USA India Russia: ভয়ের ব্যবসার সেরা খিলাড়ি ট্রাম্প, রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের আগে ফের মারলেন ‘সপাটে চড়’, ভারতকে ট্যারিফ বাড়ানোয় ক্ষতি হবে রাশিয়ার ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্টের

কলকাতা: সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাক্যবাণী শেষ হচ্ছে না৷ ভারতের ওপর ট্যারিফ লাগানোয় আসল ক্ষতি হবে নাকি রাশিয়ার এমনটাই দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের৷  ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত- আসলে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে বর্ণনা করেছেন তিনি৷  ভারত রাশিয়ান তেলের একটি বড় ক্রেতা ছিল। ট্রাম্প আবারও রাশিয়ার অর্থনীতির উপর আক্রমণ করে বলেছেন, তিনি রাশিয়ার তেল রফতানিকেই শুধুমাত্র টার্গেট করবেন না- তিনি আরও বেশি কিছু করতে প্রস্তুত৷

তিনি আরও দাবি করেছেন যে তিনি রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি আহ্বান পেয়েছেন। একদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যা সমাধানের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন এবং অন্যদিকে, আলোচনার ঠিক আগে তিনি খুঁচিয়ে  দিচ্ছেন।

প্রথমত, যখন আমেরিকার ১০ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও রাশিয়ার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তখন আমেরিকা নিজেই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল এবং এখন তাদের এই অবস্থান গল্পটিকে ভিন্ন মোড় দিতে পারে।

পুতিনের সঙ্গে দেখা করার আগে রাশিয়ার সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, "আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি... তার অর্থনীতি এখন ভাল যাচ্ছে না কারণ এর ফলে এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"

যখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি তাদের বৃহত্তম বা দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল ক্রেতাকে বলেন যে আপনি যদি রাশিয়া থেকে তেল কিনবেন তবে আমরা আপনার উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব, তখন এটি একটি বড় ধাক্কা ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তিনি রাশিয়া থেকে একটি বৈঠকের জন্য ফোন পেয়েছিলেন।

ভারত ও আমেরিকার মধ্যেও উত্তেজনা বেড়েছে
ট্রাম্প এমন এক সময় এই কথা বললেন যখন ভারতের সঙ্গে আমেরিকার উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রাম্প প্রথমে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তারপর ভারত রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখার কারণে ভারতীয় রফতানির উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।

তিনি মস্কোর তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চিনের উপর কোনও নতুন শুল্ক আরোপ করেননি। ভারতও ওয়াশিংটনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এই শুল্ককে 'অন্যায্য এবং অবাস্তব' বলে অভিহিত করেছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন-ইইউ দ্বৈত মানের সমালোচনা করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে আমেরিকা তার পারমাণবিক শিল্পের জন্য রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড আমদানি করে চলেছে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, আমেরিকা তা এড়িয়ে যায় এবং ভারতের উপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়।