পলাশের তলায় যদি কাটানো যেত দোলটা, তবে মন্দ হত না। কিন্তু শান্তিনিকেতনে তো সকলেই যায়। একটু অন্য রকম কোথাও গেলে কেমন হয়! আর যদি সেই জায়গাটা হয় অযোধ্যা পাহাড়। ভাবুন তো পাহাড়ে ঘেরা অরণ্যের মাঝ খানে আপনি দোল খেলছেন। মজাটাই আলাদা। এমনই এক পলাশ পরব হয় অযোধ্যা পাহাড়ের নীচে। বাগমুন্ডি আর অযোধ্যা যেন মিলেমিশে একাকার এখানে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই নাম শুনে। ওখানকার মানুষেরা শহরের জটিল জীবনের ছোঁয়া এখনও পাইনি। তাই তাঁরা সহজেই আপনাকে করে নেবে আপন। আদিবাসিদের সঙ্গে মিশে গিয়ে আপনিও যেন এই উৎসবে হয়ে উঠতে পারেন মাটির মানুষ।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
দোলের দিন সারাদিন রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। বিকেলে আবার হবে ছৌ নাচ। পুরুলিয়ার এই নাচের কথা কে না জানে! তারপর হবে কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। এবছর পলাশ পরবে উপস্থিত আছেন লেখক জয়ন্ত দে, গায়ক বিপুল-অনুশ্রী, নাট্যকার-অভিনেতা শেখর সমাদ্দার, কবি কমলেন্দু সরকারের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সারা মেলের তদারকি করলেন পুরুলিয়া নামী কবি নির্মল হালদার তার সঙ্গে ছিলেন কবি অভিমন্যু মাহাতো, জনার্দন মাহাতো। আরও অনেকেই
advertisement
যখন পূর্ণিমার গোটা চাঁদ কামরাঙা জ্যোৎস্নায় ধুয়ে দিচ্ছে পাহাড়-অরণ্য তখন প্রকৃতি হয়ে উঠেছে মাতাল। চাঁদের আলোয় পলাশ হয়ে উঠেছে এক সুন্দরী আদিবাসী রমণী। এ দৃশ্য ভোলার নয়। এবার ছিল চতুর্থ পলাশ পরব। পরের পলাশ পরবের জন্য তৈরি হয়ে যান আপনিও। প্রকৃতির সঙ্গে রঙের উৎসবকে গায়ে মেখে নিতে হলে এর থেকে ভাল জায়গা বোধহয় আর কিছু নেই।