কেন বারবার তৈরি হয় Cyclone, Tauktae-র পরপরই আসছে Yaas, কী কারণ

২২ তারিখ আসছে দিন, আন্দামান সাগরে এবং বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে৷ আর ২৪ তারিখ নাগাদ সাইক্লোনিক স্টর্ম (cyclonic storm) পরিণত হয়েছে৷ সাইক্লোন Tauktae পশ্চিম উপকূলে তাণ্ডব চালানোর ১৫ দিনের মধ্যেই আবার ঝাঁপিয়ে পড়ছে, এটা মরশুমের দ্বিতীয় সাইক্লোন৷ আইএমডি Cyclone Yaas আছড়ে পড়বে৷ আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর সেটি ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসবে৷

ক্রান্তীয় অঞ্চলে মহাসাগর বা সাগরের ওপর তৈরি হয় সাইক্লোন৷ কারণ এই এলাকায় সূর্যের কিরণ সবচেয়ে বেশি পড়ে. তারই জেরে স্থল ও জল গরম হয়ে যায়৷ স্থলভাগ গরম হয়, আর্দ্র ও উষ্ণ বায়ু মহাসাগরের ওপরের দিকে ওঠে৷ এরপরেই সেই খালি জায়গা ভর্তি করতে অন্য স্থানের ঠাণ্ডা হাওয়া সেখানে ছুটে আসে এরপর সেটাও গরম হয়ে একইভাবে উঠে যায় এই ভাবে এই বৃত্ত চলতে থাকে৷

বায়ু সবসময় উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চল থেকে নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলের অভিমুখে ধাবমান হয়৷ ঠাণ্ডা এলাকায় উচ্চচাপ তৈরি হয় আর উষ্ণ এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি হয়৷ তুন্দ্রা ও মেরু অঞ্চস উচ্চচাপ বলয়ে থাকা কারণ সেখানে ক্রান্তীয় এলাকার থেকে তির্যক সূর্যকিরণ পড়ে৷

এরপর আসরে আসে পৃথিবীর গতি৷ সেটা পশ্চিম থেকে পূর্বে৷ পৃথিবীর গতির কারণে বায়ুতে বিচ্যূতি তৈরি হয়৷ পৃথিবীর বিষুবরেখা বরাবর এই হাওয়ার বিচ্যূত হওয়ার গতি মেরু এলাকার থেকে অনেক বেশি৷ মেরু এলাকা থেকে তাই হাওয়া বইতে শুরু করে৷ সেমেরু এলাকার বায়প ডানদিকে ও কুমেরু এলাকার বায়ু বাম দিকে যায়৷

ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বায়ুর স্বাভাবিক একটা দিশা রয়েছে৷ কিন্তু এটাই যখন উষ্ণতর এলাকায় পৌঁছে যায় তখন ঠাণ্ডা বায়ু ওই শূন্য জায়গা পূর্ণ করতে ছোটে৷ ঠাণ্ডা বায়ুর বিচ্যূতি হতে শুরু করায় বাতাসে মুভমেন্ট তৈরি হয়৷ এটা চলতে থাকা যতক্ষণ না সাইক্লোন ভূমিতে ধাক্কা মারে৷

সাইক্লোন যখন স্থলভাগে আঘাত করে তখন উষ্ণ বায়ু ওপরে উছকে থাকে আর ঠাণ্ডা বায়ু আর পায় না৷ আর্দ্র বায়ু উর্ধ্বে উঠে মেঘ তৈরি করে ও বৃষ্টিপাত ঘটায়, যা সাইক্লোনের ঘূর্ণাবর্ত বায়ুর সঙ্গে চলতে থাকে৷