RG Kar Case: মুখোমুখি বসালেই ফাঁস 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র'? সিবিআই-এর হাতে এবার বড় তাস! কী ঘটতে চলেছে আজ?
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
- Reported by:Arpita Hazra
Last Updated:
RG Kar Case: ৯ অগাস্ট রাতে মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসকের। সেইদিন রাতভর কী চলেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে? মৃত্যুর ঘটনা কখন জানতে পারেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? তারপরে কাকে জানান তিনি? কখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল?
advertisement
*৯ অগাস্ট রাতে মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসকের। সেইদিন রাতভর কী চলেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে? মৃত্যুর ঘটনা কখন জানতে পারেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? তারপরে কাকে জানান তিনি? কখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল? তারপর থেকে দীর্ঘ সময় কী কথা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে? কেন সুইসাইড বলা হয়েছিল?...এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবারে সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সন্দীপকে ১৮ দফা জিজ্ঞাসাবাদের পরে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরে সিবিআই সম্প্রতি খুন এবং ধর্ষণের মামলাতেও তাকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে, অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতারের আগে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হত তাকে। এবারে আর আলাদা আলাদা নয়, মুখোমুখি বসিয়ে সাঁড়াশি চাপে ফেলার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
advertisement
*তদন্তকারীদের দাবি, ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল, সেই তথ্যই উঠে এসেছে কল ডিটেলসে। ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত তাদের দু'জনের মধ্যে কথা হয়েছিল। এমনকি টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী, সন্দীপ ও অভিজিৎ মণ্ডল একাধিকবার দেখা করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। অভিজিৎ মণ্ডল ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত নিয়মিত আরজি করে যাতায়াত করেছেন, সেই তথ্যও মিলেছে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৯ অগাস্ট চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃতদেহ সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়। পুলিশের তরফে অভিজিৎ ও তাঁর সহযোগীরা প্রথম ওই সেমিনার হলে পৌঁছন। এরপরে ওই সেমিনার হলে থিকথিকে ভিড় হয়ে যায়, দাবি তদন্তকারীদের। সে ক্ষেত্রে মৃতদেহের আশপাশের নমুনা রক্ষার মূল দায়িত্ব ছিল তার। কিন্তু অভিজিৎ সেই দায়িত্ব পালন করেননি বলে অভিযোগ। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় একের পর এক তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*সিবিআইয়ের দাবি, টালা থানার ওসি খবর পেয়েছিলেন সকাল ১০:০৩ মিনিটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন ১১'টা নাগাদ। মারাত্মক ঘটনার খবর পেয়েও দেরি করেছিলেন। ৫৭ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন, যেখানে টালা থানা থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। ৫৪২ নম্বর জিডিই এন্ট্রিতে মৃতদেহ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। জিডিই-তে বলা হয়েছিল, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু একজন চিকিৎসক ততক্ষণে পরীক্ষা করে বলেছিলেন মৃত অবস্থায় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কিছু ব্যক্তির সঙ্গে ওসি টালাও ছিলেন। তথ্য পরিবর্তন করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে, এমনই অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, কগনিজেবল অফেন্স বা অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও সঠিক আইন মেনে এফআইআর করা হয়নি। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*অভিযোগ, ঘটনাস্থল বা ক্রাইন সিন সুরক্ষিত করা হয়নি নিয়ম মেনে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়েছে, যা অভিযুক্ত সঞ্জয় ও অন্য বেশ কয়েকজনকে প্রটেক্ট করা হয়েছে তথ্য প্রমাণ নষ্ট করার মাধ্যমে। মৃতদেহ দেখে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করতে দেরি করা হয়েছে। এমনকি ইনকোয়েস্ট ও ময়না তদন্ত করার ক্ষেত্রেও সময় নষ্ট করা হয়েছে। ভিডিওগ্রাফি ত্রুটিপূর্ণ। গাফিলতি ছিল ওসি টালার। নমুনা সংগ্রহের যে ভিডিওগ্রাফি তা ত্রুটিপূর্ণ। অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের আড়াল করতেই এই চেষ্টা বলে দাবি। সিবিআইয়ের কাছে সত্য বলা হয়নি। গোপন করা হয়েছে । ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করে অন্য কারা এই ষড়যন্ত্র ও অপরাধে সামিল জানতে চাইছে সিবিআই। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*তদন্তকারীদের কথায়, ঘটনাক্রম অনুযায়ী সেমিনার হলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও টালা থানার ওসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি মাত্র সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। তারও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ধোঁয়াশা ও অস্পষ্ট। মৃতদেহ দ্রুত দাহ করার ক্ষেত্রেও অভিজিতের অতিসক্রিয়তার নানা ইঙ্গিত মিলেছে বলে অভিযোগ। ফলে সেদিন রাত থেকে কী কী ঘটেছিল, তা জানতে এদিন মুখোমুখি জেরা করা করতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সংগৃহীত ছবি।