সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য সেরা দেশ: মূল্যস্ফীতি যে হারে বাড়ছে, বহু মানুষই এখন ফ্যামিলি প্ল্যানিং করার আগে ১০০ বার ভাবে৷ সন্তানের জন্ম দেওয়াই তো শেষ কথা নয়! তাঁদের ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো, চিকিৎসা ও শিক্ষার বন্দোবস্ত করা, এ সবই গুরু দায়িত্ব। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই এখন সন্তানধারণের বিষয়ে খুব একটা উৎসাহ বোধ করেন না৷ কিন্তু, এমন ভাবনাই সমাজের অধিকাংশ মানুষ ভাবতে শুরু করলে মহা মুশকিল৷ নষ্ট হয়ে যেতে পারে পরিবেশের ভারসাম্য৷ তাই একাধিক দেশ এখন সন্তান উৎপাদনের জন্য করছে বিশেষ সাহায্য৷ থাকছে নগদ পুরস্কার, এমনকি দেওয়া হচ্ছে বাচ্চার ডায়াপার কেনার পয়সাও৷ অবাক হবেন না..
গত কয়েক বছরে এশিয়ার দেশ জাপানে বৃদ্ধ মানুষের জনসংখ্যা হুহু করে বেড়েছে৷ কমেছে নবজাতকের জন্মের হার৷ তারপর থেকেই দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা করেছে সে দেশের সরকার। জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখানকার মানুষ বিয়ে ও প্রেমের সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। এমতাবস্থায়, এখানে সরকার শিশু জন্মের প্রচারে ঘোষণা করেছে নগদ পুরস্কার৷ বলা হয়েছে, একটি শিশু উৎপাদন করলেই তার বাবা-মা কে এককালীন ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
শিশুদের জন্মের জন্য যে সমস্ত দেশ পুরস্কার দেয়, তার মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। এখানে ১২ সেপ্টেম্বর, একটি সরকারি ছুটি দেওয়া হয়৷ ওই ছুটি বরাদ্দ সন্তান উৎপাদনের জন্য। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ঠিক ৯ মাস পরে, যদি কোনও শিশু জন্মায়, তাহলে পরিবারকে বাড়ি-গাড়ি এমনকি ইলেকট্রনিক সামগ্রীও উপহার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সন্তান জন্ম দিলে নারীদের প্রায় ৭ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
বেলারুশ সরকার সন্তানের জন্মের পর ৩ বছর পরিবারকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। জন্মের পর দেওয়া হয় ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তারপরে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। শিশুটির যাতে দুধ, ডায়াপার বা অন্য কোনওর সামগ্রীর কোনও অভাব না হয়, সেই কারণেই ওই টাকা বাবা-মায়ের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়।
ফিনল্যান্ডের লেস্টিজারভি পুরসভায় ২০১৩ সাল থেকে শিশু বোনাসও শুরু হয়েছে৷ যার অধীনে শিশুটি জন্মের সাথে সাথে প্রায় ৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই দেশগুলিতে, এই ধরনের বোনাসের মাধ্যমে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য লোকেদের উত্সাহিত করা হয়৷ কারণ জমির তুলনায় এদের জনসংখ্যা অত্যন্ত কম। (সমস্ত ফটো ক্রেডিট- ক্যানভা)