Train Robbery: অবিশ্বাস্য! চলন্ত ট্রেন থেকে ৩০০ কোটি টাকা লুট! ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রেন ডাকাতি! শুনে চমকে উঠবেন

Last Updated:
Train Robbery: ব্রিটেনের রয়্যাল মেইল নামে একটি ট্রেন আগের দিন সন্ধ্যায় গ্লাসগো থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং পরদিন সকালে পৌঁছানোর কথা ছিল।
1/6
আমরা সকলেই জানি, প্রায় বাসে বা ট্রেনের ছোটখাটো চুরি হয়। তবে এই প্রতিবেদনে এমন এক ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, যা আজ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রেন ডাকাতি। চলন্ত ট্রেন থেকে ৩০০ কোটি টাকা লুট করে একদল ডাকাত, যা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সময়টা ১৯৬৩ সালের ৮ অগাস্ট।
আমরা সকলেই জানি, প্রায় বাসে বা ট্রেনের ছোটখাটো চুরি হয়। তবে এই প্রতিবেদনে এমন এক ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, যা আজ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রেন ডাকাতি। চলন্ত ট্রেন থেকে ৩০০ কোটি টাকা লুট করে একদল ডাকাত, যা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সময়টা ১৯৬৩ সালের ৮ অগাস্ট।
advertisement
2/6
ব্রিটেনের রয়্যাল মেইল নামে একটি ট্রেন আগের দিন সন্ধ্যায় গ্লাসগো থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং পরদিন সকালে পৌঁছানোর কথা ছিল। এই ১২ বগির ট্রেনটির ইঞ্জিনের পিছনে ছিল হাই ভ্যালু প্যাকেজ কোচ। যেখানে রাখা ছিল ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থাৎ আজকের হিসেবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আর এইসব তথ্য আগে থেকেই ছিল ওই ডাকাত দলের কাছে।
ব্রিটেনের রয়্যাল মেইল নামে একটি ট্রেন আগের দিন সন্ধ্যায় গ্লাসগো থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং পরদিন সকালে পৌঁছানোর কথা ছিল। এই ১২ বগির ট্রেনটির ইঞ্জিনের পিছনে ছিল হাই ভ্যালু প্যাকেজ কোচ। যেখানে রাখা ছিল ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থাৎ আজকের হিসেবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আর এইসব তথ্য আগে থেকেই ছিল ওই ডাকাত দলের কাছে।
advertisement
3/6
ডাকাতরা অত্যন্ত ধূর্ততার সাথে এই কাজটি সম্পন্ন করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই ডাকাতরা ডাকাতির সময় কোন অস্ত্র ব্যবহার করেনি। শুধুমাত্র একটি লোহা রডের সাহায্যে তারা চলন্ত ট্রেন থেকে ১২৮টি মুদ্রার নোট ভর্তি বাক্স চুরি করে। ওই ডাকাতের দল এক মাস আগে থেকেই এই পরিকল্পনা শুরু করে। গর্ডন, এডওয়ার্ড এবং রেনল্ড ছিলেন পুরো ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড।
ডাকাতরা অত্যন্ত ধূর্ততার সাথে এই কাজটি সম্পন্ন করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই ডাকাতরা ডাকাতির সময় কোন অস্ত্র ব্যবহার করেনি। শুধুমাত্র একটি লোহা রডের সাহায্যে তারা চলন্ত ট্রেন থেকে ১২৮টি মুদ্রার নোট ভর্তি বাক্স চুরি করে। ওই ডাকাতের দল এক মাস আগে থেকেই এই পরিকল্পনা শুরু করে। গর্ডন, এডওয়ার্ড এবং রেনল্ড ছিলেন পুরো ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড।
advertisement
4/6
এই তিনজন ডাকাত হলেও এর আগে তাদের ট্রেন ডাকাতির কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। সেজন্য তাদের দলে আরো কয়েকজনকে নিয়ে আসে যারা ট্রেন ডাকাতের বিশেষজ্ঞ ছিল। এদিকে ট্রেন সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানতে একজন প্রাক্তন লোকো পাইলটকেও এই ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া একজন টেকনিশিয়ানও এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল, যার কাজ রেলের সিগন্যাল নষ্ট করা। যাইহোক, এই ১৬ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল এই ডাকাতির জন্য প্রস্তুত হয়।
এই তিনজন ডাকাত হলেও এর আগে তাদের ট্রেন ডাকাতির কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। সেজন্য তাদের দলে আরো কয়েকজনকে নিয়ে আসে যারা ট্রেন ডাকাতের বিশেষজ্ঞ ছিল। এদিকে ট্রেন সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানতে একজন প্রাক্তন লোকো পাইলটকেও এই ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া একজন টেকনিশিয়ানও এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল, যার কাজ রেলের সিগন্যাল নষ্ট করা। যাইহোক, এই ১৬ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল এই ডাকাতির জন্য প্রস্তুত হয়।
advertisement
5/6
এই ডাকাতরা লন্ডনে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা আগে সিগন্যাল পরিবর্তন করে ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিল। ওই টেকনিশিয়ান কাগজ দিয়ে সিগন্যালের সবুজ আলো ঢেকে দেন তারপর ব্যাটারির সাহায্যে লাল আলো জ্বালিয়ে দেন। ৮ অগাস্ট ভোর তিনটার দিকে ট্রেনটি এই সিগনালে পৌঁছায়। ট্রেন চালক লাল সিগন্যাল দেখে ট্রেন থামান।
এই ডাকাতরা লন্ডনে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা আগে সিগন্যাল পরিবর্তন করে ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিল। ওই টেকনিশিয়ান কাগজ দিয়ে সিগন্যালের সবুজ আলো ঢেকে দেন তারপর ব্যাটারির সাহায্যে লাল আলো জ্বালিয়ে দেন। ৮ অগাস্ট ভোর তিনটার দিকে ট্রেনটি এই সিগনালে পৌঁছায়। ট্রেন চালক লাল সিগন্যাল দেখে ট্রেন থামান।
advertisement
6/6
ট্রেন থামার সঙ্গেসঙ্গে ১৬ জন ডাকাত ট্রেনের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাদের মধ্যে একজন ইঞ্জিনে ঢুকে চালক জ্যাকের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর ডাকাতের দল সমস্ত মুদ্রার বাক্সগুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতরা আগে থেকেই একটি ট্র্যাক বাইরে রেডি করে রেখেছিল। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই সব টাকা সাফ হয়ে যায়।
ট্রেন থামার সঙ্গেসঙ্গে ১৬ জন ডাকাত ট্রেনের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাদের মধ্যে একজন ইঞ্জিনে ঢুকে চালক জ্যাকের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর ডাকাতের দল সমস্ত মুদ্রার বাক্সগুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতরা আগে থেকেই একটি ট্র্যাক বাইরে রেডি করে রেখেছিল। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই সব টাকা সাফ হয়ে যায়।
advertisement
advertisement
advertisement