Olpo Holeo Shottyi: ক্যানসার, বিয়ে আর দু’জোড়া প্রাক্তনের সাক্ষাৎ, ভালবাসার নিটোল জাল বুনতে ফিরল ‘অল্প হলেও সত্যি’
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
রূপ প্রোডাকশন অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের তরফে প্রযোজক অঙ্কিত দাস এবং সুরেশ তোলানির সহযোগিতায়, অনুভব ঘোষের কাহিনিতে, পরিচালক সৌম্যজিত আদকের এই ছবিতে চার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস, দর্শনা বণিক, ঋষভ বসু এবং সৃজনী মিত্র।
জীবন কখন কোন মুহূর্তে অতীতের কাকে আমাদের সামনে নতুন করে হাজির করে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই অভিজ্ঞতা রয়েছে সবার জীবনেই। তাকেই সম্পদ করে KLIKK-এর নতুন ছবি 'অল্প হলেও সত্যি' আবার এক মায়ামেদুর ভালবাসার গল্প নিয়ে এল দর্শকের দরবারে, ২৫ জুন, ২০২৫ তারিখথেকে যা ওটিটিতে দেখা যাবে! রূপ প্রোডাকশন অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের তরফে প্রযোজক অঙ্কিত দাস এবং সুরেশ তোলানির সহযোগিতায়, অনুভব ঘোষের কাহিনিতে, পরিচালক সৌম্যজিত আদকের এই ছবিতে চার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস, দর্শনা বণিক, ঋষভ বসু এবং সৃজনী মিত্র। অ্যাড এজেন্সিতে কাজ করা তরুণী গুঞ্জন রায়ের (সৃজনী মিত্র) বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, তারই অফিস কলিগ সিদ্ধার্থর (ঋষভ বসু) সঙ্গে। দুই বাড়ির কথাবার্তা এগিয়ে যায়। বিয়ের আগে সিদ্ধার্থর সঙ্গে লিভ ইনের প্ল্যান করে গুঞ্জন। বিয়ের এখনও দু-তিন মাস দেরি, তাও ছেলে কেমন, তা একবার যাচাই করে নিতে হবে না? তাই লিভ ইনের প্ল্যান!
advertisement
অন্য দিকে, অর্জুন (সৌরভ দাস) ক্যানসারে আক্রান্ত। রোজকার বলতে কলেজ স্টুডেন্টদের পড়ানো। তবে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সে আর পড়াতে পারে না। হাতে যা টাকা ছিল তাও প্রায় শেষ। অর্জুনের ভাড়াটে, শুভেন্দুবাবুর মেয়ে অমৃতা (দর্শনা বণিক) বাইপাসের ধারের বেসরকারি এক হাসপাতালের নার্স। তার প্রিয় অর্জুনদা এখন রোজ মৃত্যুর সঙ্গে একটু একটু করে লড়াই করছে। তাই চাকরি ছেড়ে সে ঠিক করে কাছে থেকে অর্জুনের দেখাশোনা করবে।
advertisement
ওদিকে বিয়ের নেমন্তন্ন শুরু করার সময় গুঞ্জন জানতে পারে তার লাইফের প্রথম ক্রাশ, পাঁচ বছরের সিনিয়র অর্জুনদা এখন ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছে। সে শেষ একবার দেখতে চায় অর্জুনকে। অর্জুনের বাড়িতে সিদ্ধার্থ যখন গুঞ্জনকে ছাড়তে যায়, তখন তার দেখা হয় প্রাক্তন অমৃতার সঙ্গে, যে অমৃতা একদিন সিদ্ধার্থর প্রেমপ্রস্তাবে না বলে দিয়েছিল। কলকাতা তিলোত্তমার বুকে এবার কি গড়ে উঠবে এক প্রেমের মায়াজাল? কলেজের ক্রাশ কি কেবলই ক্রাশই থেকে যাবে, না কি ভালবাসার কথা একবার হলেও জানাতে পারবে গুঞ্জন? অন্য দিকে, সিদ্ধার্থ কি একবারের জন্যও ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে অমৃতাকে, না কি বর্তমান ভালবাসা নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাবে? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে ছবিতে। তবে, অভিনেতারা যে যা বলছেন, তার উত্তর মিলবে এখানেই!
