Muhammad Yunus News: কে গদি থেকে সরাতে চাইছেন মহম্মদ ইউনূসকে! ভারতের গোয়েন্দারা নিশ্চিত, সামনে চলে এল সেই নাম! শুনে চমকে উঠবেন কিন্তু

বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। একদিকে মহম্মদ ইউনূসের গদি নিয়ে টানাটানি। তিনি আদৌ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। পদত্যাগের জল্পনাও তৈরি হয়েছিল ইউনূসের। তবে, আপাতত তা মিটলেও ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সংঘাত দিনদিন আরও বাড়ছে।

গত মাসেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দাবি করেছিলেন, সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান নাকি মহম্মদ ইউনুসকে মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে চাননি। এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই আবার বাংলাদেশ সেনায় অভ্যুত্থানের জল্পনাও চলছে।

বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের সব বিকল্প অনুসন্ধান করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রগুলি CNN-নিউজ ১৮-কে এমনই জানিয়েছে বলে খবর। সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশের আর্মি চিফ জুন পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করার ধারণায় সন্তুষ্ট নন।

সূত্রগুলি বলছে, সেনাপ্রধান বিভিন্ন পথ বিবেচনা করছেন, যার মধ্যে সাংবিধানিক অস্পষ্টতাগুলি ব্যবহার করে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলি জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি ভিত্তি দুর্বল, কারণ বাংলাদেশের সংবিধান একটি সরকারের বিলুপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন বাধ্যতামূলক।

সেনাপ্রধান শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার দলকে একত্রিত করে দেশের জন্য নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছেন, এমনই দাবি গোপন গোয়েন্দা সূত্রে। সূত্রগুলি ইঙ্গিত করেছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বাস করে, নির্বাচন বিলম্ব করা সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন করে এবং প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে চাপ দিতে পারে।

এমন জরুরি অবস্থার সময়, প্রেসিডেন্টকে অন্তর্বর্তী সরকার বিলুপ্ত করতে এবং নির্বাচন দ্রুত করতে অনুরোধ করা যেতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৮ প্রেসিডেন্টকে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণের ক্ষমতা দেয়, যদি সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে যায়। সেনাবাহিনী শাহাবুদ্দিনকে এই ধারা প্রয়োগ করতে এবং ইউনুসের কর্তৃত্বকে শেষ করতে চাপ দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রগুলি জানিয়েছে, ২০০৭ সালে, সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনুরূপ সাংবিধানিক অস্পষ্টতাগুলি ব্যবহার করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। জেনারেল জামান সামরিক ঐক্য বজায় রাখা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার উপর মনোনিবেশ করেছেন ইউনূসের নীতিগুলিকে, যেমন প্রস্তাবিত রাখাইন করিডোর এবং বিদেশী হস্তক্ষেপ, স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে।

জামান তার প্রভাব প্রদর্শন করেছেন নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী চিফদের সমর্থন অর্জন করে। তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে জনসাধারণের চাপ তৈরি করছেন এবং শীঘ্রই নির্বাচনের আহ্বান জানাতে পারেন।

প্রসঙ্গত, জামানকে যখন সেনাপ্রধান করা হয়, ভারতের একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা তখনকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ওয়াকার-উজ-জামানের নিয়োগের বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ ভারতের কাছে খবর ছিল যে তিনি পাকিস্তানপন্থী হতে পারেন।

হাসিনা ভারতের উদ্বেগের জন্য কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন, কিন্তু নিজের মত পাল্টাননি। পরে ভুগতে হয়েছিল হাসিনাকেই। এবার সেই সেনাপ্রধানই সরাতে চাইছেন মহম্মদ ইউনূসকে।