Bollywood Gossip: নায়িকার পোড়া কপাল! শাশুড়ির থাপ্পড় সহ্য করেও করেছেন সংসার, বরের নির্দেশে পরপুরুষের সঙ্গে কাটাতে হয়েছে রাত! তারপর যা হল...

অভিনেত্রী হিসেবে টপ ক্লাস! এক সময়ের এক নম্বর নায়িকা৷ সুন্দরী, বড় ঘরের৷ কিন্তু তাঁর যে বিয়ের পর এমন ভাগ্য কে জানত! শ্বশুরবাড়িতে চূড়ান্ত হয়রানি হয়ে হয়েছে৷ শাশুড়ির হাতে নিয়মিত খেয়েছেন মার! আর বর তো নিজেই ঠেলে দিয়েছেন পরপুরুষের কাছে৷

এমন শ্বশুরবাড়ির ঘর করেও মন জয় করতে পারেননি তিনি৷ বিয়ের পরপরই প্রথম সন্তান জন্ম নেয়৷ তার আরও কয়েক বছর পর আবার কোলে আসে আর এক সন্তান৷ কিন্তু নামী নায়িকা হিসেবে তখন কাজ ছিল পুরোপুরি বন্ধ৷ হিট ছবি দিয়েও কাটাতে হয়েছে শ্বশুরবাড়ির অন্ধকারময় ঘর৷ তবে আর সহ্য করতে পারেননি তিনি৷ বেছে নেন চরম পথ....নিজের সন্তানদের নিয়ে ফিরে আসেন বাপের বাড়ি৷ ডিভোর্সের জন্য দরবার করেন৷ শেষমেষ পেয়েও যান৷ তবে তাঁর প্রাক্তন বরের ভয়ঙ্কর মৃত্যু আবার নাড়িয়ে দেয় তাঁকে৷ কে এই নায়িকা?

কাপুর পরিবারের মেয়ে, যিনি অনেক পুরনো নিয়ম ভেঙে অভিনয়ে পা রেখেছিলেন। আগে কাপুর পরিবারের পুত্রবধূ এবং কন্যাদের কাজ করার অনুমতি ছিল না। শুধুমাত্র এই নিয়মের কারণেই শাম্মী কাপুর এবং মমতাজের বিয়ে হতে পারেনি। কারণ মমতাজ স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে তিনি বিয়ের জন্য নিজের ক্যারিয়ার ছাড়তে পারবেন। এই কারণেই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

আমরা যে কাপুর পরিবারের কথা বলছি তাঁর প্রিয়তম হলেন করিশ্মা কাপুর। তিনি বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন এবং রাজত্ব করেছিলেন। তিনি অনেক সুপারস্টারের সঙ্গে সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন এবং তার অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন। মানুষ এটাও বলতে বাধ্য হয়েছিল যে করিশ্মাও কাপুর পরিবারের অন্যান্য সুপারস্টারদের মতো একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। কিন্তু রণধীর কাপুর এবং ববিতার মেয়ে কারিশমা কাপুরের বিয়ে ছিল বেদনাদায়ক।

করিশ্মা কাপুর একসময় অমিতাভ বচ্চনের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে যাচ্ছিলেন। 

জয়া বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চনের সাথেও তার সম্পর্ক নিশ্চিত হয়েছিল কিন্তু কিছু বিরোধের কারণে অভিষেক এবং করিশ্মার বাগদান ভেঙে যায়। এর পরে, ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর করিশ্মা কাপুরের জীবনে আসেন এবং তাদের দুজনেরই জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে হয়।

সঞ্জয় কাপুর এবং করিশ্মা কাপুরের সম্পর্ক ২০০৩ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে ভেঙে যায়। তাদের দুজনের বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কেবল সম্পর্ক ভেঙেই যায়নি, অনেক অপমানও হয়েছিল। করিশ্মা কাপুর তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন, যার মধ্যে পারিবারিক হিংসাও ছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল যে করিশ্মা কাপুরকে তাঁর স্বামী সঞ্জয় কাপুর তাঁদের বিয়ের রাতে তার বন্ধুদের সঙ্গে সহবার করতে বলেছিলেন।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, করিশ্মা কাপুরের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে, তিনি সঞ্জয় কাপুরের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। তার মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক অভিযোগ ছিল যে গর্ভাবস্থার পরে, যখন তিনি পোশাক পরতে পারছিলেন না, তখন সঞ্জয় তাঁর শাশুড়িকে তাঁকে চড় মারতে বলেছিলেন।

এই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে করিশ্মা কাপুর দাবি করেছেন যে সঞ্জয় কাপুরও দিল্লিতে অন্য এক মহিলার সাথে থাকতেন এবং তাদের একটি সন্তানও ছিল। এদিকে, কারিনা কাপুরের বোন করিশ্মা বলেছিলেন যে সঞ্জয় কাপুর এবং তার শাশুড়িও তাঁকে যৌতুকের জন্য হয়রানি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'হানিমুন এবং সুহাগরাতের সময় সঞ্জয় আমাকে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে শুতে বাধ্য করেছিলেন।'

করিশ্মা কাপুর বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে ২০১০ সালে, তিনি তার বিয়ে বাঁচাতে লন্ডনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি এই ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন এই আশায় যে তার বিয়ে বাঁচানো যাবে। কিন্তু ছুটিতে তার সাথে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। করিশ্মা বলেন, 'সঞ্জয় আমাকে আমার চার মাস বয়সী অসুস্থ ছেলের কাছে রেখে গিয়েছিল প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে পোলো খেলার জন্য। সে সারা রাত বাইরে থাকত এবং আমি ছোট বাচ্চাটির সাথে একা ছিলাম। এই বিষয়টি আমাকে খুবই কষ্ট দিয়েছিল।

'করিশ্মা কাপুর দাবি করেছেন, 'যখন তিনি সঞ্জয় কাপুরের সাথে হানিমুনে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাঁকে বলেছিলেন যে তিনি সালা সাহেবের সঙ্গে আমার মোট সম্পদের উপর ভিত্তি করে আমার দাম নির্ধারণ করছেন।'