Shanthi Priya: বাঙালি অভিনেতাকে বিয়ের পর অভিনয় ত্যাগ, স্বামীর মৃত্যুর পর ২ সন্তান পালন সিঙ্গেল মাদারের, পর্দায় ফিরছেন শান্তি!

মাত্র ১৯ বছরে অভিনয়ে পা দিয়েই সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছেছিলেন শান্তি প্রিয়া। খুব কম সময়ের মধ্যেই তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং হিন্দি ছবির প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। তাও খুব তাড়াতাড়ি এই জগৎ থেকে বিদায় নিতে হয় তাঁকে।

মুম্বইয়ের বাঙালি অভিনেতা সিদ্ধার্থ রায়কে বিয়ে করেন ২৪ বছর বয়সে। তার পরেই অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নায়িকা। কিন্তু তিন দশক পর সেই শান্তিই আবার পর্দায় ফিরছেন। কিন্তু মাঝের সময়টা অত্যন্ত কঠিন ছিল তাঁর জন্য।

বড়পর্দায় সরোজিনী নাইডুর ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে শান্তিকে। সেই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারেই অভিনয় ছেড়ে দেওয়া এবং ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী।

অক্ষয় কুমার, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তাবড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর বোন ভানুপ্রিয়াও সেই সময়কার প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন। কিন্তু নিজের দাম্পত্যকে সময় দেওয়ার জন্যই সেই সময় অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শান্তি। অভিনেতা স্বামীর তরফে কোনও আপত্তি ছিল না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

দুই সন্তানের মা হন শান্তি। দুই ছেলে নিয়ে সুখে ঘর করছিলেন শান্তি। হঠাৎই সিদ্ধার্থের মৃত্যু পরিবারে অন্ধকার নিয়ে আসে। এক ছেলের বয়স তখন ১০। ছোট ছেলে তখন মাত্র সাড়ে ৪ বছরের।

২-৩ বছর টানা নিজের মনের সঙ্গে লড়াই করেছেন শান্তি। একটা সময়ে বুঝতে পারেন, দুই ছেলের জন্যই তাঁকে উঠে দাঁড়াতে হবে। নিজের পরিবার এবং সিদ্ধার্থের পরিবারের সাহায্য ছাড়া সেটা সম্ভব হত না বলেই জানান শান্তি।

কিন্তু এখন তাঁর আক্ষেপ, অত ছোট বয়সে বিয়ে না কয়েকটা দিন অপেক্ষা করলে হত। আরও কয়েক বছর অভিনয় করলে ভাল হত বলেই মনে করেন তিনি। যদিও একইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি আফশোস করি না।"

আর সেই দীর্ঘ বিরতির ফলেই এখন তিনি ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা টানা কাজ করে যেতে চান। ছেলেরাও অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছেন। মাকে সমর্থন করেন তাঁরা। বড় ছেলে এখন ২৭ বছরের যুবক। ছোট ছেলের বয়স ২১।

কিন্তু তিনি আর কখনও বিয়ের কথা ভাবেননি। ২৪ বছর বয়স থেকে ৫৩ বছর বয়স পর্যন্ত এখনও সেই একটি পরিবারই তাঁর জগৎ। ২০০৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান সিদ্ধার্থ।

তার পর থেকে এতগুলো বছরে হাতেগোনা দু'একটি কাজ করেছেন শান্তি প্রিয়া। কিন্তু এখন সেই না পাওয়াগুলির দিকে তীব্র গতিতে এগিয়ে চলেছেন শান্তি।