায়। মস্তিষ্কের একাগ্রতা বাড়ে এবং মানসিকভাবে প্রশান্তি আসে।

কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুনডাঃ অরোরা বলেন, নিজে থেকে চিনি ছাড়ার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ শক্তির জন্য চিনি ছাড়লে বিকল্প উৎস প্রয়োজন হয়। তাই পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ ও ডায়েটিশিয়ানের গাইডেন্স জরুরি।

চিনি ছাড়ুন, সুস্থ জীবন বেছে নিনডাঃ আগরওয়াল বলেন, চিনি ছাড়ার সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও, দীর্ঘমেয়াদে এটি শরীর ও মনের জন্য খুবই উপকারী। তাই আজ থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে চিনি বর্জন করুন এবং একটি সুস্থ জীবনধারার দিকে এগিয়ে যান।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।