advertisement
সৌরভ দাস বলেন, ‘‘KLIKK-এর সঙ্গে আমার অনেকগুলো কাজ হয়েছে। আমার খুব ভাল লাগছে যে আমার ছবি KLIKK-এ আসছে। আমার অনেক ছবি KLIKK নিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি খুশি যে এই ভালবাসাটা এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাকে দেওয়া হয়। অভয়জি, নীরজজি প্রচণ্ড ভালবাসেন আমায়। KLIKK-এ এর আগে কাটাকুটি, পিকাসো, মিল্কশেক মার্ডার... আমরা অনেক কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস যে এই কাজটিও মানুষ দেখবেন আর ভালবাসবেন।’’
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ছবিতে অর্জুনের মতো চরিত্র যখন আমাকে দেওয়া হল, যেখানে এতটা লেয়ার, যেখানে একজন ক্যানসারে ভুগছে, আমি খুব কম আত্মীয়কেই চিনি, আমার খুব কাছের মানুষ, যাঁরা এই মারাত্মক রোগে মারা গিয়েছেন। সেটা সত্যি কথা বলতে একটু ভয়াবহ। আমি আমার কথাই বলি, এই চরিত্রটা আমার কাছে একটু কষ্টেরই ছিল। যেমন ভাবে আমি প্রসেস করি আমার পারফরম্যান্স, আমি সেই জোন- এই চরিত্রের মধ্যেই ছিলাম। আমার চোখের তলায় কালি পড়ে গিয়েছিল, ওটা মেকআপ দিয়ে বাড়িয়ে নিতাম। আলাদা করে মেকআপ ছাড়াই এটা করেছিলাম। এই চরিত্রের জন্য আদক আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সেই সঙ্গে আমার সহ-অভিনেতারা আমাকে ওই জায়গাটা দিয়েছে, ওই সময়টা দিয়েছে, এক একটা সিনের আগে। আমি সবাইকে বলতে চাই, এটা এমনই গল্প যেটা প্রচণ্ড রিলেটেবল, যেটা খুবই নর্মাল, পাশের বাড়িরই গল্প। তবে আমি চাই না এই গল্পটা কারও বাড়িতে ঘটুক! সবার খুব ভাল লাগবে এবং সুন্দর সুন্দর গানও আছে। আমার প্রিয় গান হল মায়ের কাঙাল, যেটা আশা করছি সবার খুব ভাল লাগবে।’’
advertisement
ঋষভ বসুর মতে, ‘‘প্রচুর স্মরণীয় মুহূর্ত আছে এই ছবি শ্যুট করতে গিয়ে। আসলে এই ছবিটা আমার মনের খুব কাছের। আমরা যখন একটা গান শ্যুট করেছিলাম, গঙ্গায় শ্রীরামপুরে, সেটা আমার বিশেষ করে মনে আছে। দ্যাট ওয়াজ আ লাভলি ডে। খুব সুন্দর ওয়েদার ছিল এবং গঙ্গায় নৌকায় ভাসতে ভাসতে, গল্প করতে করতে কী ভাবে শ্যুট হয়ে গিয়েছিল মনেও নেই। আমার মনে আছে আমরা প্রত্যেকদিন যে বাড়িটায় শ্যুট করতাম সেই বাড়িতে একটা বিশাল টেবিল ছিল, ওটাই আমাদের মেকআপ রুম ছিল। ওটা একটা ডাইনিং স্পেস মতন ছিল। ওখানে আমরা রোজ গোলটেবিলের মতো বসে আড্ডা মারতাম প্রচুর। খুবই মজা হত। আদকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভাল। পুরো টিমের সঙ্গে কাজ করার একটা আলাদাই মজা ছিল। দর্শকদের বলব, অল্প হলেও সত্যি দেখুন। ভীষণ একটা প্রেমের ছবি। ছবিটি আপনাদের হাসাবে, কাঁদাবে, খুব ভাল লাগবে। সিদ্ধার্থ একটা একদম অন্যরকমের চরিত্র। আমার মতো নয়। কমপ্লিটলি অপোজিট। খুব রেসপনসিবল। খুব কেয়ারিং। আর ওর একটা পাস্ট আছে। সেই দিক থেকে দেখলে চরিত্রটায় খুব সূক্ষ্ম একটা লেয়ার