‘জনগণের টাকা জনস্বার্থেই খরচ হবে, বিনোদনে নয়, পুজো অনুদানের হিসেব দেবে রাজ্য,’ নির্দেশ হাইকোর্টের

Last Updated:
জনগণের করের টাকা রাজ্য সরকার পুজো খাতে ক্লাবগুলোতে দান করতে পারে কি না, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে হয় জনস্বার্থ মামলা
1/6
জনগণের টাকা জনস্বার্থেই ব্যবহার করতে হবে। সরকারি টাকা বিনোদন এবং আলঙ্কারিক অনুষ্ঠানে খরচ করা যাবে না। পুজো-অনুদান নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
জনগণের টাকা জনস্বার্থেই ব্যবহার করতে হবে। সরকারি টাকা বিনোদন এবং আলঙ্কারিক অনুষ্ঠানে খরচ করা যাবে না। পুজো-অনুদান নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
advertisement
2/6
পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার করা ঘোষণা করে সরকার ৷ রাজ্য সরকারের দেওয়া এই অনুদানের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা। শুক্রবার সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার করা ঘোষণা করে সরকার ৷ রাজ্য সরকারের দেওয়া এই অনুদানের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা। শুক্রবার সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
3/6
 হাইকোর্ট তার নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছে,  সরকারের দেওয়া টাকা কোনও আলঙ্কারিক অনুষ্ঠান, কার্যকর্তাদের বিনোদনের জন্য খরচ করা যাবে না। ২৫ শতাংশ টাকা পুলিসের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা খরচ করতে হবে মাস্ক-sanitizer কেনার জন্য।  খরচের সব হিসেব বিল-ভাউচারে সরকারকে দেবে পুজো কমিটিগুলি ৷ সরকার যাবতীয় হিসেব ও নথি বুঝে নেবে। আদালতের এ দিনের নির্দেশ নিয়ে যাতে কোনও ধোঁয়াশা না থাকে, তাই এটা বিস্তারিতভাবে লিফলেটে ছাপিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে দেবে পুলিশ ৷ এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল কি না তা ডিজিপি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাবেন  ৷
হাইকোর্ট তার নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছে, সরকারের দেওয়া টাকা কোনও আলঙ্কারিক অনুষ্ঠান, কার্যকর্তাদের বিনোদনের জন্য খরচ করা যাবে না। ২৫ শতাংশ টাকা পুলিসের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা খরচ করতে হবে মাস্ক-sanitizer কেনার জন্য। খরচের সব হিসেব বিল-ভাউচারে সরকারকে দেবে পুজো কমিটিগুলি ৷ সরকার যাবতীয় হিসেব ও নথি বুঝে নেবে। আদালতের এ দিনের নির্দেশ নিয়ে যাতে কোনও ধোঁয়াশা না থাকে, তাই এটা বিস্তারিতভাবে লিফলেটে ছাপিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে দেবে পুলিশ ৷ এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল কি না তা ডিজিপি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাবেন ৷
advertisement
4/6
জনগণের করের টাকা রাজ্য সরকার পুজো খাতে ক্লাবগুলোতে দান করতে পারে কি না, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন সৌরভ দত্ত। এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী আদালতকে জানান, করোনা বিধি মেনে পুজো করতে এবং জনগণ-পুলিশ সম্পর্ক দৃঢ় করতেই পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু বিচারপতিরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তির ফারাক রয়েছে  ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে ধারণা হয় এ বছর করোনার কারণে ক্লাবগুলির তহবিলের হাল খারাপ। তাই তাদের পুজোর জন্য সাহায্য করতে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় মাস্ক বা স্যানিটাইজারের জন্য খরচের কোনও উল্লেখ নেই ৷
জনগণের করের টাকা রাজ্য সরকার পুজো খাতে ক্লাবগুলোতে দান করতে পারে কি না, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন সৌরভ দত্ত। এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী আদালতকে জানান, করোনা বিধি মেনে পুজো করতে এবং জনগণ-পুলিশ সম্পর্ক দৃঢ় করতেই পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু বিচারপতিরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তির ফারাক রয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে ধারণা হয় এ বছর করোনার কারণে ক্লাবগুলির তহবিলের হাল খারাপ। তাই তাদের পুজোর জন্য সাহায্য করতে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় মাস্ক বা স্যানিটাইজারের জন্য খরচের কোনও উল্লেখ নেই ৷
advertisement
5/6
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, বাম আমল এবং তৃণমূলের আমলেও সুকৌশলে রাজ্যের আমলাতন্ত্রের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমলারা যদি দক্ষ হতেন তা হলে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। কারণ, বিচারবুদ্ধিতে তারা অনেক এগিয়ে ৷ File Photo
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, বাম আমল এবং তৃণমূলের আমলেও সুকৌশলে রাজ্যের আমলাতন্ত্রের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমলারা যদি দক্ষ হতেন তা হলে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। কারণ, বিচারবুদ্ধিতে তারা অনেক এগিয়ে ৷ File Photo
advertisement
6/6
এর আগে ২০১৮ সালেও পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে এখনও মামলা ঝুলে রয়েছে। দু’বছর পরে আবার সেই অনুদান নিয়ে মামলা। এ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট এই দিন বলে,  ‘এবারের মামলায় এমন নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে বারবার অনুদান নিয়ে আদালতে টানাহ্যাঁচড়া না হয় ৷’ পুজোর ছুটির পরে পরবর্তী শুনানি।
এর আগে ২০১৮ সালেও পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে এখনও মামলা ঝুলে রয়েছে। দু’বছর পরে আবার সেই অনুদান নিয়ে মামলা। এ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট এই দিন বলে, ‘এবারের মামলায় এমন নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে বারবার অনুদান নিয়ে আদালতে টানাহ্যাঁচড়া না হয় ৷’ পুজোর ছুটির পরে পরবর্তী শুনানি।
advertisement
advertisement
advertisement