Donald Trump: 'এখনই নিউক্লিয়ার টাইম!' সই করে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! পারমাণবিক শক্তি নিয়ে বিরাট প্ল্যান আমেরিকার! কে হতে পারে নিশানা?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Donald Trump: পারমাণবিক শক্তিকে উৎসাহিত করতে চারটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
advertisement
পারমাণবিক শক্তিকে উৎসাহিত করতে চারটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার ট্রাম্প কর্তৃক স্বাক্ষরিত আদেশে রয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং ইউরেনিয়াম খনন ও শোধন কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আজ আমরা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে সই করছি, যা এই খাতে আমাদেরকে বিশ্বের শীর্ষ শক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে।”
advertisement
এই আদেশগুলোর লক্ষ্য হল, নতুন পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর নির্মাণের গতি বাড়ানো, ঘরোয়া ইউরেনিয়াম উত্তোলন ও পরিশোধন কার্যক্রম জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এই গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানির আমদানি নির্ভরতা থেকে বের করে আনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, তাঁর প্রশাসনের বিশেষ লক্ষ্য হল ছোট আকারের পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর তৈরি করা, যা বড় প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআইও) কোম্পানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশাল বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে পারবে।
advertisement
advertisement
advertisement
এ উদ্যোগ এমন এক সময় নেওয়া হয়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, যদিও এটি ব্যয়বহুল। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর এখনও বিষয়টি অনেকের কাছে স্পর্শকাতরও বটে। হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতিবিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক মাইকেল ক্রাটসিয়োস বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক জাগরণের ঐতিহাসিক সূচনা করেছেন।”
advertisement
advertisement
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই ‘জ্বালানি জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেন, যার মাধ্যমে তেল ও গ্যাস খনন বাড়ানো হয় এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু নীতিগুলো বাতিল করা হয়। তবে এখন ট্রাম্প পারমাণবিক শক্তির দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো পরিবেশবান্ধব কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ চাইছে এবং পারমাণবিক শক্তির চুক্তি করছে।
advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি জ্বালানি কোম্পানিও তাদের পুরনো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে থ্রি মাইল আইল্যান্ড, যা ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনাস্থল। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়ামের বেশিরভাগই আমদানি করে, ট্রাম্পের খনি ও ইউরেনিয়াম শোধন কার্যক্রম বাড়ানোর এটিও বড় কারণ।
advertisement
advertisement