আছে। দরকার ছিল শুধু একটা মানসিক প্রস্তুতি, আর কিছু করতে হয়নি। কারণ প্রথমেই আদকে যেভাবে ব্রিফ দিয়ে দেয় তারপরে আর মনে হয় না যে ব্যাপারটা কঠিন হবে! আমরা চারজনই খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। সৌরভদার সঙ্গে আমার বহুদিনের পরিচয়। উনি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এক প্রতিভাবান অভিনেতা। এই ছবির মাধ্যমে প্রথম আমরা স্ক্রিন শেয়ার করেছি। এর আগে আমি ওঁর পরিচালনায় কাজ করেছি। দর্শনাও আমার বহুদিনের বন্ধু। ওর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও আমার ভাল। ও খুব সুন্দরভাবে চরিত্রটাকে বয়ে নিয়ে যায়। সৃজনী আমার কাছে একটা সারপ্রাইজ প্যাকেজ, এটা বোধহয় ওর প্রথম ছবি ছিল।’’
advertisement
অভিনেত্রী দর্শনা বণিক জানান, ‘‘আমার শ্যুটিং এক্সপেরিয়েন্স খুব ভাল ছিল। আমার যতটুকু মনে আছে টিমের সবাই অল্প বয়সীই ছিল। তাদের প্রত্যেকের একটা এনার্জি ওই সেটে ছিল, সকলেই খুব পজিটিভ ছিল। একটা খুব ভাল কাজ করব সবাই মিলে এটাই ছিল দৃঢ় সঙ্কল্প। আমার মনে আছে যে রোজ মোটামুটি সকাল ৬টায় পিক আপ থাকত, ৭টায় পৌঁছে যাওয়া আর সাড়ে ৮টায় ক্যামেরা রোল। সেটা ঠিক কোভিড পরবর্তী সময় ছিল এবং কী বলব, মানে এখন ভাবলেই অনেক কথা মনে হচ্ছে। অত সকালে উঠে যাওয়া, সবাই অন টাইম শ্যুটিং করতো, গঙ্গায় শ্যুটিং করা, নৌকায় শ্যুটিং করা সব কিছু দারুন ভাল অভিজ্ঞতা ছিল। KLIKK-এর সঙ্গে আমার এক-দুবার কাজের কথা হয়েও হয়নি। এটা আমার প্রথম ছায়াছবি যেটা KLIKK-এ ডিজিটাল রিলিজ হচ্ছে। সেজন্য খুব ভাল লাগছে, খুব উপভোগ করছি বিষয়টা। আমার অমৃতা চরিত্রটি নিয়ে বলব যে, স্ক্রিপ্ট শুনে, স্ক্রিপ্ট পড়ে একটা বেসিক চিন্তা ছিল মাথায়। একটা আইডিয়া ছিল কীরকম হতে পারে, কী হতে পারে। একটা ব্যাকগ্রাউন্ড, একটা ক্যারেক্টার স্কেচ। বাকি আমি পুরোটাই আমার ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ আদককে পূর্ণ বিশ্বাস করে এগিয়েছি। আদক যা বলেছে, যেমন ভাবে বলেছে সেভাবে চলেছি। এক্ষেত্রে আরও একটি কথা বলতে চাই। সেটি হচ্ছে রূপ প্রোডাকশনের কথা। রূপ প্রোডাকশনের সুরেশ তোলানি এবং অঙ্কিত দাস আমাদের কাছের মানুষ। তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তার কারণ হচ্ছে, তাঁরা যদি এগিয়ে না আসতেন, তাহলে এই ছবিটিই হত না। আমি তাঁদের আরও একটি সাহসকে সাধুবাদ জানাই। কারণ এই ছবিটি প্রথমে একটি ওটিটির জন্যই তৈরি হচ্ছিল।’’
advertisement
‘ইট ওয়াজ আ ওয়েব ফিল্ম ’ কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন এই ছবিটি তৈরি হয় এবং তাঁরা এবং ডিরেক্টর এবং কিছু মানুষজন, আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের মনে হয় যে এই ছবিটি হলেও রিলিজ করতে পারে। সম্ভবত মানুষ হলেও দেখবে ছবিটি। এই সাহস এবং সমর্থন, এই সময় দাঁড়িয়ে বাংলা ছবির প্রতি অসাধারণ একটি পদক্ষেপ। তাঁরা ছবিটি বড় পর্দায় রিলিজ করেন এবং এবার সেই ছবি ফাইনালি KLIKK-এ আসছে। আমি সত্যিই আমি আশা করিনি যে ছবিটা নিয়ে মানুষের এত পজিটিভ রেসপন্স পাব। আমরা জাস্ট কোনও ফলের চিন্তা না করেই একটা কাজ করেছিলাম। বাকিটা অডিয়েন্স বলবে যা বলার। তো সেটা আমরা পেয়েছিলাম। সেই রেসপন্স এবং মিউজিক সব মিলিয়ে খুব পজিটিভ রেসপন্স পেয়েছিলাম। যাঁরা সেই সময় ছবিটি হলে দেখতে পারেননি, তাঁরা পরবর্তী সময় জিজ্ঞেস করতেন সবসময়- যে কবে, কোথায় দেখতে পাবেন তারা। এবার বলছি যে দেখতে পাবেন KLIKK-এ। এক্সপেরিয়েন্স বলতে সবাই চেনাজানা ছিল, সবাই আগে থেকে বন্ধু ছিল এবং মজা করার মধ্যে দিয়ে কাজটা হয়ে গিয়েছে কখন বুঝতে পারিনি। সেই দায়িত্বটা একেবারেই সৌম্যজিতের ছিল। সৌরভের সঙ্গেও আগে অনেকবার দেখা হয়েছে। একটু একটু কাজ হয়েছিল। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়নি। অল্প হলেও সত্যি আমাদের বিয়ের আগের কাজ। সেই ছবির পরে কিন্তু আমরা আস্তে আস্তে বন্ধু হয়ে যাই। ছবির সময়ে আমরা বন্ধু হইনি। আমরা খুব একটা কথাও বলতাম না। আমাদের মেকআপ রুম ইত্যাদি আলাদাই থাকত। আমরা যে যার নিজের মতোই বেশিরভাগ সময়টা থাকতাম।’’
advertisement
সৃজনী মিত্র জানান, ‘‘যখন অল্প হলেও সত্যি শ্যুট করেছি এবং তার পরে যখন সেটি হল রিলিজ হয়েছিল, স্বাভাবিক ভাবে মানুষেরা সেটাকে খুব ভালবেসেছেন। অনুভব ঘোষ খুব ভাল লিখেছিল, একটা আলাদাই ইমোশন আছে, আলাদাই ফিলিং রয়েছে গল্পটার মধ্যে। আজকালকার দিনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় যে, এই রকম স্টোরি লাইন বা এইরকম ফিলিং খুবই বিরল। গুঞ্জন আমার কাছে সবসময় স্পেশাল হয়ে থাকবে। কারণ গুঞ্জনের মধ্যে আমি যে শেডগুলো পেয়েছি সেই শেডগুলোয় আমার অভিনয় করতে খুব ভাল লেগেছে। এমনিতেই আমি ইমোশনাল একটা মানুষ। তাই ইমোশন আমাকে খুব টানে। এই চরিত্রটা বা গল্পটাই একটা ইমোশনাল ন্যারেটিভ। ভাল ও খারাপ সবটাই রয়েছে। প্রত্যেকটা চরিত্রের যে ভালবাসার সম্পর্ক সেটা শুধুমাত্র শারীরিক সান্নিধ্যের নয়, সেটার বাইরেও যে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের বিভিন্ন ধরনের সমীকরণ রয়েছে সেটা এই ছবিটায় খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা খুবই ভাগ্যবান। লোকের মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে এরকম একটি গল্প সৌম্যজিৎ বানিয়েছে এবং অঙ্কিত, সুরেশজি তাঁদের যথাসাধ্য দিয়ে চেষ্টা করেছেন ছবিটা রিলিজ করার। প্রচুর লোকে আমাকে বলেছে কেন ছবিটা দেখতে পাচ্ছি না, কবে আসবে, ছবিটা কোথায় দেখতে পাবো। আমার খুব ভাল লাগছে যে KLIKK-এ রিলিজ করছে।’’
advertisement
