মুখেই নিকেশ হবে করোনা! অন্তত ৯৮.৩ শতাংশ ভাইরাস মারবে এই ওষুধ দাবি সুইডিশ সংস্থার

ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল তার দাপট দেখানো। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে আট মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু আজও করোনা মোকাবিলার কোনও স্থায়ী ওষুধ পাননি চিকিৎসকরা। এসেছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ডেক্সামেথানোসের মতো সমাধানের কথা। কিন্তু এগুলি কোনওটাই স্থায়ী প্রতিকার নয়। বলা চলে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের টুকরো টুকরো অস্ত্র। এবার এমনই আরও এক জোরালো অস্ত্রের সন্ধান জানালেন সুইডিশ বিজ্ঞানীরা। এক নতুন সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রশ্নটা ছিল করোনাকে প্রথম সংক্রমিত অঞ্চলে অর্থাৎ নাকে বা মুখেই আটকানো যায় কিনা।

এখানেই একটি বৈপ্লবিক দাবি করছেন সুইডিশ বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ওই দেশের সংস্থা এনজিমাটিকার মাউথ স্প্রে কোল্ডজাইমের ক্ষমতা আছে মুখেই করোনা বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।

ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষের বেশি মানুষের। আক্রান্ত ১ কোটি চল্লিশ লক্ষের বেশি মানুষ। সুইডনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫০০০ মানুষ সক্রিয় ভাবে আক্রান্ত ৭৮ হাজার জন। সুইডেনের মতো ছোট দেশের নিরিখে যা নেহাত কম নয়।

এই পরিস্থিতিতে আশা জোগাচ্ছে এনজিমাটিকার মাউথ স্প্রে কোল্ডজাইম।

সংস্থার তরফে কোল্ডজাইমের ইন ভিট্রো ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। অনেক সময়েই চিকিৎসকরা নানা ধরনের জ্বরজ্বারিতে এই মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে বলেন জীবানুনাশক হিসেবে। ট্রায়ালে দেখা যায় কোভিড এবং আরও অন্য বেশকিছু ভাইরাসকে মুখেই নাশ করতে পারে এই ওষুধ।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, লোকাল লেভেলে এই সংক্রমণ আটকে দিতে পারলে বিরাট ঝক্কি বাঁচে। রোগীর প্রাণের ঝুঁকি থাকে না চিকিৎসার খরচও বেঁচে যায়। এখানেই এই মাউথ ওয়াশের কার্যকারিতা।

সংস্খার একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অতিদ্রুত কার্যকর হয় কোল্ডজাইনম। এবং SARS-CoV2 এর সঙ্গে লড়তে সক্ষম। ২০ মিনিটে অন্তত ৯৮.৩ শতাংশ করোনা ভাইরাসকে অকার্যকর করতে পারে এই ওষুধ দাবি সংস্থার।

সংস্থার তরফে আরও জানাচ্ছে, মার্কিন সংস্থা মাইক্রোব্যাক ল্যাবরেটরি স্বাধীন ভাবে পরীক্ষা করে জানিয়েছে এই মাউথস্প্রের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই