পুতিনের সঙ্গে দেখা করার আগে ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, জেলেনস্কি রেখেছেন ৫টি শর্ত, চুক্তি আদৌ সম্ভব হবে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনকে সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত। পুতিনকেও হুমকি দিয়েছেন যে তিনি যদি রাজি না হন, তবে গুরুতর পরিণতি হবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল পুতিন কি এই শর্তগুলি মেনে নেবেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ডের নেতারা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে ইউক্রেনের ভূমি বিনিময় করা উচিত নয়। ইউক্রেনের আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনও আপোস করা উচিত নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি আলোচনার জন্য ৫টি শর্ত রেখেছেন। (Reuters)
advertisement
ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনকে সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত। পুতিনকেও হুমকি দিয়েছেন যে তিনি যদি রাজি না হন, তবে গুরুতর পরিণতি হবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল পুতিন কি এই শর্তগুলি মেনে নেবেন? ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘‘আমরা চাই আলোচনা কেবল ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যেই হোক, তবে যে কোনও চুক্তি তখনই হওয়া উচিত যখন জেলেনস্কিও এতে জড়িত থাকবেন। আমরা চাই এই ধরনের আলোচনা ইউরোপে হোক।’’
advertisement
advertisement
advertisement
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রপতি উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন, ‘‘আমাদের চেয়ে বেশি শান্তি কেউ চায় না, তবে সম্মানের ক্ষেত্রে কোনও আপোস করা উচিত নয়।’’ ন্যাটো বলেছে, বল এখন পুতিনের কোর্টে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জও বলেছেন যে রাশিয়ার আঞ্চলিক দখলকে আইনত স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সমস্ত নেতাই চান যে ভূমি বিনিময় নিয়ে কোনও আলোচনা না হোক!
advertisement
আলোচনার জন্য জেলেনস্কি ৫টি শর্ত রেখেছেন-১. রাশিয়াকে এক ইঞ্চিও ইউক্রেনীয় ভূমি দেওয়া যাবে না। রাশিয়ার দখলদারিত্বের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে কোনও বিতর্ক থাকা উচিত নয়।২. চুক্তিতে ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি থাকা উচিত।৩. আলোচনা 'আটলান্টিক-ট্রান্স' হওয়া উচিত এবং ইউক্রেনকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ।৪. যে কোনও চুক্তিতে ইউক্রেনের জনগণকে জড়িত করা উচিত।৫. রাশিয়া আলাস্কায় পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ বৃদ্ধি করা উচিত। পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের হুমকি: শুক্রবারের বৈঠকের পর যখন ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে পুতিন যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি না হন, তাহলে কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে? জবাবে ট্রাম্প বলেন, "হ্যাঁ, তাঁকে গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’’
advertisement