গত বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী মোদি লালকেল্লার বুক থেকে ঘোষণা করেছিলেন যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ৭৫ টি বন্দে ভারত ট্রেন দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তকে জুড়ে দেবে। ভারতীয় রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত (Vande Bharat Express)২০২২ এর শুরুতেই এবার দেশের ৪৪ টি নতুন রুটে (IRCTC) দৌড়বে।
দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, পাটনা, লখনউ, দেরাদুন, রাঁচি, ভোপাল, চেন্নাই সহ একাধিক মেট্রো শহরের মধ্যে খুব শিগগিরিই চালু (IRCTC) হতে চলেছে বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) ট্রেনটি। এমনই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় রেল। শুধু তাই নয়, অপেক্ষায় আর বেশি নয়। নতুন বছর পড়তেই এই সুযোগ আসতে চলেছে। রেলমন্ত্রী (Indian Railways) অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ২০২২-২৩এর মধ্যে এই নতুন রুটে বন্দে ভারত দৌড়তে শুরু করবে।
টেকনো-আর্থিক যোগ্যতা অনুযায়ী ভারতীয় কোম্পানিগুলির টেন্ডার প্রক্রিয়ায় (IRCTC) এই বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) ট্রেনকে কেন্দ্র করে কিছুটা পরিবর্তন আসে। রেল মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Indian Railways) কোচ উৎপাদনের জন্য নয়টি সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরপর তাদের মধ্যে থেকে যোগ্য সংস্থাকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হলেই কোচ উৎপাদন পর্ব শুরু হবে।
জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ সালে ৪২ টি বন্দে ভারত ট্রেন (Vande Bharat Express) দেশের বিভিন্ন মহানগরে চলাচল শুরু করতে চলেছে। ভারতীয় রেল সূত্রের খবর, দুটি প্রটোটাইপ বন্দে ভারত ট্রেন খুব শিগগিরিই পরীক্ষামূলকভাবে চলতি আর্থিক বছরে চলতে শুরু করবে। জানা গিয়েছে, ২০২২ তে যাবতীয় সরকারি প্রক্রিয়া শেষের পর অগাস্ট মাস থেকে এই ট্রেনের কোচ উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।
যে সমস্ত রুটে এই ট্রেন (Indian Railways)দৌড়তে শুরু করবে, তা হল, দিল্লি-হাওড়া, দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-জম্মু, দিল্লি-দেরাদুন, দিল্লি-ভোপাল। ট্রেনগুলির কোচের উৎপাদন ICF-চেন্নাই, MCF-রায়বরেলি এবং RCF-কাপুরথালাতে হবে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রী সুবিধার কথা ভেবে বন্দে ভারত ট্রেনগুলিতে একাধিক পরিবর্তন আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
নতুন এই ট্রেনগুলিতে পুশব্যাক সিট থাকবে। যা সুবিধামতো সামনে পেছনে সরানো যায়। ট্রেনটিতে সেন্ট্রালাইজড কোচ থাকবে, যাতে পুরো ট্রেনটিকে এক জায়গা থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। ভেন্টিলেশনের কাজ তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থাতে। গোটা ট্রেনে জীবাণু বিহীন বাতানুকূল প্রণালীতে বায়ুচলাচল করানোর ব্যবস্থা থাকবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে বায়ুচলাচল ও আলোর বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে এই বিশেষ বন্দে ভারত ট্রেনে (IRCTC) ।