Rituparna Sengupta: প্রবাসী কিশোরীর গানে মুগ্ধ ঋতুপর্ণা, রোশনির গানে রোশনাই ছড়াবে আশাবাদী টলি-কুইন
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
প্রবাসী বঙ্গসন্তান রোশনির গানে মুগ্ধ ঋতুপর্ণা: উৎসাহ দিতে এগিয়ে এলেন।
#কলকাতা: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের উৎসাহে বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন টেক্সাসের প্রবাসী বঙ্গসন্তান রোশনি বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরকার অশোক ভদ্রের মাধ্যমে রোশনীর সঙ্গে ঋতুপর্ণার আলাপ। ১৫ বছরের রোশনির গলার সুর ঋতুপর্ণা কে মুগ্ধ করে। এই বয়সে এত পরিণত কন্ঠ খুব কম শোনা যায় এমনটাই দাবি অভিনেত্রীর। রোশনি তাঁর গানের অ্যালবাম প্রকাশের জন্য কলকাতায় এলে ছোট্ট মেয়েটিকে উৎসাহ দিতে তাঁর পাশে দেখা যায় টলি কুইন ঋতুপর্ণাকে। রোশনি তাঁর অ্যালবামে কুমার শানু ও নাকাস আজিজের সঙ্গে গান গেয়েছেন। সেইসঙ্গে রয়েছে তাঁর দুটো সোলো গান। বাংলা ও হিন্দি গানের অ্যালবামটি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যতবারই শুনেছেন ততবারই মুগ্ধ হয়েছেন।
advertisement
তাঁর কথায়, "বিদেশে বড় হয়েও রোশনি এত সুন্দর ভাবে তাঁর গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিখ্যাত গায়কদের সঙ্গে অ্যালবাম প্রকাশ করে সত্যি শ্রোতাদের অবাক করে দিয়েছে। তাঁর পরিণত গলা প্লে ব্যাক সিঙ্গিংয়ের এর জন্য একেবারে পারফেক্ট। তাই কলকাতায় যখন রোশনি এসেছে তাঁর অডিও ট্র্যাক প্রকাশ করতে তখন ছোট্ট মেয়েটিকে উৎসাহ দিতে আমি নিজে থেকে এগিয়ে এলাম। অশোক দা আমার বহু ছবির গানের সুর দিয়েছেন। উনার মুখেই রোশনির কথা প্রথম শুনি এবং ওর সঙ্গে দেখা করে ওর গান শুনে বুঝলাম যে সত্যি মেয়েটি একটি রেয়ার ট্যালেন্ট।
advertisement
রোশনির বাবা-মা কলকাতার। জন্মসূত্রে সে বঙ্গতনয়া, তবে তার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা পুরোটাই আমেরিকার টেক্সাসে। রোশনি যখন খুব ছোট তখনই তার মা বুঝেছিলেন যে তার গলায় সরস্বতীর বাস। তাই বিদেশে থেকেও মেয়েকে তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা চালিয়ে যান। পন্ডিত যশরাজের সুযোগ্য ছাত্র পন্ডিত সুমন ঘোষের কাছে রোশনী ছোট থেকেই তালিম নিয়েছেন।সেইসঙ্গে সে যখনই ভারতে আসে তখনই সুরকার অশোক ভদ্রের কাছ থেকে বাংলা ও হিন্দি প্লেব্যাক সিঙ্গিংয়ের শিক্ষা নিয়ে থাকে।
advertisement
আরও অবাক করার মত বিষয় হলো জন্মসূত্রে আমেরিকায় থাকায় রোশনি বাংলা অথবা হিন্দি বুঝতে পারলেও কোনটাই ঠিকমতো বলতে পারে না। কিন্তু তাঁর নিষ্ঠা ও চর্চার জোরে সে এত সুন্দরভাবে বাংলা লিরিক্স মুখস্ত এবং কন্ঠস্থ করেছে যা সত্যিই বিস্ময়ের বিষয়। তাঁর গান শুনে বোঝার জো নেই যে রোশনী বাংলা বা হিন্দি বলতে পারে না। শুধু ঋতুপর্ণাই নন, রোশনির মিউজিক্যাল কেরিয়ারের জন্য এদেশের অনেক বিশিষ্ট শিল্পীরাই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । রোশনি যে একদিন প্লেব্যাক সিঙ্গিংয়ের আকাশে নিজের জায়গা করে নেবে সে বিষয়ে কারও কোনো দ্বিমত নেই । Input- Manash Basak