Explained: মুখভরা দাড়ি নয়, করোনায় সংক্রমিত না হতে চাইলে মেনে চলুন এই স্টাইলগুলো; জেনে নিন কেন
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
দাড়ি আর গোঁফের বাহার করোনাভাইরাসকেও আকর্ষণ করছে, জানাচ্ছে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন
বছর কয়েক হয়ে গেল চাপ দাড়ির ফ্যাশন আবার এসেছে ফিরে। যাঁর যে রকম রোমের বৃদ্ধি, সেই মতো কাজে লাগিয়ে ভারতীয় পুরুষদের একটা বড় অংশ হয়ে উঠতে চাইছেন শ্মশ্রুগুম্ফশোভিত। গালভরা দাড়ি আর পাকানো গোঁফের বাহার, সন্দেহ নেই, পৌরুষকে করে তুলছে ব্যঞ্জনাদৃপ্ত, কাজে আসছে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকার মাধ্যম হিসেবে। কিন্তু একই সঙ্গে ওই দাড়ি আর গোঁফের বাহার করোনাভাইরাসকেও আকর্ষণ করছে, জানাচ্ছে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
advertisement
সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন কোনও ধর্মীয় আবেগে আঘাত দিতে চায় না। কেন না, শুধু ফ্যাশন নয়, অনেক সময়ে ধর্মীয় কারণেও দাড়ি-গোঁফ বাড়িয়ে থাকেন অনেক ভারতীয় পুরুষ। কিন্তু এর ফলে ধর্মপালন সম্ভব হলেও করোনাবিধি পালন সম্ভব হচ্ছে না, মাস্ক পরলেও তা মুখে ঠিক ভাবে এঁটে বসছে না, থেকে যাচ্ছে কিছু ফাঁকফোকর।
advertisement
২০১৭ সালে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন একটি সমীক্ষার দ্বারা জানিয়েছিল যে কোনও মাস্কই সম্পূর্ণ ভাবে মুখে এমন আবরণ তৈরি করতে পারে না যা কোনও ভাইরাসকে শতকরা ১০০ ভাগ ঠেকিয়ে রাখবে, সে এন ২৫ মাস্কই হোক কী সার্জিক্যাল মাস্ক হোক! এবার যদি মুখ দাড়িতে ভরা থাকে, তাহলে মাস্কের কার্যকারিতা ওই রোমের উপস্থিতিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
advertisement
মাস্ক এবং দাড়ির মধ্যে এই সম্পর্ক বোঝার আগে মাস্ক কী ভাবে কাজ করে, সেটা জানা প্রয়োজন। ভাইরাস আমাদের নাক দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে পৌঁছায়। এক্ষেত্রে আমরা যখন মাস্ক পরে থাকি, তখন তার লেয়ার বা স্তরগুলো ফিল্টারের কাজ করে। এতে ধাক্কা খেয়ে জীবাণু বাইরে থাকে আর পরিস্রুত বাতাস শরীরের ভিতরে পৌঁছে যায়। তাছাড়া এই মাস্কগুলোয় কোনও ফুটো থাকে না। ফলে শ্বাস নেওয়ার সময়ে বাতাস ভিতরে যেমন ঢুকতে পারছে না, তেমনই ঢুকতে পারছে না ভাইরাসও।
advertisement
সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানাচ্ছে যে অনেকে ভাবেন তাঁদের দাড়ি এই ফিল্টারের কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু আদতে তা হয় না। বরং, মুখ দাড়িতে ভরা থাকলে মাস্কটা ঠিক মতো মুখ ঢেকে রাখতে পারে না। ফলে, পাশ দিয়ে ভাইরাস ঢোকার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া রোমের প্রান্তভাগ নরম মাস্কে আঘাত করে তার মধ্যে ফুটো তৈরি করে দেয় যা খালি চোখে দেখা যায় না। এই ফুটো দিয়েও আবার ভাইরাস প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে ২০ থেকে ১০০ গুণ। এতে সংক্রিমত ব্যক্তির থেকে চারপাশের লোকজনও সহজেই আক্রান্ত হন অসুখে।
advertisement
advertisement
একান্তই যদি দাড়ি রাখতে হয়, সেক্ষেত্রে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন কয়েকটি নির্দিষ্ট স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে। এগুলো হল- সোল প্যাচ, সাইড হুইস্কার, পেন্সিল, টুথব্রাশ, ল্যাম্পশেড, জোরো, জেপা, ভেলরাস, পেইন্টার ব্রাশ এবং হ্যান্ডেলবার স্টাইল। সংস্থার দাবি, এই সব স্টাইলের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক ঠিক মতো বসার সমস্যাটি থাকে না।