Cyclone Tauktae: কীভাবে নামকরণ হয়েছে টাউটে? পরের ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম কী ? জেনে নিন

আজ, সোমবার রাতেই গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ঘূর্ণিঝড় Tauktae-এর। মায়ানমারের দেওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম Tauktae (বাংলায় উচ্চারণ তুকতি আর ইংরেজিতে টাউটে ) দক্ষিণ-পূর্ব আরবসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এখন পরিণত হয়েছে চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। উত্তর, উত্তর পশ্চিম দিকে এটি অগ্রসর হচ্ছে। ১৭ মে সোমবার রাতেই এটি স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা। এখনও পর্যন্ত যা অভিমুখ আছে আজ বিকেলে গুজরাতের পোরবন্দর ও মাহবুবার(ভাবনগর) মাঝে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের এমন অদ্ভুতুরে নাম নিয়ে ইতিমধ্য়েই আলোচনা শুরু হয়েছে। কে রাখল এমন নাম? নামের মানেই বা কী?

Cyclone Tauktae নামটি মায়ানমারের দেওয়া। মায়ানমার শব্দ ‘গেকো’ থেকেই এসেছে তওতে নামটি। যার মানে উচ্চস্বর যুক্ত টিকটিকি জাতীয় প্রাণী (highly vocal lizard)।

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকার দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। সেইমতো, ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (WMO/ESCAP) সংগঠনটি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে উৎপন্ন হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।

সেই মতো বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে উৎপন্ন হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্য-বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-সহ ১৩টি দেশ। যেমন ভারতের তরফে নামের তালিকা পাঠায় আইএমডি বা মৌসম ভবন।

উত্তর ভারত মহাসাগরের মধ্যে ৪৫ ডিগ্রি পূর্ব থেকে ১০০ ডিগ্রি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর বা আইএমডি। যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় কমপক্ষে তিন মিনিট বাতাসে স্থায়ী হয় এবং গতিবেগ সর্বনিম্ন ঘন্টা প্রতি ৬৩ কিলোমিটার হয় সেই ঝড়ই ২০২০-র নতুন তালিকার ১৩ দেশের দ্বারা নামাঙ্কিত হয়।

১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দিয়ে ১৬৯টি নামের তালিকা প্রস্তুত করেছে। সেই হিসেবেই পর্যায়ক্রমে নাম পেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়সমূহ।

১৩টি দেশের দেওয়া প্রথম নামের মধ্যে পর্যায়ক্রমে- তাউটে, যাস, গুলাব, শাহীন, জওয়াদ, অশনি, সিতরং, ম্যানডৌস এবং মোচা নামক ঝড় আগামী দিনে বয়ে আসতে পারে।

ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউটে। সোমবার সন্ধেতেই ভয়ঙ্কর রূপে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়বে এই সাইক্লোন। জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট। ইতিমধ্যেই গোয়া, মহারাষ্ট্র, কেরল ও কর্ণাটকের বেশ কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও ঝড়ে বানভাসি অবস্থা।

আজ সন্ধে থেকে কাল ভোরের মধ্যে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ে ধ্বংসলীলা চালাবে তাউটে। জানা যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে। অন্যদিকে গোয়ার বেশ কিছু অঞ্চল ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। রাস্তাঘাটে ঝড়ের জেরে গাছ পড়ে রয়েছে। রাস্তায় জল জমেছে। ফলে স্বাভাবিক যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।