Sheikh Hasina News: 'তারপরই বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হল'! এক নির্দেশেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন! হাসিনার পাশ থেকে সরে গেল বাংলাদেশ সেনা, কার থেকে সেই নির্দেশ এসেছিল জানেন? চমকে উঠবেন শুনে

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশে জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম যে, দমন–পীড়নে যোগ দিলে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছি যে, যদি তারা জড়িত থাকে, তাহলে তারা আর সৈন্য সরবরাহকারী দেশ থাকতে নাও পারে। ফলস্বরূপ, আমরা পরিবর্তন দেখেছি। পরে মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।’

ছাত্রদের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়ন বন্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা তুলে ধরে ফলকার টুর্ক বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি, যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়ত আর শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম।’

গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ভূমিকার কথা তুলে ধরে ফলকার টুর্ক আরও বলেন, ''অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল। আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।''

গত বছর অগাস্টে শেখ হাসিনার নির্দেশের পরও আন্দোলনকারীদের রুখতে কঠোর অবস্থান নিতে অস্বীকার করেছিল সেনা। পরে 'সেফ প্যাসেজ' দিয়ে হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠায় সেনাই।

প্রাথমিক ভাবে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনা। পরে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে সাহায্য করেছিল তারা।

কিন্তু বাংলাদেশ সেনা কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মানল না? কার নির্দেশ ছিল এ বিষয়ে? রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেন, ''ছাত্র ও সাধারণ জনতার আন্দোলন দমনে যাতে সেনা অংশ না নেয়, তার জন্যে সতর্ক করেছিলাম। এরপরই সরকার পরিবর্তন হয়েছিল বাংলাদেশে।'' অর্থাৎ, এ কথা স্পষ্ট, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের বার্তাতেই হাসিনার পাশ থেকে সরে যায় বাংলাদেশ সেনা। আর সেই কারণেই দেশ ছাড়তে হয় তাঁকে। সরকারেরও পরিবর্তন হয়।