Bollywood Gossip: প্রচুর সিনেমায় তাঁর হিরোইন, মাখোমাখো প্রেমে ভরপুর, সেই নায়িকার অন্য লোকের সঙ্গে বিয়েতে হাউ হাউ করে কেঁদে ভাসান রাশেজ খান্না

ইরানি বংশোদ্ভূত ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন অপূর্ব সুন্দরী। তার প্রতিভাও অস্বীকার করার নয়। তিনি তাঁর অভিনয়, নাচ এবং স্বতঃস্ফূর্ততা দিয়ে ভারতীয় দর্শকদের মোহিত করেছিলেন। সিনেমার তারকারাও তাঁকে নিয়ে পাগল ছিলেন।

রাজেশ খান্না তাঁকে অনেক সম্মান করতেন। এই অভিনেত্রীর বিয়েতেই রাজেশ খান্না কেঁদেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমি আমার ডান হাত হারিয়েছি! যেই রাজেশ খান্নার জন্য লাখ লাখ মেয়ে পাগল ছিল, সেই রাজেশকে কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী৷

বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী মুমতাজ, যিনি তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে বি গ্রেড ছবিতে কাজ করেছিলেন। এরপর তাঁকে ছোট ছোট চরিত্রে দেখা যায়। হিন্দি সিনেমার তারকারা তাঁকে উপেক্ষা করতেন। তিনি ইরানের অধিবাসী ছিলেন। অভিনেত্রীর ইরানি বাবা তাঁর জন্মের এক বছর পর তার মা হাবিব আগাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর মুমতাজের মা তাঁকে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মুমতাজের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না, তাই তিনি তাঁর বোন মল্লিকার সঙ্গে ছবিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেত্রীকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ১৯৫৮ সালের 'সোনে কি চিদিয়া' ছবিতে। তাঁকে আবার বি গ্রেড ফিল্ম 'ফৌলাদ'-এ দেখা গিয়েছিল, যেখানে তাঁকে দারা সিং-এর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তিনি তাঁর উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের জন্য দারা সিংকে কৃতিত্ব দেন। তাঁকে দারা সিং-এর সঙ্গে ১৬টি অ্যাকশন ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছিল।

জানা গিয়েছে, দারা সিং-এর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মুমতাজ তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন। তবে ধীরে ধীরে তাঁদের দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং তাঁরা আলাদা হয়ে যান।

দারা সিং এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বলিউডের কারণে মুমতাজ তাঁর কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন। রাজেশ খান্নার সঙ্গে মুমতাজের জুটি আবার সুপারহিট হয়ে ওঠে। 'দো রাস্তে' ছবিটি ব্লকবাস্টার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারকা হয়ে ওঠেন মুমতাজ।

মুমতাজ ও রাজেশ প্রায় ১০টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে ব্যবসায়ী ময়ুর মাধবানিকে বিয়ে করার পর, তিনি সিনেমাকে বিদায় জানিয়ে লন্ডনে স্থায়ী হন। জানান গিয়েছে যে রাজেশ খান্না তাঁর বিয়েতে অনেক কেঁদেছিলেন এবং বলেছিলেন, 'আমি আমার ডান হাত হারিয়েছি।'

একটি সাক্ষাৎকারে মুমতাজ বলেছিলেন, আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার বিয়ের পর রাজেশ খান্না খুবই কষ্ট পান।