বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এভারগ্রিন ডিভা একজনই, রেখা। তাঁর বয়স যেন ক্যালেন্ডারে বাড়ে না! একইসঙ্গে বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। বিইন্ন সময়ে বিইন্ন পুরুষের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে রেখার। তা সে অমিতাভ বচ্চন হোক কী জিতেন্দ্র, বিনোদ খন্না, কিংবা অক্ষয় কুমার। তবে রেখার সঙ্গে তবে রেখার সঙ্গে যে পুরুষকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছে তিনি অমিতাভ বচ্চন।
রেখার জীবনের সেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির নাম ফরজানা। তিনিই একমাত্র মানুষ, যে অনুমতি পায় রেখার বেডরুমে প্রবেশের। ফরজানার সঙ্গে রেখার পরিচয় আটের দশকে। ১৯৮১ সালের ছবি ‘সিলসিলা’র মেক-আপ টিমের সদস্য ছিল ফরজানা। তিনি ছিলেন রেখার কেশশিল্পী। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই ফরজানাকে নিজের কেশ শিল্পী থেকে ব্যক্তিগত সচিব করে দেন রেখা।
ফরজানাকে দেখে প্রথম নজরে মনে হবে পুরুষ। তাঁর চালচলন, বেশভূষা, চুলের স্টাইল সমস্ত কিছুই পুরুষদের মতো। কিন্তু তিনি মহিলা। ফরজানা এককথায় রেখার ছায়াসঙ্গী। সিনেমার অফার হোক কী কোনও ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট, কিংবা কোনও পার্টি বা ইভেন্টে অংশগ্রহণ, সব কিছুর জন্য প্রথমে ফরজানার থেকে গ্রিন সিগন্যাল লাগবে। এককথায়, রেখার পেশাগত থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই আধিপত্য ফরজানার।
১৯৯০ সালে ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে বিয়ে হয় রেখার। মুকেশ দিল্লির ব্যবসায়ী ছিলেন। ছবির জন্য রেখা মুম্বইয়ে থাকতেন। ছবির শ্যুটিং শেষ করে রেখা দিল্লিতে স্বামীর কাছে চলে যেতেন প্রায়ই। মুম্বইয়ের বাড়িতে রেখার সঙ্গেই থাকতেন ফরজানা। শোনা যায়, ফরজানার অনুমতি ছাড়া রেখা মুম্বইয়ের বাইরে পা পর্যন্ত রাখতেন না।
বিয়ের মাস খানেক পর থেকেই রেখা-মুকেশের সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেয়। একটি ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য নিউ ইয়র্ক যান রেখা। সেই সময়ই বিয়ের মাত্র ৭ মাসের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন মুকেশ। ব্যবসায় ক্ষতির জন্যই মুকেশ আত্মহত্যা করেছেন বলেও শোনা যায়। কিন্তু তার পর ক্রমে রেখার দিকে আঙুল তুলতে শুরু করে মুকেশের পরিবার। সামনে আসে ফরজানার নামও। সেই প্রথম ফরজানার সঙ্গে রেখার সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শোনা যেতে থাকে।
মোহনদ্বীপ নামে আর এক লেখক তাঁর বইয়ে লেখেন, রেখা আর ফরজানার মধ্যে নাকি শারীরিক সম্পর্কও রয়েছে। যদিও এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন রেখা। ফরজানাকে তিনি নিজের বোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যদিও ফরজানা এ'সব নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি। বরং ১৯৮১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রেখার খেয়াল রেখে চলেছেন। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর আর বিয়ে করেননি রেখা। ফরজানাও সংসার পাতেননি।