দরজা ভাঙতেই হাড়হিম দৃশ্য...! মেঝেতে লুটিয়ে দুই দেহ, গুমরাচ্ছে একজন, ট্যাংরা কাণ্ডের বিভীষিকার ছায়া রাজারহাটে?

Last Updated:
Rajarhat News: ভিতর থেকে ভেসে আসছে অস্বাভাবিক আওয়াজ, বাইরে নিউজ পেপার! দরজা ভাঙতেই...! রাজারহাটে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার! দু'জনের মৃত্যু হাসপাতালে।
1/11
রাজারহাটে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন জনের দেহ। তিনজনের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হলেও বেঁচে গিয়েছেন একজন। স্ত্রী ও শাশুড়ি-সহ জামাই সঞ্জয় দে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে মনে করছে বাড়ির মালিক। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে স্ত্রী ও শাশুড়ি মারা যান। তবে বেঁচে গিয়েছেন জামাই সঞ্জয় দে। তাঁকে ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজারহাটে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন জনের দেহ। তিনজনের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হলেও বেঁচে গিয়েছেন একজন। স্ত্রী ও শাশুড়ি-সহ জামাই সঞ্জয় দে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে মনে করছে বাড়ির মালিক। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে স্ত্রী ও শাশুড়ি মারা যান। তবে বেঁচে গিয়েছেন জামাই সঞ্জয় দে। তাঁকে ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছে।
advertisement
2/11
জানা গিয়েছে রাজারহাটের নারায়ণপুরে বাসিন্দা সংযোগ শেয়ারে মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাজারে প্রচুর দেনা আছে বলেও প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। রাজারহাটের নারায়ণপুরে বাবলাতলা এলাকার এক বাড়িতে নীচের তলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন সঞ্জয় দে। বয়স আনুমানিক ৫৪ বছর। সঙ্গে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি। তার বাবা-মা থাকতেন রাজারহাটেরই অন্য আরেকটি বাড়িতে।
জানা গিয়েছে রাজারহাটের নারায়ণপুরে বাসিন্দা সংযোগ শেয়ারে মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাজারে প্রচুর দেনা আছে বলেও প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। রাজারহাটের নারায়ণপুরে বাবলাতলা এলাকার এক বাড়িতে নীচের তলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন সঞ্জয় দে। বয়স আনুমানিক ৫৪ বছর। সঙ্গে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি। তার বাবা-মা থাকতেন রাজারহাটেরই অন্য আরেকটি বাড়িতে।
advertisement
3/11
সূত্রের খবর, সঞ্জয় এক ভাই এক বোন, বোনের বহুদিন আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে কিন্তু বোনের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বহুদিন ধরেই এমনটাই জানিয়েছেন সঞ্জয় নিজে। সঞ্জয় বাবা-মার কে ছেড়ে তাঁর স্ত্রী এবং শাশুড়িকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন এই বাবলাতলার বাড়িতে।
সূত্রের খবর, সঞ্জয় এক ভাই এক বোন, বোনের বহুদিন আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে কিন্তু বোনের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বহুদিন ধরেই এমনটাই জানিয়েছেন সঞ্জয় নিজে। সঞ্জয় বাবা-মার কে ছেড়ে তাঁর স্ত্রী এবং শাশুড়িকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন এই বাবলাতলার বাড়িতে।
advertisement
4/11
বাড়িওয়ালা জানাচ্ছে, গত রবিবারের পর থেকে তাঁদের কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে কাগজ দিয়ে গেলে কাগজ পর্যন্ত পড়ে ছিল বাইরেই। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়িওয়ালার সন্দেহ হলে এবং ভিতর থেকে অস্বাভাবিক আওয়াজ শোনা গেলে অর্থাৎ গোমড়ানোর আওয়াজ শোনা গেলে বাড়ির মালিক রূপম সাহা  নারায়ণপুর পুলিশ স্টেশনে খবর দেয়।
বাড়িওয়ালা জানাচ্ছে, গত রবিবারের পর থেকে তাঁদের কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে কাগজ দিয়ে গেলে কাগজ পর্যন্ত পড়ে ছিল বাইরেই। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়িওয়ালার সন্দেহ হলে এবং ভিতর থেকে অস্বাভাবিক আওয়াজ শোনা গেলে অর্থাৎ গোমড়ানোর আওয়াজ শোনা গেলে বাড়ির মালিক রূপম সাহা  নারায়ণপুর পুলিশ স্টেশনে খবর দেয়।
advertisement
5/11
এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছলে স্থানীয় কাঠমিস্ত্রিকে খবর দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় সঞ্জয়ের স্ত্রী ও শাশুড়ি মাটিতে পড়ে রয়েছেন অবচেতন অবস্থায় এবং সঞ্জয় নিজে গুমরাচ্ছেন। এরপর পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সঞ্জয়ের স্ত্রী ও শাশুড়িকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছলে স্থানীয় কাঠমিস্ত্রিকে খবর দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় সঞ্জয়ের স্ত্রী ও শাশুড়ি মাটিতে পড়ে রয়েছেন অবচেতন অবস্থায় এবং সঞ্জয় নিজে গুমরাচ্ছেন। এরপর পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সঞ্জয়ের স্ত্রী ও শাশুড়িকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
