দরজা ভাঙতেই হাড়হিম দৃশ্য...! মেঝেতে লুটিয়ে দুই দেহ, গুমরাচ্ছে একজন, ট্যাংরা কাণ্ডের বিভীষিকার ছায়া রাজারহাটে?
- Reported by:Sudipta Sen
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Rajarhat News: ভিতর থেকে ভেসে আসছে অস্বাভাবিক আওয়াজ, বাইরে নিউজ পেপার! দরজা ভাঙতেই...! রাজারহাটে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার! দু'জনের মৃত্যু হাসপাতালে।
রাজারহাটে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন জনের দেহ। তিনজনের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হলেও বেঁচে গিয়েছেন একজন। স্ত্রী ও শাশুড়ি-সহ জামাই সঞ্জয় দে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে মনে করছে বাড়ির মালিক। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে স্ত্রী ও শাশুড়ি মারা যান। তবে বেঁচে গিয়েছেন জামাই সঞ্জয় দে। তাঁকে ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে রাজারহাটের নারায়ণপুরে বাসিন্দা সংযোগ শেয়ারে মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাজারে প্রচুর দেনা আছে বলেও প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। রাজারহাটের নারায়ণপুরে বাবলাতলা এলাকার এক বাড়িতে নীচের তলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন সঞ্জয় দে। বয়স আনুমানিক ৫৪ বছর। সঙ্গে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি। তার বাবা-মা থাকতেন রাজারহাটেরই অন্য আরেকটি বাড়িতে।
advertisement
advertisement
বাড়িওয়ালা জানাচ্ছে, গত রবিবারের পর থেকে তাঁদের কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে কাগজ দিয়ে গেলে কাগজ পর্যন্ত পড়ে ছিল বাইরেই। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়িওয়ালার সন্দেহ হলে এবং ভিতর থেকে অস্বাভাবিক আওয়াজ শোনা গেলে অর্থাৎ গোমড়ানোর আওয়াজ শোনা গেলে বাড়ির মালিক রূপম সাহা নারায়ণপুর পুলিশ স্টেশনে খবর দেয়।
advertisement
এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছলে স্থানীয় কাঠমিস্ত্রিকে খবর দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় সঞ্জয়ের স্ত্রী ও শাশুড়ি মাটিতে পড়ে রয়েছেন অবচেতন অবস্থায় এবং সঞ্জয় নিজে গুমরাচ্ছেন। এরপর পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সঞ্জয়ের স্ত্রী ও শাশুড়িকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
advertisement
হাসপাতালেই সঞ্জয়ের বয়ান নিয়েছে পুলিশ। সঞ্জয়ের বয়ান অনুযায়ী, সঞ্জয় দে নিজে কাজ করতেন শেয়ার মার্কেটে, আর এই শেয়ার মার্কেটে কাজ করার কারণে বহু টাকা লস হয় এবং দেউলিয়া হয়ে যান তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক ও দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে কি করবেন না ঠিক করতে পেরে আত্মঘাতী হওয়ার পথ বেছে নেন।
advertisement
জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণে দেনা হয়ে গিয়েছিল সেই কারণে আগেই বাড়ি বাইক থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই টাকা দিয়ে কিছু মানুষের দেনা শোধ করেছিলেন তারপরে পাওনাদারদের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেবী পার্ক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন তাঁরা। এরপরেও বহু পাওনাদার যোগাযোগ করছিল শেষমেষ তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement









