সাগ্নিক পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন, রবিবার সাগ্নিক সিগারেট খেতে যান ব্যালকনিতে। সেসময় পল্লবী দরজা বন্ধ করে রুমের। সাগ্নিক ডাকা ডাকি করে সাড়া পায়নি। এরপর কাচের দরজা দিয়ে আবছা বুঝতে পারে কিছু একটা ঘটেছে। তখন সাগ্নিক দরজা ভাঙে। দেখেন পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। কিন্তু একা দেহ নামাতে পারেননি সাগ্নিক। তখন কেয়ার টেকারকে ডাকেন চিৎকার করে। এরপর কেয়ার টেকার আসেন। এরপর দেহ নামানো হয়। পুলিশে ফোন করেন ফ্ল্যাটের কেয়ার টেকার।
সাগ্নিকই পল্লবীর মাকে ফোন করে জানান মেয়ে আচৈতন্য। গরফা থানার পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানায় সাগ্নিক। তবে সাগ্নিকের কথা কতখানি সঠিক তা জানার জন্য পুলিশ তার বক্তব্য খতিয়ে দেখছে। কী নিয়ে অশান্তি? কেন রুমের দরজা বন্ধ করলেন পল্লবী, সেসব বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ অধিকারিকরা। যদিও সাগ্নিকের দাবি, ঘটনার দিন কোনও অশান্তি হয়নি। সাগ্নিক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সাগ্নিক মদ, গাঁজা খেত। সাগ্নিককে মদ খেতে মানা করতেন পল্লবী। তাই নিয়েও অশান্তি হত মাঝে মধ্যে। প্রতিবেদন : অর্পিতা হাজরা
এদিকে আজই টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র বাবা নীলু দে অভিযোগ জানাতে পৌঁছন গড়ফা থানায়। সঙ্গে ছিলেন পল্লবীর মা ও ভাই। তাঁদের আইনজীবী। অভিযোগ, সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ পল্লবীর পরিবারের। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, পল্লবী দে-কে দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন করতেন সাগ্নিক।
একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গোপন করে করে যাওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। পল্লবীর পরিবারের আরও অভিযোগ সাগ্নিকের আগের রেজিস্ট্রি মারেজের কথা সাগ্নিকের পরিবার গোপন করে যায় পল্লবীর কাছে। মাস ছয় আগে সে কথা পল্লবী জানতে পারেন। এরপর সেই বৈবাহিক সম্পর্কে ডিভোর্স করে দেবে বললেও অভিযোগ সাগ্নিক এখনও ডিভোর্স করেননি।