Altaf Raja: নব্বইয়ের দশকে উত্থান, আচমকাই হারিয়ে গিয়েছিলেন ‘তুম তো ঠেহরে পরদেশি’ গায়ক; এখন কেমন আছেন তিনি?

Last Updated:
একটা সময় ছিল যখন বাস কিংবা গাড়িতে আলতাফ রাজার গাওয়া গান বাজতে শোনা যেত। নব্বইয়ের দশকে তাঁর ‘তুম তো ঠেহরে পরদেশি’ অ্যালবামটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল।
1/7
কিছু মানুষ গ্ল্যামার দুনিয়ায় এসে তরতরিয়ে উপরের দিকে উঠে গিয়েছেন। তো কারও কারও আবার জমি পাকা করতে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছে। এক সময় ভারতীয় ভক্তদের উপর দারুণ ভাবে প্রভাব ফেলেছিলেন আলতাফ রাজা। গোটা দেশের মানুষকে মোহিত করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে যেন কোথাও হারিয়ে যান তিনি।
কিছু মানুষ গ্ল্যামার দুনিয়ায় এসে তরতরিয়ে উপরের দিকে উঠে গিয়েছেন। তো কারও কারও আবার জমি পাকা করতে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছে। এক সময় ভারতীয় ভক্তদের উপর দারুণ ভাবে প্রভাব ফেলেছিলেন আলতাফ রাজা। গোটা দেশের মানুষকে মোহিত করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে যেন কোথাও হারিয়ে যান তিনি।
advertisement
2/7
একটা সময় ছিল যখন বাস কিংবা গাড়িতে আলতাফ রাজার গাওয়া গান বাজতে শোনা যেত। নব্বইয়ের দশকে তাঁর ‘তুম তো ঠেহরে পরদেশি’ অ্যালবামটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল। ওই অ্যালবামের ক্যাসেটের বিক্রি রাতারাতি ৭০ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। এমনকী এই গানটা এখনও পর্যন্ত ভক্তদের মুখে মুখে ফেরে। তবে এহেন খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও প্রচারের আলো থেকে সম্পূর্ণ দূরে রয়েছেন তিনি।
একটা সময় ছিল যখন বাস কিংবা গাড়িতে আলতাফ রাজার গাওয়া গান বাজতে শোনা যেত। নব্বইয়ের দশকে তাঁর ‘তুম তো ঠেহরে পরদেশি’ অ্যালবামটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল। ওই অ্যালবামের ক্যাসেটের বিক্রি রাতারাতি ৭০ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। এমনকী এই গানটা এখনও পর্যন্ত ভক্তদের মুখে মুখে ফেরে। তবে এহেন খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও প্রচারের আলো থেকে সম্পূর্ণ দূরে রয়েছেন তিনি।
advertisement
3/7
১৯৬৭ সালের ১৫ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্ম আলতাফ রাজার। মা-বাবা তাঁর পড়াশোনা আর কেরিয়ারের জন্য তাঁকে মুম্বইয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তবে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পরে বাড়ি ফিরে যান। এরপর তাঁকে মুম্বইয়ে অ্যান্তোনিও ডিসুজা স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি।
১৯৬৭ সালের ১৫ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্ম আলতাফ রাজার। মা-বাবা তাঁর পড়াশোনা আর কেরিয়ারের জন্য তাঁকে মুম্বইয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তবে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পরে বাড়ি ফিরে যান। এরপর তাঁকে মুম্বইয়ে অ্যান্তোনিও ডিসুজা স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি।
advertisement
4/7
নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে ফের বাড়ি ফিরে যান। পড়াশোনায় ছেলের আগ্রহ নেই দেখে তাঁর মা-বাবা তাঁকে সেলাইয়ের ক্লাসে ভর্তি করে দেন। সেখানেও বিশেষ আগ্রহ দেখাননি আলতাফ রাজা।এই সময় আচমকাই মায়ের কাছ থেকে গান শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আলতাফ। হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গেয়েই তাঁর সঙ্গীত-সফরের সূচনা। এরপর ধীরে ধীরে মঞ্চে কাওয়ালি গাইতে শুরু করেন তিনি। এমনকী অনুষ্ঠানে মায়ের সঙ্গেও গাইতে দেখা যেত তাঁকে। এরপর মায়ের উৎসাহেই গানকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন।
নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে ফের বাড়ি ফিরে যান। পড়াশোনায় ছেলের আগ্রহ নেই দেখে তাঁর মা-বাবা তাঁকে সেলাইয়ের ক্লাসে ভর্তি করে দেন। সেখানেও বিশেষ আগ্রহ দেখাননি আলতাফ রাজা।এই সময় আচমকাই মায়ের কাছ থেকে গান শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আলতাফ। হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গেয়েই তাঁর সঙ্গীত-সফরের সূচনা। এরপর ধীরে ধীরে মঞ্চে কাওয়ালি গাইতে শুরু করেন তিনি। এমনকী অনুষ্ঠানে মায়ের সঙ্গেও গাইতে দেখা যেত তাঁকে। এরপর মায়ের উৎসাহেই গানকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন।
advertisement
5/7
অবশ্য এই সফরে পাশে ছিলেন বাবাও। 
গোটা দেশেই গান গাইতে শুরু করেন আলতাফ। তাঁর গলায় কাওয়ালির জাদু ছিল। যা শ্রোতাদের মোহিত করে রাখত। এমনকী তাঁর কণ্ঠের জাদুতে ভক্তদের চোখে জল পর্যন্ত আসত। লাইভ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি একাধিক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন আলতাফ। অবশেষে ১৯৯০ সালে ডেবিউ অ্যালবাম প্রকাশ পায় তাঁর।
‘তুম তো ঠেহরে পরদেশি’ গানের হাত ধরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যান আলতাফ।
অবশ্য এই সফরে পাশে ছিলেন বাবাও। গোটা দেশেই গান গাইতে শুরু করেন আলতাফ। তাঁর গলায় কাওয়ালির জাদু ছিল। যা শ্রোতাদের মোহিত করে রাখত। এমনকী তাঁর কণ্ঠের জাদুতে ভক্তদের চোখে জল পর্যন্ত আসত। লাইভ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি একাধিক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন আলতাফ। অবশেষে ১৯৯০ সালে ডেবিউ অ্যালবাম প্রকাশ পায় তাঁর। ‘তুম তো ঠেহরে পরদেশি’ গানের হাত ধরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যান আলতাফ।
advertisement
6/7
কেরিয়ারে একাধিক পুরস্কার এবং সম্মান লাভ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত শিল্পীর বাবাও ছিলেন একজন কাওয়ালি গায়ক। বাবার কাওয়ালি শুনে বেড়ে উঠলেও আলতাফের গলায় সেই ঐতিহ্যবাহী সুরের ধারার পাশাপাশি আধুনিকতারও মিশেল ছিল। যা ভক্তদের মন জয় করতে পেরেছে।
কেরিয়ারে একাধিক পুরস্কার এবং সম্মান লাভ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত শিল্পীর বাবাও ছিলেন একজন কাওয়ালি গায়ক। বাবার কাওয়ালি শুনে বেড়ে উঠলেও আলতাফের গলায় সেই ঐতিহ্যবাহী সুরের ধারার পাশাপাশি আধুনিকতারও মিশেল ছিল। যা ভক্তদের মন জয় করতে পেরেছে।
advertisement
7/7
যদিও সারা জীবন গজল গাওয়াই ছিল আলতাফের জীবনের লক্ষ্য। কিন্তু তাঁর মা তাঁকে বলিউডি ছবিতে গানের কেরিয়ার শুরু করার প্রস্তাব দেন। এরপর সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ডেবিউ করেন ‘শপথ’ ছবিতে। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে তাঁর সেই কণ্ঠ আর শোনা যায়নি। ওই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ইমরান হাশমির ছবি ‘ঘনচক্কর’-এর ‘ঝোলু রাম’ গানটি ছিল আলতাফেরই গাওয়া। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, আলতাফ রাজা এখনও মুম্বইয়ের মহম্মদ আলি রোডেই বসবাস করেন। এমনকী সঙ্গীতের দুনিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি।
যদিও সারা জীবন গজল গাওয়াই ছিল আলতাফের জীবনের লক্ষ্য। কিন্তু তাঁর মা তাঁকে বলিউডি ছবিতে গানের কেরিয়ার শুরু করার প্রস্তাব দেন। এরপর সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ডেবিউ করেন ‘শপথ’ ছবিতে। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে তাঁর সেই কণ্ঠ আর শোনা যায়নি। ওই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ইমরান হাশমির ছবি ‘ঘনচক্কর’-এর ‘ঝোলু রাম’ গানটি ছিল আলতাফেরই গাওয়া। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, আলতাফ রাজা এখনও মুম্বইয়ের মহম্মদ আলি রোডেই বসবাস করেন। এমনকী সঙ্গীতের দুনিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement