America Strikes Iran: ‘ফরডো শেষ!’...১টা নয়, ২ টো নয়, ৬ ছ’টা ‘বাঙ্কার বাস্টার’! ইরানকে গুঁড়িয়ে দিতে GBU-57,সেই গোপন অস্ত্র বের করল ট্রাম্প
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ফরডো পরমাণু কেন্দ্রকে ভেঙে তছনছ করে দিতে পারে আমেরিকার বাঙ্কার বাস্টার৷ পরমাণু শক্তিধর ইরানের পরমাণু শক্তিকেই শেষ করে দিতে চায় ট্রাম্প৷ তাই বেছে বেছে নিউক্লিয়ার সাইটেই হামলা আমেরিকার অন্যতম নন নিউক্লিয়ার অর্থাৎ, অপারমাণবিক শক্তিধর বোমা দিয়ে৷ আমেরিকার হামলা নিঃসন্দেহে আরও ভয়ঙ্কর দিকে গড়িয়ে দিল ইজরায়েল ইরান যুদ্ধকে৷ এখন পরবর্তী ঘটনাবলি কী হয়, সেটাই দেখার৷
advertisement
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, ‘ইরানের তিন নিউক্লিয়ার সাইট ফরডো, নাতানজ এবং ইসফাহানে সফল অ্যাটাক সম্পূর্ণ করেছি৷ আমেরিকার সব প্লেন এখন নিরাপদে ইরান এয়ারস্পেসের বাইরে চলে এসেছে৷ ফরডোতে বিশাল পরিমাণে বোমা ফেলা হয়েছে৷ ফরডো শেষ৷’ পাল্টা ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, এবার তাদের পালা৷ ওই এলাকায় থাকা সমস্ত মার্কিন ঘাঁটি এখন ওদের টার্গেট৷
advertisement
এর পরে ৩ মিনিটের জন্য দেশকে দেওয়া ভাষণে হুঁশিয়ারির সুরে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘হয় পিস নয়, ট্র্যাজেডি৷ শান্তি যদি সহজে না আসে, তাহলে আমরা আরও টার্গেট তৈরি করে রেখেছি৷’ ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফরডোর পরমাণু কেন্দ্রে বিপুল বোমা সহ ৬টা বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলা হয়েছে৷ আর ৩০ টা টোমাহক মিসাইল ফেলা হয়েছে অন্যান্য নিউক্লিয়ার সাইটে৷ ছবিতে -টোমাহক
advertisement
জল্পনা চলছিলই, ইরান ইজরায়েলের যুদ্ধে সরাসরি মাঠে নামলে নিজের সিক্রেট উইপেন ‘বাঙ্কার বাস্টার’ ব্যবহার করবে ট্রাম্প৷ কী এই অত্যাধুনিক অস্ত্র? কতটা বিধ্বংসী৷ পাহাড়ের নীচে গুহার আড়ালে কংক্রিট, স্টিলের মোটা দেওয়ালের আড়ালে তৈরি করা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রকে সত্যিই কি ধ্বংস করে দিতে পারে এই ‘বাঙ্কার বাস্টার’?
advertisement
advertisement
ডাক নাম বাঙ্কার বাস্টার, আর ভাল নাম, ম্যাসিভ অর্ডান্স পেনিট্রেটরস (MOPS)৷ এই বোমা একেবার নির্দিষ্ট টার্গেটে মাটি, পাথর, কংক্রিট ভেদ করে লক্ষ্যের বাঙ্কারে হামলা চালাতে পারে৷ বোমার বিস্ফোরণও হয় মাটির নীচেই৷ প্রায় ৫০০০ কেজি বোমা বওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই অস্ত্রের৷ U.S. Air Force B-2 Spirit bomber, reuters
advertisement
সর্বাধুনিক বাঙ্কার বাস্টার GBU-57A/B বোমা তৈরি স্টিল অ্যালয় দিয়ে৷ ফেলা হয় বড় যুদ্ধ বিমান থেকে৷ এতে থাকা GPS একে পৌঁছে দেয় নির্দিষ্ট টার্গেটে৷ মাটির যত কাছাকাছি যায়, ততই বাড়ে তার গতিবেগ৷ ফলে মাটি ছোঁয়া মাত্র বিরাট বড় দৈত্যাকার পেরেকের মতো পাথুরে জমি, কংক্রিটের দেওয়াল ফুঁড়ে পৌঁছে যায় লক্ষ্যের বাঙ্কারে৷ তারপর বিস্ফোরণ ঘটায়৷ graphic- bbc
advertisement
নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রের মতোই তবে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউক্লিয়ার ফেসিলিটি সাইট এই ফরডো৷ তেহরান থেকে ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে থাকা এই ফরডো পরমাণু কেন্দ্রও লুকিয়ে রয়েছে পাহাড়ে পাথুরে জমির ৮০-৯০ মিটার গভীরে তৈরি করা বাঙ্কারে৷ ট্রাম্প জানিয়েছেন, একটা নয়, ২ টো নয়, ৬টা বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে এদিনের অপারেশনে৷ ফরডোতে যদি একাধিক বাঙ্কার বাস্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে তা ভালভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা৷
advertisement
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ফরডো পরমাণু কেন্দ্রকে ভেঙে তছনছ করে দিতে পারে আমেরিকার বাঙ্কার বাস্টার৷ পরমাণু শক্তিধর ইরানের পরমাণু শক্তিকেই শেষ করে দিতে চায় ট্রাম্প৷ তাই বেছে বেছে নিউক্লিয়ার সাইটেই হামলা আমেরিকার অন্যতম নন নিউক্লিয়ার অর্থাৎ, অপারমাণবিক শক্তিধর বোমা দিয়ে৷ আমেরিকার হামলা নিঃসন্দেহে আরও ভয়ঙ্কর দিকে গড়িয়ে দিল ইজরায়েল ইরান যুদ্ধকে৷ এখন পরবর্তী ঘটনাবলি কী হয়, সেটাই দেখার৷