Myanmar Earthquake: ৩৩৪টি পরমাণু বোমা...মায়ানমারের ভূমিকম্প নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য দিল আমেরিকার ভূতত্ত্ববিদ! আগামী দু মাসে...শিউরে উঠবেন শুনে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Myanmar Earthquake: ভূতত্ত্ববিদরা সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী আরও অন্তত দু’মাস মায়ানমার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে। জেস ফনিক্স জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেট ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে মায়ানমারের অবস্থান।
advertisement
ভূতত্ত্ববিদরা সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী আরও অন্তত দু’মাস মায়ানমার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে। জেস ফনিক্স জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেট ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে মায়ানমারের অবস্থান। এই দুটি প্লেটের ধীর গতির স্থানান্তরের কারণেই ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয়েছে। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া আরও দুই মাস পর্যন্ত চলতে পারে, ফলে মায়ানমারকে নতুন ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যেই থাকতে হবে।
advertisement
advertisement
সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর দেশজুড়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১ হাজারের বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ জনকে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন।মায়ানমারে একের পর এক ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ১৬তম ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৭। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর জন্য ভারত জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (NDRF) এর একটি বিশেষ দল পাঠিয়েছে।
advertisement
ভূমিকম্পের তীব্রতা শুধু মায়ানমারেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এর কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চিন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশেও। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবনধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।এই ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত ১০০২ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া, প্রায় ২৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। নিখোঁজদের সংখ্যা ৩০-এরও বেশি। উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত গতিতে চলছে।
advertisement
মায়ানমারের সামরিক সরকার ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি প্রদেশ ও অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে নেইপিদো, সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো ও পূর্ব শান রয়েছে। ভূমিকম্পে এই সব এলাকায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে এবং যোগাযোগব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মায়ানমারে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ১৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে আবারও ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
advertisement
এমন ভয়াবহ দুর্যোগের পর আন্তর্জাতিক স্তরে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন মায়ানমারের জুন্টা সরকারেরপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, আমরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, মায়ানমারের জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসুন।শুক্রবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে প্রথম ও সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৭.২। এরপর দুপুর ১২টা ২ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৭.০।
advertisement
মায়ানমারের আহ্বানে ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে জাতিসংঘ। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মায়ানমারের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট দল পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে।সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। রাত ৬টা ২২ মিনিটে ৩.8 মাত্রার এবং রাত ৮টা ১৯ মিনিটে ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
advertisement