Tangra Unnatural Deaths: ইচ্ছা করেই কি বাড়ির সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রাখেন দুই ভাই? 'ক্রাইম থ্রিলার'কেও হার মানাবে ট্যাংরা কাণ্ড
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
- Reported by:Rounak Dutta Chowdhury
Last Updated:
ট্যাংরায় প্রণয় এবং প্রসূনের চারতলা বাড়ি। বাড়িটিতে মোট ২০টা মতো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো। একসঙ্গে সব সিসিটিভি খারাপ হয়ে থাকবে, তা হতে পারে না। ফলে পুলিশের অনুমান, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন
advertisement
শুক্রবার ট্যাংরার অটল শূর রোডের বাড়িতে গিয়েছিল ফরেন্সিক মেডিসিন দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পাননি তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, ক্যামেরাগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। বিশেষ পাসওয়ার্ড দিয়ে দে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এখনও তদন্তকারীরা তা দেখতে পাননি।
advertisement
advertisement
ট্যাংরায় প্রণয় এবং প্রসূনের চারতলা বাড়ি। বাড়িটিতে মোট ২০টা মতো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো। বাইরে থেকেই ছয় থেকে সাতটি সিসি ক্যামেরা চোখে পড়ে। কিন্তু পুলিশ এখনও কোনও ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে পায়নি। একসঙ্গে সব সিসিটিভি খারাপ হয়ে থাকবে, তা হতে পারে না। ফলে পুলিশের অনুমান, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন।
advertisement
মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যেই কি খুন দে পরিবারের দুই গৃহবধূ ও নাবালিকা? এরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।ময়না তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের ৩৬-৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।যদিও দে পরিবারের দুই ছেলে প্রণয় এবং প্রসূন দের বয়ানের সঙ্গে ময়না তদন্তের রোপোর্টের বিস্তর ফারাক পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
advertisement
ট্যাংরার দে বাড়িকে ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। কে বা কারা ওই বাড়ির তিন সদস্যকে খুন করলেন, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। খুনি কি দুই ভাই? না বাইরের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? সেই প্রশ্নও উঠছে। বাড়ির তিনতলায় পাওয়া গিয়েছে রক্তমাখা ছুরি, জামাকাপড়। কিন্তু তিন জনের দেহ পড়ে ছিল দোতলায়। সে ক্ষেত্রে তিনতলায় ছুরি গেল কী করে? রক্তমাখা জামাকাপড়ই বী কার? চারদিকে কেন রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে? সেই প্রশ্নও উঠছে।
advertisement
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রণয় ও প্রসূনের দাবি, ১৭ তারিখ রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন সকলে। পর দিন তাদের ঘুম ভাঙে। কিন্তু মহিলারা ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় তাঁদের হাতের শিরা কাটা হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, মৃত‍্যুর ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া হয়েছিল। তাই দুজনের বয়ানের সঙ্গে এখানেও ফারাক রয়েছে।
advertisement
ময়নাতদন্তের অনুসন্ধান থেকে পুলিশ মনে করছে, ১৮ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রাতরাশ বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়া হতে পারে। তার পরেই দুই বৌকে খুন করা হয়েছে। এবং রাতের এলাকার মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন প্রণয় ও প্রসূন-রা।দুই মহিলার শিরা কে কাটল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটেনি।
advertisement
প্রসূন অর্থাৎ বাড়ির ছোট ছেলে দাবি করেছেন, তিনি শিরা কেটেছেন। তাহলে সেই সময় প্রণয় কী করছিলেন?ধোঁয়াশা রয়েছে, কতটা গভীর ঘুমে বা তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন রোমি ও সুদেষ্ণা দে যে তাঁদের হাতে এত গভীর ভাবে কাটা হল, তারপরেও কোনও প্রতিরোধ করলেন না? নাকিপ্রতিরোধ করা হয়েছিল? সেই সময় বড় ভাই প্রণয় চেপে ধরেছিলেন?বাড়ির তিন তলা থেকে উদ্ধার হওয়া রক্ত মাখা জামা কাপড় কার?