'বাতাসি'তে ভেসে ভেসে দেখুন কলকাতার গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন, কোথায় মিলবে টিকিট?
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
করোনা কালে ঠাকুর দেখানোর রীতিতে বেশি কাঁটছাট করেনি রাজ্য পরিবহণ দফতর। ট্রাম, ভলভো বাস, ইলেকট্রিক বাস এমন কি প্রতিমা নিরঞ্জন দেখানো হয়েছে।
advertisement
করোনা কালে ঠাকুর দেখানোর রীতিতে বেশি কাঁটছাট করেনি রাজ্য পরিবহণ দফতর। ট্রাম, ভলভো বাস, ইলেকট্রিক বাস এমন কি প্রতিমা নিরঞ্জন দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনলাইনে শুরু হয়ে গিয়েছে বুকিং। এছাড়া মিলেনিয়াম পার্ক ও এসপ্ল্যানেডের মতো ডিপো থেকে মিলবে হাতে হাতে টিকিট। গোটা ব্যবস্থাই করে দিচ্ছে রাজ্য পরিবহণ নিগম। অন্যান্য বারের মতো এবারেও আজ বিকেল থেকে লাক্সারি ভেসেলে করে দেখানো হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক ঘাটের প্রতিমা নিরঞ্জন দেখানো হবে। শুরু হবে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে। সেখান থেকে ভেসেল যাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত। সেখান থেকে ফের বাগবাজার ঘাট।
advertisement
মাঝের যে কয়েকটি ঘাটে হাওড়া ও কলকাতার দিকে প্রতিমা নিরঞ্জন হয় তার সবগুলিই দেখানো হবে। তবে শুধু ঘুরিয়ে দেখানো নয়, থাকছে স্ন্যাক্স ও ডিনারের ব্যবস্থা। মাথাপিছু প্যাকেজ রাখা হয়েছে ১৪০০ টাকা করে। অনলাইনে টিকিট কাটা যাচ্ছে www.wbtc.online.in সাইট থেকে । এছাড়া রাজ্য পরিবহণ নিগমের মিলেনিয়াম পার্ক ডিপো থেকেও এই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। সন্ধ্যা ৫ঃ৩০ থেকে রাত ৯ঃ৩০ পর্যন্ত চলবে এই ভ্রমণ।
advertisement
অন্যদিকে এবার সল্টলেক, নিউটাউনের পুজো দেখানো হয়েছে এসি বাসে করে। তবে এটা ইলেকট্রিক বাসে চেপে। ফলে দূষণমুক্ত পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই বিশেষ প্যাকেজে সল্টলেকের বাছাই করা পুজো মণ্ডপ দেখানো হয়। অন্যদিকে এসপ্ল্যানেড ও বারাসত ডিপো থেকে বাস করে দেখানো হয়েছে কলকাতার নাম করা বারোয়ারি পুজো। এসি ভলভো বাসে করে এই পুজো পরিক্রমা চলেছে।
advertisement
তবে যাঁরা নন এসি বাসে চেপে ঠাকুর দেখতে চেয়েছিলেন তাঁদের জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। হাওড়া, বালিগঞ্জ, ডানলপ, হাবড়া থেকে নন এসি বাস ছেড়েছে ঠাকুর দেখানোর জন্যে। অনলাইনে টিকিট বুকিং হয়েছিল পুরোপুরি ভাবে। অন্যদিকে দুই এসি ট্রামে চেপে ঠাকুর দেখানো হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার। সপ্তমী ও নবমীতে ছিল সেই সুযোগ। হাতিবাগান ও গড়িয়াহাট ঠাকুর দেখানোয় জুড়ে যাচ্ছে। প্রতীকী ছবি
advertisement
করোনা অধ্যায়ে পরিবহণ দফতর ঠাকুর দেখানোর ও নিরঞ্জন দেখানোর এই ব্যবস্থা করবে কিনা তা নিয়ে একটা সন্দেহ ছিল। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল। ফলে ছোঁয়াচ এড়িয়ে ঠাকুর দেখার সুযোগ মিলল কলকাতায় রাজ্য পরিবহণ দফতরের হাত ধরে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোটা ব্যবস্থাপনা করে তাদের আয় হয়েছে ভালই।