Indian Railways: হাওড়া থেকে রাতে ছাড়ল ট্রেন, কিন্তু গতি কমে যাচ্ছিল! উত্তরপ্রদেশে গিয়ে যা ধরা পড়ল, আকাশ থেকে পড়লেন রেল অফিসাররা! ৯ লাখ টাকা জরিমানা এক ব্যক্তির, কেন জানেন?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
Indian Railways: চালকের মনে সংশয় নিয়ে এভাবেই রাতভর চলল ট্রেন। কিন্তু ট্রেন যত চলছে মনের খটকা গাঢ় হচ্ছে। এমন অবস্থায় সকাল হতেই তিনি পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন।
১১ অগাস্ট, ২০২৩। নির্ধারিত সময়েই হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ল ট্রেন। রাত প্রায় ১০টা। কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরে চালক অনুভব করলেন ট্রেনের যেন গতি বাড়ছে না। গড় গতিবেগে ট্রেন চালানো হলেও বার বার গতি কমে যাচ্ছে। কেউ যেন ইঞ্জিনের পিছনের দিক থেকে এগোতে বাধা দিচ্ছেন। যান্ত্রিক কোনও সমস্যা হলে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আবার মনের ভুলও হতে পারে।
advertisement
advertisement
শেষমেশ ট্রেনের সমস্যা ধরতে পারলেন রেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি তাঁদের অবাক করে দিয়েছে। এক ব্যবসায়ী নির্ধারিত ওজনের থেকে দ্বিগুণের বেশি পণ্য বোঝাই করেছিলেন ওই ট্রেনে। সেই কারণেই গতি বার বার শ্লথ হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে অর্ধেক পণ্য নামিয়ে স্টেশনে ২ ঘণ্টা আটকে থাকার পরে আবার যাত্রা শুরু করল ট্রেন। অতিরিক্ত পণ্য বোঝাইয়ের কারণে সেই ব্যবসায়ীকে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করে রেল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
advertisement
হাওড়া থেকে কালকা পর্যন্ত চলা নেতাজি এক্সপ্রেসের পার্সেল বগির একটি অংশ দু'বছরের জন্য লিজে নেন মহম্মদ সাবির নামে এক ব্যবসায়ী। চুক্তি মোতাবেক, ওই ট্রেনে তিনি ব্যবসায়িক পণ্য নিয়ে যেতে পারবেন। ব্যবসায়ীকে যাত্রা প্রতি দিতে হবে ৪২৩০০ টাকা। যাত্রীবাহী এক্সপ্রেস ট্রেনের নিয়ম অনুযায়ী, পার্সেল ভ্যানে সর্বোচ্চ ৪ মেট্রিক টন (৪০০০ কেজি) পণ্য বহন করা যাবে। অতিরিক্ত ওজন পাওয়া গেলে ব্যবসায়ীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
advertisement
২০২৩ সালের ১০ অগস্ট রাত ১০টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে। রেলের দাবি, পরের দিন চালক পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে পণ্য ওজন করান। তখন দেখা যায় নির্ধারিত ওজনের থেকে ১৩৪ শতাংশ বেশি ছিল ওই বগিতে। ওজন করে ৮৩৪৪ কেজি পণ্য পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ওজন ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তার পরে আবার যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
advertisement
ওই পণ্যগুলি ছিল ট্রেনের সামনের দিকে। রেলের ভাষায় যা 'ফার্স্ট সিটিং কাম লাগেজ রেক' বলা হয়। রেলের বক্তব্য, চালক ট্রেন চালাতে সমস্যার কথা জানান। ফলে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করাতে বলা হয়। তদন্ত করে ট্রেন পরীক্ষক জানান, ইঞ্জিন এবং পার্সেল কোচের মাঝে 'বাফার হাইট'-এর তারতম্য রয়েছে। যা বিপজ্জনক হিসাবে ধরা হয়।
advertisement
ব্যবসায়ীর বক্তব্য, ওজন করার সময় তিনি বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। যা নিয়ম বিরুদ্ধ। তা ছাড়া রেলের আইন অনুযায়ী, এই ধরনের একই অপরাধ তিন বার হলে তবেই শাস্তি দেওয়া যায়। ব্যবসায়ী জানান, ওই ঘটনায় রেল জরিমানা, চুক্তি বাতিল এবং জামানত বাজেয়াপ্ত করে। একই অপরাধে তিনটি শাস্তি কেন? আদালতে তাঁর আবেদন, চুক্তি পুনর্বহাল এবং সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়া হোক।
advertisement