প্রথমদিকে আমি KLIKK-এর সঙ্গে কাজ করেছি এবং খুব ভাল রেসপন্স পেয়েছি। কালিম্পঙ ক্রাইমস এ আমি কাজ করেছি, নিশ্চই সবাই দেখেছে, সেটার খুব ভাল প্রমোশন হয়েছিল। খুব কম্প্লিমেন্টসও পেয়েছি। সেই জায়গা থেকে আমি খুব খুশি KLIKK পরিবারের সদস্য হয়ে। আবার আমার ছবি আসছে KLIKK-এ। আমার পছন্দের সব মানুষেরা রয়েছে। আর এই ছবিটি দেখলে কারও খারাপ লাগবে না। এই ছবিটি দেখলে সবাই নিজেদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারবেন। গুঞ্জনের জন্য প্রিপারেশন বলতে যেহেতু এই ছবিটি ইমোশনাল ,তাই খুব কঠিন হয়নি এই চরিত্র করতে। সৌরভদা, দর্শনা, ঋষভ- তাদের আমার থেকে অনেক বেশি এক্সপেরিয়েন্স। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হচ্ছিল যে কতটা কী করতে পারব, কিন্তু সত্যি কথা বলতে প্রথমদিন থেকে আমি ফিল করেছি যে আমরা অনেক দিনের বন্ধু, সবাই খুব ভালভাবে পরিচিত, এত কমফোর্ট জোন দেওয়া হয়েছে, এত সুন্দর একটা অ্যাম্বিয়েন্স তৈরি করা হয়েছে, এতো সুন্দরভাবে আমরা কাজ করেছি মনেই হয়নি যে আমরা কাজের প্রেসারে রয়েছি। এবং সময়ের অনেক আগেই কাজ শেষ করে ফেলেছি। আমার কাজের এক্সপেরিন্স খুবই ভাল। আপনারা সবাই অবশ্যই ছবিটি দেখুন এবং আপনাদের কমেন্টস জানান। আসলে আপনাদের থেকে ভালবাসাটা পেলে মনে হবে আমরা সার্থক হয়েছি।’’
advertisement
আর পরিচালক সৌম্যজিৎ আদক নিজে কী বলছেন ছবি নিয়ে? সবথেকে স্মরণীয় মুহূর্ত যদি ছবির ক্ষেত্রে বলি বা চ্যালেঞ্জ বলি, সেটা হচ্ছে একটাই যে কোভিডের পরে যখন আমরা শ্যুট করছিলাম, তখন মানুষ মানসিক ভাবে অনেকটাই ম্রিয়মাণ ছিল, কিছুটা বিপর্যস্ত ছিল, অনেকের অনেক ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়েছিল, কাজের ক্ষেত্রে হোক বা ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে হোক। তো সেই জায়গাটাতে আমরা এই ছবিটা যখন নিয়ে আসি, সেখানে ছবিটার সময় আমরা অনেক আনন্দ করি, অনেক মজা করি, টেকনিশিয়ানরা, কাস্ট অ্যান্ড ক্রু সবাই। সেই জায়গা থেকে একটা আনন্দের পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিলাম যেটা আমার প্রচণ্ড ভাল লেগেছিল। দর্শকদের জন্য একটাই কথা বলব, অল্প হলও সত্যি প্রচণ্ড একটা ভালবাসার ছবি। শহর কলকাতার ছবি, আমাদের সাধারণ মানুষের সাধারণ জীবনের ছবি এবং এটা আমাদের মানুষের ইমোশনের ছবি। সেই জন্য আমি বলব যে আপনারা যাঁরা পছন্দ করেন এরকম ছবি দেখতে, যাঁরা ইমোশন ভালবাসেন, যাঁরা ভালবাসতে ভালবাসেন, দুঃখ পেতে ভালবাসেন আর সম্পর্ক ভালবাসেন, তাঁদের জন্যই এই ছবিটা। তাঁদের অবশ্যই দেখা দরকার। KLIKK-এ দেখবেন। ২৫ জুন, ২০২৫ থেকে আপনারা দেখতে পাবেন অল্প হলেও সত্যি। অভিনেতারা সবাই আমার খুব ভাল বন্ধু। সৌরভ আমার ফেভারিট অ্যাক্টর, আমি সেটা সবসময় বলি এবং দর্শনাকে আমি হিরোইন বলি, কারণ আমি আমার জীবনের প্রথম মিউজিক ভিডিও দর্শনার সঙ্গে করি, অনেক ক্ষেত্রেই খুব বায়াসড আমি দর্শনাকে নিয়ে। ওর অভিনয় আমার এত পছন্দ, এত ভাল লাগে। তার সঙ্গে ডেফিনিটলি ঋষভের কথাও বলব। আমার প্রথম শর্ট ফিল্ম ঋষভের সঙ্গে। তো সেই জন্য ঋষভের