Primary Scam Case: প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বহাল, মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টের কথা তুলতেই বড় পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের! দাখিল হল ক্যাভিয়েট
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
Primary Scam Case: প্রাথমিকে ৩২০০০ চাকরি বহালে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কলকাতা: সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, প্রাথমিকে চাকরি বহাল থাকছে বত্রিশ হাজার শিক্ষকের। কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। বিচারপতি বলেন, “যাঁরা ৯ বছর ধরে কাজ করছেন তাঁদের পরিবারের কথাও ভাবতে হবে। যাঁরা সফল হননি তাঁদের জন্য সব ড্যামেজ করা যায় না।” এই নির্দেশের ফলে একদিকে যখন ৩২ হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি, তেমনই মামলকারীরা জানান, তারা ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।
advertisement
advertisement
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, কোর্ট যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন পুরো বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়েছে। এখানে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সিবিআই-এরও। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বক্তব্য, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না। দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের পড়াশোনা করানোর ধরনের উপর কোনও প্রশ্ন ওঠেনি।
advertisement
advertisement
advertisement
২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। তারপর হয় টেট। তার ভিত্তিতে ২ বার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। ৪২ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। আর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। ২০২৩ সালের ১২ মে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ হয়ে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে।
advertisement
যদিও,প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্য যুক্তি দেয়, দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। তবে কিছু বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করে। পরে তা সংশোধনও করা হয়েছে বলে রাজ্যের দাবি। এরপর সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায়। সেই মামলাতেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এরপরই মামলাকারীরা জানিয়ে দেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। আর তাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও এবার ক্যাভিয়েট দাখিল করল সুপ্রিম কোর্টে।
