RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ! বিনীত গোয়েলের সঙ্গে CBI অফিসার সম্পত মীনার কী 'সম্পর্ক'! কোন চার জনকে নিশানা আইনজীবীর?

আরজি কর ধর্ষণ ও খুনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তে স্ট‍্যাটাস রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে চতুর্থ স্টেটাস রিপোর্ট জমা।

নতুন করে সাত জনের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। ১০ জুন থেকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে সাত জনকে এক্সজামিন করা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পুনঃরায় এক্সজামিন করা হচ্ছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত চলছে বলে রিপোর্টে জানাল সিবিআই।

আজও সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী। কলকাতা পুলিশ যে তদন্ত করেছিল, সেখানেই তদন্ত থমকে আছে সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে, নতুন করে কী উঠে এসেছে? প্রশ্ন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হল, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট কেন দিতে পারল না সিবিআই ? প্রশ্ন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর।

নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন তোলেন তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও সিবিআইয়ের সিনিয়র অফিসার সম্পত মীনার সম্পর্ক নিয়েও। দুজনেই ব্যাচমেট। তাহলে কীভাবে ব‍্যাচ মেটের বিরুদ্ধে সম্পত মীনা তদন্ত করবে! এমনই প্রশ্ন নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবীর।

যদিও সিবিআইয়ের তরফে আদালতে উপস্থিত সিবিআইয়ের স্পেশাল পিপি এই ধরনের অভিযোগ নসাৎ করেন। দুজন সিনিয়র অফিসার ব্যাচ মেট হওয়া কোনও অপরাধ নয়। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ফুটেজ এক্সজামিন করা হয়েছে। বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অপরাধে যুক্ত থাকার কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

নির্যাতিতার পক্ষে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, হাথরাসের ঘটনায় একজনের শাস্তি হয়েছে। তিনজন বেকসুর খালাস পেয়েছে। সেই ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসার ইনি ছিলেন। ওঁর সিনিয়র ছিলেন সম্পত মীনা। বিনীত গোয়েল এবং সম্পত মীনা ব্যাচ মেট। তাই ব‍্যাচ মেটের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে কীভাবে?

সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ব‍্যাচ মেট হতে পারেন, তা তো কোনও অপরাধ নয়। অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের ডিএনএ পাওয়া গেল। তাহলে কি তদন্ত অন্য দিকে করব! সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। একাধিক ব‍্যক্তির বয়ান রেকর্ড হয়েছে। বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বিচারক বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে কী দেখা গিয়েছে? সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ৩২টি সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখা হয়েছে। কে কখন এসেছে, বেরিয়ে দেখা হয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, হাথরাসে যা হয়েছে তা কোর্ট অর্ডারে আছে। আমরা মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তদন্ত করেছি। আমরা ভয় পাই না। তদন্ত করছি।

নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষের আইনজীবী কোর্টের উদ্দেশ্যে বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর জন‍্য আরও দুটো রাস্তা আছে। ওরা যে ফুটেজে সঞ্জয়ের উপস্থিতি দেখাচ্ছেন, সেটি একটি সিসিটিভির ফুটেজ। ওদের একটাই বক্তব্য, সাজা করিয়ে দিয়েছি। আদালত তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি কী আছে? চার জন চিকিৎসারত ছিলেন ওই রাতে, তাদের কেন কাস্টডি নিল না সিবিআই?

সিবিআই পাল্টা আদালতে বলেন, আরজি কর ছাড়া আমরা বাইকের ট্রাফিকের ফুটেজ এক্সজামিন করেছি। সঞ্জয়ের ডিএনএ ম‍্যাচ করেছে। যে চার জনের কথা বলা হচ্ছে, তাদের লাই ডিটেকশন টেস্ট হয়েছে। যারা জড়িত নন, তাদের কেন আমরা গ্রেফতার করব? তথ‍্য প্রমাণ না পেলে কীভাবে গ্রেফতার করা হবে?