রেড রোডের কার্নিভালে বিদায় বেলার উৎসব, দেখুন ৯৪টি প্রতিমা প্রদর্শনের ঝলক!

শনিবার কলকাতার রেড রোড উৎসবের আমেজে ভরপুর ছিল। দুর্গাপুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হল সাড়ে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। ৯৪টি ক্লাব বা পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করল সেখানে।

রেড রোড ধরে শহরের সেরার সেরা পুজো কমিটিগুলির প্রতিমা এগিয়ে যায় বাজে কদমতলা ঘাটের দিকে। আর দু'পাশে তা দেখার জন্যই মানুষের ঢল নেমেছিল।

প্রতিমার প্রদর্শনের পাশাপাশি ‘হেরিটেজ অলিন্দের আদলে’ বানানো মঞ্চে বঙ্গ সংস্কৃতির উপস্থাপনা। আর তাতেই বিস্মিত বিদেশি অতিথিরা।

কোভিড কাল কাটিয়ে আবার উৎসবমুখী শহর। পাশাপাশি ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিউম্যানিটির বা আবহমান ঐতিহ্যে তালিকায় দুর্গাপুজোর নাম ওঠার পর এবারই প্রথম কার্নিভাল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্য মেজাজে দেখা গেল। উৎসে কোনও খামতি রাখলেন না তিনি। কখনও তাঁকে দেখা গেল ধামসা মাদল বাজাতে, কখনও দেখা গেল কাসর ঘন্টা বাজাতে।

কখনও আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে পা মেলালেন, কখনও আবার শিশুদের চকোলেট উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিয়ম মেনে প্রত্যেকটি পুজো কমিটির নিজেদের প্রতিমা উপস্থাপন করছেন সর্বাধিক তিন মিনিটে। ঢাকি-সহ মোট ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন এক একটি কমিটি থেকে।

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, রিজওয়ান রব্বানি শেখ, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, সৌমিতৃষা কুন্ডু, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, প্রমুখ টেলি ও টলি তারকারা রেড রোডে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গীতশিল্পীরাও গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে।

পুজোর এই বিদায় বেলায় মন খারাপের রেশ থেকে গেলেও এমন কার্নিভালের কথা মনে থেকে যাবেই। আর তাতেই যেন আগামী বছরের আনন্দ লুকিয়ে। আসছে বছর আবার হবে।