জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা! অস্কার পাওয়া ছবির মুখ! এখন অটো চালিয়েই চলছে সংসার...আপনিও কি ভুলে গিয়েছেন তাঁকে?

Last Updated:
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, আজ বেঙ্গালুরুতে অটো চালিয়ে সংসার চালান; বলিউডের নির্মম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি তাঁর জীবন। চেনেন এই শিল্পীকে?
1/8
এক সময় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, মীরা নায়ারের অস্কার-মনোনীত ছবির মুখ—আজ বেঙ্গালুরুতে অটো চালিয়েই সংসার চালান তিনি। আপনিও কি ভুলে গিয়েছেন তাঁকে? দেখুন চিনতে পারেন কিনা! 
এক সময় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, মীরা নায়ারের অস্কার-মনোনীত ছবির মুখ—আজ বেঙ্গালুরুতে অটো চালিয়েই সংসার চালান তিনি। আপনিও কি ভুলে গিয়েছেন তাঁকে? দেখুন চিনতে পারেন কিনা! 
advertisement
2/8
একসময় মঞ্চে উঠে জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আর আজ, সেই একই মানুষ বেঙ্গালুরু শহরের রাস্তায় অটো চালিয়ে রুজিরোজগার করেন। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এক ছবিতে অভিনয় করেও তাঁর জীবন নিয়েছে সম্পূর্ণ অন্য মোড়। তিনি কে? জানলে চমকে যাবেন।
একসময় মঞ্চে উঠে জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আর আজ, সেই একই মানুষ বেঙ্গালুরু শহরের রাস্তায় অটো চালিয়ে রুজিরোজগার করেন। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এক ছবিতে অভিনয় করেও তাঁর জীবন নিয়েছে সম্পূর্ণ অন্য মোড়। তিনি কে? জানলে চমকে যাবেন।
advertisement
3/8
১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি Salaam Bombay! পরিচালনা করেছিলেন Mira Nair। আজও এই ছবি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক অনন্য বাস্তবধর্মী ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত। ফুটপাতের শিশুদের কঠিন জীবন কোনও রকম রোমান্টিকতা ছাড়াই তুলে ধরেছিল এই ছবি। ভারতের হয়ে ছবিটি অস্কার মনোনয়নও পেয়েছিল।
১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি Salaam Bombay! পরিচালনা করেছিলেন Mira Nair। আজও এই ছবি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক অনন্য বাস্তবধর্মী ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত। ফুটপাতের শিশুদের কঠিন জীবন কোনও রকম রোমান্টিকতা ছাড়াই তুলে ধরেছিল এই ছবি। ভারতের হয়ে ছবিটি অস্কার মনোনয়নও পেয়েছিল।
advertisement
4/8
এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল ১২ বছরের এক কিশোর—কৃষ্ণ ওরফে সাই বাবা। সেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন Shafiq Syed। তাঁর চোখের অভিব্যক্তি, স্বাভাবিক অভিনয় দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। সেই অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারে সেরা শিশুশিল্পীর সম্মান পান।
এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল ১২ বছরের এক কিশোর—কৃষ্ণ ওরফে সাই বাবা। সেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন Shafiq Syed। তাঁর চোখের অভিব্যক্তি, স্বাভাবিক অভিনয় দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। সেই অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারে সেরা শিশুশিল্পীর সম্মান পান।
advertisement
5/8
তবে এত স্বীকৃতির পরও শফিকের জীবনে প্রত্যাশিত পরিবর্তন আসেনি। ‘সালাম বম্বে!’-র পর তিনি আর মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেন—১৯৯৪ সালের ‘পাঠাং’। তারপর ধীরে ধীরে তিনি হারিয়ে যান চলচ্চিত্র জগতের আড়ালে।
তবে এত স্বীকৃতির পরও শফিকের জীবনে প্রত্যাশিত পরিবর্তন আসেনি। ‘সালাম বম্বে!’-র পর তিনি আর মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেন—১৯৯৪ সালের ‘পাঠাং’। তারপর ধীরে ধীরে তিনি হারিয়ে যান চলচ্চিত্র জগতের আড়ালে।
advertisement
6/8
বেঙ্গালুরু অঞ্চলে জন্ম শফিকের। মীরা নায়ারের বাছাইয়ে কাজের সূত্রে তিনি মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালীন দৈনিক পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ২০ টাকা, সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে একটি ভাদা। আন্তর্জাতিক খ্যাতি এলেও সেই সাফল্য আর পরবর্তী কাজের দরজা খুলে দেয়নি।
বেঙ্গালুরু অঞ্চলে জন্ম শফিকের। মীরা নায়ারের বাছাইয়ে কাজের সূত্রে তিনি মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালীন দৈনিক পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ২০ টাকা, সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে একটি ভাদা। আন্তর্জাতিক খ্যাতি এলেও সেই সাফল্য আর পরবর্তী কাজের দরজা খুলে দেয়নি। (প্রতীকী ছবি) 
advertisement
7/8
নব্বইয়ের দশকে তিনি ফিরে আসেন বেঙ্গালুরুতে। সিনেমায় নিয়মিত কাজ না পেয়ে সংসার চালাতে শুরু করেন অটো চালিয়ে। কোনও সময়ে কন্নড় টেলিভিশন ধারাবাহিকে ক্যামেরা অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে শফিক বলেছিলেন, “আগে আমার কোনও দায়িত্ব ছিল না। এখন গোটা পরিবারের ভার আমার কাঁধে।” বর্তমানে তিনি বেঙ্গালুরু সংলগ্ন একটি ছোট বাড়িতে মা, স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে থাকেন।
নব্বইয়ের দশকে তিনি ফিরে আসেন বেঙ্গালুরুতে। সিনেমায় নিয়মিত কাজ না পেয়ে সংসার চালাতে শুরু করেন অটো চালিয়ে। কোনও সময়ে কন্নড় টেলিভিশন ধারাবাহিকে ক্যামেরা অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে শফিক বলেছিলেন, “আগে আমার কোনও দায়িত্ব ছিল না। এখন গোটা পরিবারের ভার আমার কাঁধে।” বর্তমানে তিনি বেঙ্গালুরু সংলগ্ন একটি ছোট বাড়িতে মা, স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে থাকেন।
advertisement
8/8
শফিক সাইদের জীবনের গল্প বলছে বলিউডের এক নির্মম সত্য—প্রতিভা থাকলেই সব সময় টিকে থাকা যায় না। তাঁকে বারবার ‘স্লাম বয়’-এর ছাঁচে ফেলে দেখা হয়েছে, ভিন্ন চরিত্রের সুযোগ মেলেনি। পর্যাপ্ত শিক্ষা ও বিকল্প পেশার সুযোগ না থাকায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত তাঁর সামনে খুব কম পথই খোলা ছিল।
শফিক সাইদের জীবনের গল্প বলছে বলিউডের এক নির্মম সত্য—প্রতিভা থাকলেই সব সময় টিকে থাকা যায় না। তাঁকে বারবার ‘স্লাম বয়’-এর ছাঁচে ফেলে দেখা হয়েছে, ভিন্ন চরিত্রের সুযোগ মেলেনি। পর্যাপ্ত শিক্ষা ও বিকল্প পেশার সুযোগ না থাকায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত তাঁর সামনে খুব কম পথই খোলা ছিল।
advertisement
advertisement
advertisement