লাদাখেই নতুন সিয়াচেন? প্রাণঘাতী ঠান্ডায় সেনা মোতায়েনে প্রতিদিন খরচ ১০০ কোটি!
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ পড়তে না পড়তেই পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা প্রায় শূন্য ডিগ্রির কাছাকাছি চলে গিয়েছে৷ যা চলবে এপ্রিল পর্যন্ত৷
সামরিক স্তরে সাত দফার আলোচনা হয়েছে৷ তার পরেও লাদাখে ভারত এবং চিনা সেনা আগের অবস্থানেই অনড়৷ গোটা গ্রীষ্মকালই দুই বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকার পর এবার আগামী শীতেও লাদাখের প্রবল ঠান্ডাতেও তারা সংঘাতের অবস্থান থেকে সরে আসবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আর সেই মতোই শত্রুপক্ষের পাশাপাশি শীতের সঙ্গে মোকাবিলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনা৷ Information- Rajiv Kumar/Photo-PTI
advertisement
অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ পড়তে না পড়তেই পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা প্রায় শূন্য ডিগ্রির কাছাকাছি চলে গিয়েছে৷ যা চলবে এপ্রিল পর্যন্ত৷ এই অঞ্চলেই প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় সেনা সমসংখ্যক চিনা সেনার বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ আর এই কারণেই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতিকে সিয়াচেনের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ৷
advertisement
পৃথিবীর অন্যতম প্রতিকূল স্থান হিসেবেই পরিচিত সিয়াচেন৷ সিয়াচেনের পরিস্থিতি কতটা প্রতিকূল, তা কয়েকটি তথ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায়৷ বিশ্বের সবথেকে উচ্চতম, ঝুঁকিপূর্ণ এবং খরচসাপেক্ষ লড়াইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সিয়াচেন৷ ১৯৮৪ সাল থেকে সেখানে কর্তব্যরত প্রায় ১০০০ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে৷ যার মধ্যে অধিকাংশই মারা গিয়েছেন প্রতিকূল পরিবেশ এবং আবহাওয়ার কারণে৷
advertisement
৭৬ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সিয়াচেন হিমবাহে তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে৷ তুষারপাত, তুষারঝড় বা আচমকা বরফের মধ্যে চিড় ধরে তলিয়ে যাওয়ার মতো বিপদ যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে৷ তার উপর অক্সিজেনের ঘাটতি তো রয়েইছে৷ সিয়াচেনে তীব্র ঠান্ডায় বহু সেনা জওয়ানের শরীরের তাপমাত্রা কমে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে৷
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
সেই কারণেই অত উচ্চতায় মোতায়েন করা সেনা জওয়ানদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন, পোর্টেবল কেরোসিন হিটার, জ্বালানি সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস জরুরি ভিত্তিতে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর পাশাপাশি বরফে রাস্তা বন্ধ হওয়ার আগেই ট্যাঙ্ক, কামান সহ যাবতীয় সাজ সরঞ্জাম বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে ভারতীয় সেনাকে৷
advertisement