Nobel Peace Prize 2025: আর আফসোস নেই ট্রাম্পের, নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেই এমন কাণ্ড করলেন মারিয়া কোরিনা, চমকে গেল গোটা বিশ্ব! মুখে হাসি ট্রাম্পেরও! কী করলেন জানেন?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Nobel Peace Prize 2025: বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া স্বয়ং।
নয়াদিল্লি: নিজেকে বারবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য বলে দাবি করেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা অধরাই থেকে গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন হুগো সাভেজ ও নিকোলাস মাদুরোর কট্টর সমালোচক ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তবে একেবারেই নিরাশ হতে হল না ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
advertisement
কারণ, বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া স্বয়ং। এক্স হ্যান্ডলে লিখলেন, ‘স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র অর্জনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমেরিকার জনগণ, লাতিন আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলিই আমদের প্রধান মিত্র। শুধু ভেনিজুয়েলার দুর্দশাগ্রস্ত জনগণ নয়, আমাদের লক্ষ্যকে দৃঢ়ভাবে সমর্থনের জন্য এই পুরস্কার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও উৎসর্গ করছি।’
advertisement
শান্তিতে নোবেলজয়ীর এই প্রতিক্রিয়া সামনে আসার পরই বিশ্বজুড়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নোবেল কমিটি বলেছে,‘ ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মুহূর্তেও গণতন্ত্রের শিখা নিভতে দেননি। শান্তির প্রদীপ অক্ষত রেখেছেন অকুতভয় মারিয়া। বিগত দু’দশকের এই ভয়ডরহীন লড়াইয়েরই স্বীকৃতি পেলেন তিনি।’
advertisement
কেমন ছিল সেই লড়াই? গোটা রাজনৈতিক জীবনেই তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন। মাদুরোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভেনিজুয়েলায় মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। ‘একনায়ক’ মাদুরোর বিরুদ্ধে একত্র করেছেন বিরোধী দলগুলিকে। গত বছর ভেনিজুয়েলার নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সেই ভোট প্রক্রিয়া ঘিরে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। দু’দশক ধরে সাভেজ-মাদুরোর বিরোধিতা করে আসা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়।
advertisement
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, হেনস্তা ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়ে নির্বাচনের পর থেকেই অজ্ঞাতবাসে রয়েছেন ‘লৌহ মানবী’। তবে অগোচরে থেকেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন লাগাতার। দেশ ছেড়ে পালাননি। এই কঠোর সংগ্রামকে স্বীকৃতি জানিয়েই টাইম ম্যাগাজিন চলতি বছরের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান দেয় মারিয়াকে। আর এবার মিলল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান, নোবেল শান্তি পুরস্কার।
advertisement
১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর কারাকাসে জন্ম মারিয়ার। মা মনোবিদ কোরিনা পারিস্কা ও বাবা পেশায় ব্যবসায়ী হেনরিক মাচাদো জুয়োলোগার জ্যেষ্ঠকন্যা। ভেনিজুয়েলার প্রথম সারির রাজনীতিবিদ শুধু নন, মারিয়া একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার ও মানবাধিকার কর্মী। রাজনীতিতে তাঁর পথ চলা শুরু ২০০২ সালে, ‘সুমাতে’ নামে একটি সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। এই সংগঠনের লক্ষ্য ছিল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালানো ও নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় লড়াই করা।
advertisement
পরবর্তীকালে ২০১৩ সালে ‘ভেন্তে ভেনিজুয়েলা’ নামে একটি উদারনৈতিক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন মারিয়া। ২০১১ সালে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেই পদে থাকাকালীন সরকারের নির্যাতন ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ২০১৪ সালে সরকারের বিরুদ্ধে দেশজোড়া আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
advertisement
তার ‘সাজা’, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে বহিষ্কার। প্রতিহিংসার রাজনীতি হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি সরকার। ২০২৩ সালে বিরোধী শিবিরের ৯২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন মারিয়া। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ভুয়ো অভিযোগে তাঁর প্রার্থী পদ খারিজ করে মাদুরো সরকার।