advertisement
6/11
হাসপাতালেই সঞ্জয়ের বয়ান নিয়েছে পুলিশ। সঞ্জয়ের বয়ান অনুযায়ী, সঞ্জয় দে নিজে কাজ করতেন শেয়ার মার্কেটে, আর এই শেয়ার মার্কেটে কাজ করার কারণে বহু টাকা লস হয় এবং দেউলিয়া হয়ে যান তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক ও দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে কি করবেন না ঠিক করতে পেরে  আত্মঘাতী হওয়ার পথ বেছে নেন।
হাসপাতালেই সঞ্জয়ের বয়ান নিয়েছে পুলিশ। সঞ্জয়ের বয়ান অনুযায়ী, সঞ্জয় দে নিজে কাজ করতেন শেয়ার মার্কেটে, আর এই শেয়ার মার্কেটে কাজ করার কারণে বহু টাকা লস হয় এবং দেউলিয়া হয়ে যান তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক ও দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে কি করবেন না ঠিক করতে পেরে  আত্মঘাতী হওয়ার পথ বেছে নেন।
advertisement
7/11
জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণে দেনা হয়ে গিয়েছিল সেই কারণে আগেই বাড়ি বাইক থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই টাকা দিয়ে কিছু মানুষের দেনা শোধ করেছিলেন তারপরে পাওনাদারদের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেবী পার্ক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন তাঁরা। এরপরেও বহু পাওনাদার যোগাযোগ করছিল শেষমেষ তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণে দেনা হয়ে গিয়েছিল সেই কারণে আগেই বাড়ি বাইক থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই টাকা দিয়ে কিছু মানুষের দেনা শোধ করেছিলেন তারপরে পাওনাদারদের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেবী পার্ক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন তাঁরা। এরপরেও বহু পাওনাদার যোগাযোগ করছিল শেষমেষ তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
advertisement
8/11
সঞ্জয় জানান, এই ধার দেওয়ার জন্যই পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে আর সেই নিয়েও সঞ্জয় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সপরিবারে আত্মহত্যার পথ সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই পরিকল্পনা করছিলেন সঞ্জয়।
সঞ্জয় জানান, এই ধার দেওয়ার জন্যই পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে আর সেই নিয়েও সঞ্জয় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সপরিবারে আত্মহত্যার পথ সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই পরিকল্পনা করছিলেন সঞ্জয়।
advertisement
9/11
শাশুড়ি এবং স্ত্রী বারবার বোঝাচ্ছিলেন তাঁকে। শেষমেশ বুধবার সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় সপরিবারে একই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কী ভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটানো যায় সেই পরিকল্পনা দু সপ্তাহ আগে থেকে শুরু করেছিলেন সঞ্জয়।
শাশুড়ি এবং স্ত্রী বারবার বোঝাচ্ছিলেন তাঁকে। শেষমেশ বুধবার সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় সপরিবারে একই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কী ভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটানো যায় সেই পরিকল্পনা দু সপ্তাহ আগে থেকে শুরু করেছিলেন সঞ্জয়।
advertisement
10/11
সঞ্জয় আরও জানিয়েছেন, তাঁর শাশুড়ি বহুদিন ধরে ঘুমের ওষুধ খেতেন এবং তিনি নিজেও শারীরিক অসুস্থতা ও রক্তচাপের জন্য প্রেসারের ওষুধ খেতেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী।সেই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে একাধিক দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ ও প্রেসারের ওষুধ কিনে তাঁরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
সঞ্জয় আরও জানিয়েছেন, তাঁর শাশুড়ি বহুদিন ধরে ঘুমের ওষুধ খেতেন এবং তিনি নিজেও শারীরিক অসুস্থতা ও রক্তচাপের জন্য প্রেসারের ওষুধ খেতেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী।সেই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে একাধিক দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ ও প্রেসারের ওষুধ কিনে তাঁরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
advertisement
11/11
সঞ্জয়ের বয়ান অনুযায়ী, সঞ্জয় নিজে এবং তাঁর শাশুড়ি ও স্ত্রী ১৫টি প্রেসারের ওষুধ এবং ৪০টি ঘুমের ওষুধ একেক জন খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পুলিশ তদন্ত করছে। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা ঘটনা পুলিশের পক্ষ থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে।
সঞ্জয়ের বয়ান অনুযায়ী, সঞ্জয় নিজে এবং তাঁর শাশুড়ি ও স্ত্রী ১৫টি প্রেসারের ওষুধ এবং ৪০টি ঘুমের ওষুধ একেক জন খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পুলিশ তদন্ত করছে। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা ঘটনা পুলিশের পক্ষ থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে।
advertisement
advertisement
advertisement