DA Case: ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় মোড়! রাজ্যের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন কপিল সিব্বল! এবার কী করতে হবে বিরোধী পক্ষকে? জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:Maitreyee Bhattacharjee
Last Updated:
DA Case: আগের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেছিলেন, ''কোনও আদালতই এআইসিপিআইয়ের হার মেনে ডিএ দিতে বাধ্য করতে পারে না কোনও রাজ্যকে।''
সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় বড় মোড়। সোমবার রাজ‍্যের তরফ থেকে চূড়ান্ত হলফনামা দেওয়া হল ডিএ দেওয়া নিয়ে। তাঁদের যা যা বক্তব্য রয়েছে, তা নিয়েই জমা দেওয়া হল এই হলফনামা। বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চে এমনই জানালেন রাজ‍্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। এরপর সরকারি কর্মীদের সব পক্ষ মিলে একটি হলফনামা জমা দেবে আদালতের কাছে। তারপরই হবে রায় ঘোষণা।
advertisement
প্রসঙ্গত, এর আগের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেছিলেন, ''কোনও আদালতই এআইসিপিআইয়ের হার মেনে ডিএ দিতে বাধ‍্য করতে পারে না কোনও রাজ‍্যকে। যদি না রাজ‍্যের নিজস্ব নোটিফিকেশনে সেটার উল্লেখ থাকে। রাজ‍্যের কোনও নোটিফিকেশনে এআইসিপিআই মানার কথা উল্লেখ করা হয়নি।''রাজ‍্য সরকারের আইনজীবী আরও বলেন, ''এআইসিপিআর মানতে কোনও রাজ‍্যকে বাধ্য করা মানে রাজ‍্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ এবং সংবিধানের অবমাননা করা হবে।''
advertisement
বিচরপতিরা জানতে চান, এআইসিপিআর নিয়ে কোনও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে কিনা। এই নির্দেশের জেরে বাংলা সহ আরও ৭টি রাজ্য, যাঁরা কেন্দ্রের হারে ডিএ দেয় না এবং এআইসিপিআই মানে না, তাঁদের ওপরও প্রভাব পড়বে বলে জানান রাজ‍্যের আইনজীবী। যদিও সংবিধানের ৩০৯ ধারার উলঙ্ঘন করা হচ্ছে সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে, এমনই দাবি করেছিলেন বিরোধী আইনজীবী করুনা নন্দী।
advertisement
রাজ‍্যের আইনজীবীরা পাল্টা বলেছিলেন, ''কেন্দ্রের নিয়ম মানতে রাজ্য বাধ‍্য নয়।'' করুনা নন্দী পাল্টা বলেছিলেন, ''কিন্তু আমাদের তরফে সেটা বলাই হচ্ছে না। আমরা বলছি রাজ‍্য যখন এআইসিপিআর মেনে রোপা তৈরি করেছে, তখন তাঁরা সেই হারকে মানুক।'' রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল বলেন, ''রিজিয়ন থেকে রিজিয়নে আলাদা হওয়া উচিত, কারণ প্রতি রিজিওনের নিজস্ব ইনফ্লেশন আছে, কস্ট অফ লিভিং আছে। তাই আবারও আবেদন জানাচ্ছি ডিএ-র বিষয়টি রাজ্যের হাতেই ছাড়া হোক।''
advertisement
advertisement
এরপরই সর্বোচ্চ আদালতে ডিএ মামলার শুনানি শেষ করে সুপ্রিম কোর্ট। রায়দান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত। এরপর দু’পক্ষকে কমপ্রিহেনসিভ লিখিত সাবমিশন দিতে বলেন বিচারপতিরা। সরকার পক্ষকে ২ সপ্তাহের মধ‍্যে কমপ্রিহেনসিভ রিপোর্ট দিতে বলে। তারপর এক সপ্তাহের মধ‍্যে বিরোধীরা তাঁদের জবাব দেবেন। সেই হলফনামাই এদিন আদালতে জমা দেন রাজ্যের আইনজীবী।
advertisement
প্রসঙ্গত, রাজ্যকে আগেই ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ জন্য ছ’সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারেনি। বরং আদালতের কাছ থেকে আরও ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ৪ অগস্ট থেকে ৭ অগস্ট প্রতি দিনই শুনানি চলেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে।
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে, এই দাবিকে সামনে রেখে শুরু হয় মামলা। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (এসএটি), কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। উচ্চ আদালত বলে, ডিএ রাজ্য সরকারের কর্মীদের অধিকার। কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে তা পাওয়ার যোগ্য।
advertisement
কিন্তু রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে, আরও সময় প্রয়োজন। আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত কোনও বরাদ্দ ছিল না। তারা সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানায়।
advertisement
রাজ্যের যুক্তি ছিল, মহার্ঘ ভাতা বাধ্যতামূলক নয়। ডিএ কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। তা ছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো ভিন্ন। কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয় তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা চলে না। অন্য দিকে, মামলাকারী পক্ষের যুক্তি, নির্দিষ্ট সময়মতো ডিএ দেওয়া সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে। খেয়ালখুশি মতো ডিএ দেওয়া যায় না। তাদের দাবি, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া ডিএ কিস্তিতে দেওয়া হোক। সেই মামলারই শুনানি শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এরপর দু পক্ষের হলফনামা পেশের পরই হবে ডিএ মামলার রায় ঘোষণা।