America Pakistan: ভারত শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে জবরদস্ত দোস্তি, পাক মাটিতে 'বিশাল ব্যবসার' খোঁজ ট্রাম্পের, পড়েছে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর লোভী নজর!
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে অনেকটা বনিবনা কমেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের৷ এখন তাঁর নজর পাকিস্তান৷ সেখানেই বিশেষ সুবিধার কথা তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
অনেক আমেরিকান কোম্পানি এখন লোভী চোখে পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে। বলা হচ্ছে যে কিছু কোম্পানি পাকিস্তানের তেল ও গ্যাস খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এর কারণ হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন যে পাকিস্তানের "বিশাল" তেলের মজুদ রয়েছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য কেবল পাকিস্তান নয়, বিশ্ব জ্বালানি বিশ্বেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে, এমনকি পাকিস্তানও নিশ্চিত নয় যে পাকিস্তানের কোনও তেলের মজুদ আছে কিনা। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের কথা বিশ্বাস করা আমেরিকান কোম্পানিগুলির কতটা সঠিক হবে তা কেবল সময়ই বলবে।
advertisement
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক সম্প্রতি মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স ন্যাটালি এ. বেকারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই বৈঠকে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে যে এটি পাকিস্তান এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলির মধ্যে সরাসরি ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে।
advertisement
advertisement
যদি আমরা পরিসংখ্যানের কথা বলি, তাহলে পাকিস্তানের অবস্থান ততটা শক্তিশালী নয়। ২০১৩ সালের একটি প্রতিবেদনে ৯.১ বিলিয়ন ব্যারেল শেল তেলের আনুমানিক পরিমাণ ধরা হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয় বিশ্লেষকরা বলছেন যে প্রাকৃতিক মজুদ এর চেয়ে অনেক কম, প্রায় ২৩৮ মিলিয়ন ব্যারেল। তুলনামূলকভাবে, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়ন ব্যারেল মজুদ রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের আবিষ্কার খুবই সীমিত।
advertisement
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হল ২০০৯ সালে ন্যাশপা তেলক্ষেত্র এবং ২০১১ সালে মাকোরি পূর্ব, যেগুলি এখনও দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন ইউনিট। তা সত্ত্বেও, ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানের তেল উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে, দেশটি প্রতি বছর প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তেল আমদানি করে, যা তার মোট আমদানি ব্যয়ের এক পঞ্চমাংশ।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে অভ্যন্তরীণ তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পাকিস্তানের জন্য খুবই সহায়ক হবে, তবে এতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির অভাব, দুর্বল পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা বিদেশী কোম্পানিগুলিকে নিরুৎসাহিত করে। এই কারণেই এখন পর্যন্ত পাকিস্তান তার সম্ভাব্য তেল মজুদ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি।
তা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সরকার আশা করছে যে আমেরিকান কোম্পানিগুলি এই বছর প্রস্তাবিত অফশোর ব্লকের নিলামে আগ্রহ দেখাবে। যদি একটি বৃহৎ রিজার্ভ পাওয়া যায়, তাহলে এটি কেবল পাকিস্তানের জ্বালানি চাহিদাই কমাবে না বরং এর অর্থনীতিতেও স্বস্তি আনবে। কিন্তু এই সবকিছু সহজ নয় এবং আগামী মাসগুলিতে পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
তা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সরকার আশা করছে যে আমেরিকান কোম্পানিগুলি এই বছর প্রস্তাবিত অফশোর ব্লকের নিলামে আগ্রহ দেখাবে। যদি একটি বৃহৎ রিজার্ভ পাওয়া যায়, তাহলে এটি কেবল পাকিস্তানের জ্বালানি চাহিদাই কমাবে না বরং এর অর্থনীতিতেও স্বস্তি আনবে। কিন্তু এই সবকিছু সহজ নয় এবং আগামী মাসগুলিতে পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।