সঙ্গে আমার একটা ইমোশনাল কানেকশন আছে। কিছু কাজ করলে আমি ঋষভের সঙ্গে আলোচনা করি। সে ঋষভ সেখানে অভিনয় করুক বা না করুক। সৃজনীর প্রথম ছবি এটা ছিল। সৃজনীর সঙ্গে আমার কমদিনের আলাপ হলেও এখন আমার খুব ভাল বন্ধু আর সৃজনী নিজের সবটুকু দিয়ে এই ছবিটায় কাজ করেছিল। আমার টিম মোটামুটি একই থাকে। তারাই এখনও কাজ করছে, প্রচণ্ড একটা পরিশ্রমী টিম, প্রচন্ড প্যাশনেট টিম। টিম ছাড়া আমার পক্ষে ছবি বা কোনও কাজ করা অসম্ভব। হ্যাঁ, হয়তো ফিল্ম টা অনেক বেশি ইনটেন্স ছিল। অনেক বেশি সিরিয়াস নোটে ছিল। কিন্তু আমি আমার অ্যাক্টরদেরকে খুব একটা ভীষণ ডিফিকাল্ট কিছু বুঝিয়েছিলাম বা ডিফিকাল্ট ব্রিফ করেছিলাম তা নয়। সবাইকে বলেছিলাম যে আমাদের এই চরিত্রগুলোকে ফিল করতে হবে। কারণ এই ঘটনাগুলো, এই গল্পগুলো কিন্তু আমাদেরই চারপাশে ঘটে চলেছে বা আমাদের জীবনের সঙ্গেও কোনও না কোনও ভাবে জড়িত। আমাদের সেটা ফিল করে সবাইকে সেই চরিত্রটার মধ্যে নিজেকে মেলে ধরতে হবে। ব্যস ওটুকুই। আমি আমার অ্যাক্টরদেও বলেছিলাম যে চরিত্রগুলোর সঙ্গে তোমরা কানেক্ট করো। করে নিজেরা নিজেদের মতো পারফর্ম করো।’’
advertisement
সৌম্যজিৎ জানান, ‘‘অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল KLIKK-এর সঙ্গে আমার কোনও কাজ হবে। অবশেষে আমার প্রথম কাজটাই, প্রথম ছবি অল্প হলেও সত্যি KLIKK-এ আসছে। ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল প্রিমিয়ার হচ্ছে পঁচিশে জুন। আমি খুব খুশি, কারণ KLIKK এত ভাল একটা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, এত ভাল ভাল কন্টেন্ট ওরা প্রস্তুত করে। এত গুণী মানুষেরা কাজ করেন সেখানে। তাদের এত কাজ দেখি আমি। আর সেখানে আমি কাজ করতে পারছি, আমার কাজ থাকবে, আমার টিমের কাজ থাকবে। KLIKK-কে অশেষ ধন্যবাদ। অভয়জি, নীরজজি, সুমিতদা, রানাদাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি চাইব KLIKK আরও অনেক ভাল কাজ করুক। আমরাও যেন KLIKK-এ আরও কাজ করতে পারি।’’
advertisement
তিনি বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতা বলতে এটা আমার নিজের শ্যুট করা প্রথম ছবি। আমি যখন শ্যুট করছিলাম তখনও জানতাম না এটা সিনেমা হবে কি ওয়েব ফিল্ম হবে। তখন শ্যুট করছিলাম লকডাউনের জাস্ট শেষ হবে এরকম একটা পরিস্থিতিতে। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। বেরিয়ে কিছু একটা শ্যুট করতে পারছি এই আনন্দটা অনেক বেশি ছিল আর প্রচণ্ডভাবেই আমি এক্সাইটেড ছিলাম, আবার একটা কাজ করতে চলেছি, আর সেই কাজটা আমার প্রথম ছবি বা প্রথম বড় কাজ। তার একটা আলাদাই আনন্দ। এই ছবিতে যে চারজনেই আছে তারা আমার খুব ভাল বন্ধু। খুব কাছের বন্ধু। প্রযোজক অঙ্কিত আমার খুব কাছের, সুরেশজিও। তো, সব মিলিয়ে খুব ভাল অভিজ্ঞতা গোটা শ্যুটিং জুড়েই ছিল। পুরো প্রসেসটার মধ্যেই প্রচণ্ড আনন্দ ও ইমোশন জড়িয়ে ছিল।’’