World News: ভয়াবহ! হাসপাতালে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি আধাসামরিক বাহিনীর! মুহূর্তে মৃত্যু ৪৬০ জন মানুষের! কোথায় ঘটল এই ঘটনা জানেন? চমকে উঠবেন শুনে

Last Updated:
World News: গত দুই বছর ধরে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে, যা ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে।
1/8
সুদানের রাজধানী দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলের এল-ফাশার শহরে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। মাত্র তিন দিনের অভিযানে তারা প্রায় দেড় হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
সুদানের রাজধানী দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলের এল-ফাশার শহরে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। মাত্র তিন দিনের অভিযানে তারা প্রায় দেড় হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
advertisement
2/8
সুদানের এল ফাশারের সৌদি মেটার্নিটি হাসপাতালে আচমকাই সামরিক পোশাকে বন্দুক হাতে ঢুকে পড়লেন র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (RSF) আধা সামরিক জওয়ানরা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হলো এলোপাথাড়ি গুলির বৃষ্টি। একবুক আশা নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে এসেছিলেন লুটিয়ে পড়লেন বেডেই। রক্তে ভেসে গেল চারদিক। হাসপাতালের ভিতরে এবং বাইরে লাগাতার গুলিবৃষ্টিতে ৪৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দারফুরের গভর্নর মিন্নি আরকো মিনাওয়ি।
সুদানের এল ফাশারের সৌদি মেটার্নিটি হাসপাতালে আচমকাই সামরিক পোশাকে বন্দুক হাতে ঢুকে পড়লেন র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (RSF) আধা সামরিক জওয়ানরা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হলো এলোপাথাড়ি গুলির বৃষ্টি। একবুক আশা নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে এসেছিলেন লুটিয়ে পড়লেন বেডেই। রক্তে ভেসে গেল চারদিক। হাসপাতালের ভিতরে এবং বাইরে লাগাতার গুলিবৃষ্টিতে ৪৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দারফুরের গভর্নর মিন্নি আরকো মিনাওয়ি।
advertisement
3/8
এদিকে, আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছর ধরে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে, যা ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি এল-ফাশার শহরটি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিনিয়ে নেয় আরএসএফ।
এদিকে, আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছর ধরে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে, যা ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি এল-ফাশার শহরটি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিনিয়ে নেয় আরএসএফ।
advertisement
4/8
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, শহর দখলের পর বেসামরিক মানুষ যখন পালানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন আরএসএফ নির্বিচারে গুলি চালায়। তিন দিনের মধ্যেই দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি ঘটনাকে “বাস্তব গণহত্যা” বলে বর্ণনা করেছে।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, শহর দখলের পর বেসামরিক মানুষ যখন পালানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন আরএসএফ নির্বিচারে গুলি চালায়। তিন দিনের মধ্যেই দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি ঘটনাকে “বাস্তব গণহত্যা” বলে বর্ণনা করেছে।
advertisement
5/8
এর আগে দেড় বছর ধরে এই অঞ্চলে বোমাবর্ষণ, অবরোধ, খাদ্য সংকট ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ। সর্বশেষ তিন দিনের হামলা সেই ধারাবাহিকতাকেই আরও রক্তাক্ত করেছে বলে জানায় পর্যবেক্ষকরা।
এর আগে দেড় বছর ধরে এই অঞ্চলে বোমাবর্ষণ, অবরোধ, খাদ্য সংকট ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ। সর্বশেষ তিন দিনের হামলা সেই ধারাবাহিকতাকেই আরও রক্তাক্ত করেছে বলে জানায় পর্যবেক্ষকরা।
advertisement
6/8
২০২৩ সাল থেকে চলমান এই গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দারফুরের এল-ফাশার ছিল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রধান শহর। দীর্ঘ ১৭ মাস অবরোধের পর গত রোববার এটি পুরোপুরি দখল করে আরএসএফ।
২০২৩ সাল থেকে চলমান এই গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দারফুরের এল-ফাশার ছিল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রধান শহর। দীর্ঘ ১৭ মাস অবরোধের পর গত রোববার এটি পুরোপুরি দখল করে আরএসএফ।
advertisement
7/8
সুদান সরকার জানিয়েছে, রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র এল-ফাশার শহরেই প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
সুদান সরকার জানিয়েছে, রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র এল-ফাশার শহরেই প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
advertisement
8/8
এদিকে সৌদি আরব, মিশর, কাতার, তুরস্ক ও জর্ডান আরএসএফের এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার পথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে সৌদি আরব, মিশর, কাতার, তুরস্ক ও জর্ডান আরএসএফের এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার পথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement