Guess the Celebrity: চরম আর্থিক অনটন! দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয়, খরচ বাঁচাতে যা করতেন নায়িকা...! বিখ্যাত পরিচালকের মেয়ের রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন

ফিল্ম হোক বা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি, এমন অনেক তারকারা রয়েছেন যারা দীর্ঘ পরিশ্রম করে নিজের জন্য একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সফল হতে পারেননি। আবার অনেকেই সাকসেস৷ এমন একজন টিভি অভিনেত্রী, যার বাবা ছিলেন একজন বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা। কিন্তু তিনি সেভাবে কোনও সুবিধা নিতে পারেনি।

বাবা পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও মাইলের পর মাইল হাঁটতেন এই অভিনেত্রী। থিয়েটার থেকে কেরিয়ার শুরু করেন এই অভিনেত্রী। একটি নাটকের জন্য তিনি পেতেন মাত্র ৫০ টাকা। অভিনেত্রী ধীরে ধীরে টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন কিন্তু সবকিছুই বৃথা হয়ে যায়।

৪৩ বছর বয়সে অভিনেত্রীর ভাগ্য তুমুল পরিবর্তন হয়েছিল৷ বর্তমানে তিনি হয়ে উঠেছেন টিভি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে দামি অভিনেত্রী। আজ তার বয়স ৪৭ বছর। তাঁর টিভি শো টিআরপিতে শীর্ষে রয়েছে। এরপর থেকে তিনি লিড চরিত্রে অভিনয় করছেন।

তিনি হলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়। রূপালীর বাবার নাম অনিল গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেও ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'দুশমন দেবতা'-এর পর তিনি দরিদ্র হয়ে পড়েন।

'দুশমন দেবতা' বক্স অফিসে বিরাট ফ্লপ হয়েছিল। অনিল গাঙ্গুলী তার সব টাকা হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েন। তারপর চরম আর্থিক সঙ্কটে শুরু হয়। একটি সাক্ষাৎকারে, রূপালী তাঁর কঠিন যাত্রা এবং আর্থিক সঙ্কট সম্পর্কে বলেছিলেন।

রূপালী বলেন,'আমি ওয়ারলি থেকে পৃথ্বী থিয়েটারে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব হেঁটে যেতাম কারণ আমার বাবার ছবি ফ্লপ হয়েছিল এবং আমরা দরিদ্র হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের যা কিছু ছিল সব বিক্রি হয়ে গিয়েছিস। মানসিক চাপের কারণে আমার বাবার ডায়াবেটিস হয়েছিল এবং সেই সময়ে আরও অনেক কিছু ঘটেছিল। আমরা সব টাকা হারিয়েছিলাম।'

রূপালী আরও বলেছিলেন যে, তখনকার দিনে চলচ্চিত্র নির্মাতারা কর্পোরেট ব্যবস্থা না থাকায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ঝুঁকিও নিয়ে নিতেন। তখনকার দিনে গহনা বিক্রি করে এবং বাড়ি বন্ধক রেখে চলচ্চিত্র নির্মাতার টাকায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হতো, এটাই ছিল প্রবণতা ও আবেগ।

রূপালী জানিয়েছেন, যে তার প্রথম নাটক ছিল পৃথ্বী থিয়েটারে 'আত্মজীবনী' এবং এটি দীনেশ ঠাকুর প্রযোজনা করেছিলেন। এ জন্য তিনি পেয়েছিলেন ৫০ টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, রূপালী এখন একটি এপিসোডের জন্য ৩ লক্ষ টাকা নেয়।