Vikram Chatterjee: 'আমাদের রসায়ন আলাদা করে তৈরি করতে হয়নি, ওটা কোথাও যেন ছিল...' শোলাঙ্কীর সঙ্গে আবার কাজ করে নস্টালজিক বিক্রম

পরপর কাজ করছেন তিনি। উপহার দিচ্ছেন একের পর এক হিট ছবি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শেষ পাতা। বিক্রম চট্টোপাধ্য়ায়ের অভিনয় নজর কেড়েছে সবার। তার আগে ওয়েব সিরিজ রক্তকরবীতেও তিনি তুখড়। কুলের আচারে তাঁর অভিনয় মন ছোঁয়া। আর আবার আসছে বিক্রম চট্টোপাধ্য়ায় অভিনীত ছবি শহরের উষ্ণতম দিনে।

শোলাঙ্কি রায় ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায়- দুজনেই টলিউডের জনপ্রিয় মুখ। এক অন্যের সঙ্গে প্রথম কাজ করেছিলেন ইচ্ছেনদী ধারাবাহিকে। তাঁদের সেই জুটি, তাঁদের রসায়ন নজর কেড়েছিল সকলের। দর্শকরা বারবার চেয়েছেন তাঁদের আবার একসঙ্গে দেখতে।

খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে অরিত্র সেন পরিচালিত ছবি শহরের উষ্ণতম দিনে। সেখানেই দেখা যাবে বিক্রম-শোলাঙ্কীকে। তাঁদের কথায়, এটি একটি নিখাদ প্রেমের গল্প। নস্টালজিয়ার গল্প। এই গল্পে জড়িয়ে রয়েছে শহর কলকাতার প্রতি প্রেম, শহর কলকাতার প্রতি ভালবাসা, মায়া।

বিক্রম বিশ্বাস করেন তাঁদের যেই রসায়ন, তা হয়তো আলাদা করে তৈরি করা নয়। ইচ্ছে নদীর সময় থেকে তিনি বুঝেছিলেন তাঁদের মধ্য়ে একটা 'ন্য়াচরাল কেমিস্ট্রি' কাজ করে। 'শহরের উষ্ণতম দিনে' তে কাজ করতে গিয়ে মনে হল এতগুলো বছর পরেও সেটা হারিয়ে যায়নি।

নিউজ ১৮ বাংলাকে বিক্রম জানান, কলকাতার প্রতি টান, কলকাতার মায়া তিনি অস্বীকার করতে পারেন না। শীত পড়লে তাঁর মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে। বারবার তাঁর মনে হয়েছে কলকাতায় ফিরে আসার কথা।

কলকাতার প্রতি টান অস্বীকার করতে পারেন না শোলাঙ্কীও। নিউজ ১৮ বাংলাকে তিনি জানান, কলকাতা শহরে বৃষ্টি পড়লে মন ভাল হয়ে যায়। শহরটার সঙ্গে ছোট ছোট স্মৃতি, মুহূর্ত জড়িয়ে রয়েছে। কলকাতা শহর যেন একটা মানুষ।

আর আট বছর পরে কতটা গাঢ় হল তাঁদের বন্ধুত্ব? ২০১৭ তে শেষ হয়েছিল 'ইচ্ছে নদী'. মজা করেই শোলাঙ্কী বলেন, 'আমি খুব খুশি ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে। আট বছর পরে বুঝতে পেরেছি ও কতটা অসহ্য়কর...' তবে এটা নিছকই মজা। আসলে শোলাঙ্কীর কথায় 'বন্ধু-বান্ধব মায়ের মতো হয়।'