Sholay Flashback: ভালবাসা 'বাসা' পায়নি, বিয়ের প্রস্তাব ফেরান সুপারস্টার বলি-নায়িকা,দুঃখে আর বিয়েই করলেন না 'শোলে'র এই আভিনেতা
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
Sholay Flashback:১৬ বছর বয়সে বাগদান হয়ে যায় সঞ্জীব কুমারের, কিন্তু বিয়েটা হয় না! তার পর একজনেরই প্রেমে পড়েছিলেন, সেই নায়িকা বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর আজীবন অবিবাহিতই ছিলেন সঞ্জীব কুমার
দেখতে দেখতে ৫০ বছর ‘শোলে’র। ভারতের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত এই ছবির মতো ব্লকবাস্টার আর দুটো আছে কী না, সন্দেহ! অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন, আমজাদ খানের অভিনয় আজও দর্শকমনে গেঁথে। এই ছবির আরেকটি বড় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল 'ঠাকুর'! গ্রামের 'ঠাকুর'-এর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতা সঞ্জীব কুমারকে। তিনি শুধু একজন অসাধারণ অভিনেতাই ছিলেন না, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল একেবারে সিনেমার গল্পের মতো।Image: News18
advertisement
সঞ্জীব কুমারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৯ জুলাই, গুজরাতের সুরাতে। সঞ্জীব কুমারের আসল নাম হরিহর জরিওয়ালা। ছোট বয়স থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন সিনেমা করবেন। কিন্তু স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন মা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সঞ্জীব কুমারের। বাগদানও হয়ে যায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা আর হয়নি। কোনও এক কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় এবং তারপর সঞ্জীব কুমার পুরোপুরি তাঁর কেরিয়ারে মন দেন।Image: News18
advertisement
অভিনয়ের প্রতি সঞ্জীব কুমারের ভালবাসা এতটাই তীব্র ছিল যে, সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি মায়ের গয়নাও বিক্রি করে দেন।শশধর মুখোপাধ্যায়ের ফিল্ম ইনস্টিট্যিউট ‘ফিল্মালয়ে’-তে ভর্তি হওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু কোর্সটির ফি ছিল অনেক বেশি। তখন তাঁর মা-ই তাঁকে নিজের গয়না দেন। প্রথমে নিতে চাননি সঞ্জীব কুমার। কিন্তু মায়ের জেদের কাছে মাথানত করতে হয়। সেই গয়না বিক্রি করেই শুরু হয় তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ধাপ।Image: News18
advertisement
সঞ্জীব কুমারের ব্যক্তিগত জীবনও চর্চিত। তিনি বলিউডের ড্রিমগার্ল হেমা মালিনীর প্রেমে পড়েছিলেন। তিনি তাঁকে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, কিন্তু এই প্রেমের গল্প আর এগোতে পারেনি। হেমা সঞ্জীব কুমারকে 'না' বলে দেন। বড় ধাক্কা খান সঞ্জীব কুমরা। তিনি সারাজীবন আর অন্য কোনও মহিলাকে ভালবাসতে পারেননি। তিনি সারা জীবন অবিবাহিতই থেকে যান।Image: News18
advertisement
advertisement
advertisement
এদিকে ধর্মেন্দ্র যখন জানতে পারেন, সঞ্জীব কুমার হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, তখন তিনি নাকি বেজায় চটে যান। এমনকি ‘শোলে’র পরিচালক রমেশ সিপ্পির কাছেও সঞ্জীবের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ধর্মেন্দ্র নাকি পরিচালকের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে ছবিতে সঞ্জীব এবং হেমার একসঙ্গে কোনও দৃশ্য না থাকে।Image: News18