Nora Fatehi: ‘আমি তখন ভারতে নতুন…’, বলিউডে ভুল লোকেদের খপ্পরে পড়ে কী হয়েছিল? এতদিনে জানালেন নোরা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Nora Fatehi admits she needed therapy: আউটসাইডার মানে বলিউডের বাইরের দুনিয়ার লোক। যাঁরা এই মায়াবী দুনিয়ার কাউকেই চেনেন না। জানেন না এখানকার রীতিনীতি। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পেতে চান। তাঁদের জন্য বলিউড কঠিন নয় কঠিনতম, এমনটাই বলছেন নোরা।
তিনি সুন্দরী। অভিনয়ে পারদর্শী। নাচেও দক্ষ। কিন্তু বলিউডের ‘আউটসাইডার’। মুম্বইয়ের ফিল্মি দুনিয়ায় একজন ‘আউটসাইডার’-কে কী কী সমস্যায় পড়তে হয়? কাজ পাওয়া তাঁর জন্য কতটা কঠিন? এই সব নিয়েই এবার মুখ খুললেন নোরা ফতেহি। আউটসাইডার মানে বলিউডের বাইরের দুনিয়ার লোক। যাঁরা এই মায়াবী দুনিয়ার কাউকেই চেনেন না। জানেন না এখানকার রীতিনীতি। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পেতে চান। তাঁদের জন্য বলিউড কঠিন নয় কঠিনতম, এমনটাই বলছেন নোরা।
advertisement
মেলবোর্নের ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফিস্টিভ্যালে রাজীব মাসান্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন অভিনেত্রী। জানান, কত বাধা পেরিয়ে আজ তিনি এখানে এসে দাঁড়িয়েছেন। কত অদ্ভুত মানুষের খপ্পরে পড়তে হয়েছে যারা তাঁকে শুধু ব্যবহারই করতে চেয়েছিল। এক পর্যায়ে মানসিকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।মাত্র ২২ বছর বয়সে কানাডা থেকে মুম্বই আসেন নোরা।
advertisement
দু’চোখে নামী অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন। শুরু হয় কাজের খোঁজ। নোরা বলছেন, “ভারতে তখন আমি একেবারে নতুন। কাউকেই চিনতাম না।” ভুল লোকেদের বিশ্বাস করেছেন। ঠকেছেন বারবার। অভিনেত্রীর কথায়, “পিছন ফিরে তাকালে আজ নিজেকেই প্রশ্ন করি, কীভাবে ওদের পাল্লায় পড়লাম? ওরা আমার থেকে কী চাইত? তখন অবশ্য মনে হত, এই লোকটাকে বোধহয় ঈশ্বরই পাঠিয়েছেন।”
advertisement
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন নোরা: অনেকেই নোরার সরলতাকে দূর্বলতা ভাবত। এসে বলত, বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। কিন্তু বদলে তাঁকে কিছু দিতে হবে। নোরা বলেন, “সব কথাবার্তার পর কিছু লোক বলত, এর বিনিময়ে আমি কী পাব? অনেক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও পড়েছি। সেখান থেকে একা লড়াই করে বেরনো ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা ছিল না।”
advertisement
একা যুবতীর কাছে অপরিচিত পরিবেশে উদ্ভট পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা এতদিন পরেও নোরার চোখেমুখে স্পষ্ট ফুটে উঠছিল। এর সঙ্গে রয়েছে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার চাপ। বারবার প্রত্যাখ্যান। সব মিলিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের দফারফা। নোরাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করত, “আপনি কি পরবর্তী ক্যাটরিনা কাইফ হতে চান?” এই প্রশ্নে অনুপ্রেরণা নয়, ভয় পেতেন নোরা। তাঁর মনে হত, স্বপ্ন সাকার করা কতটা কঠিন।
advertisement
নোরা বলছেন, “বারবার বলা হত, আমি যথেষ্ট ভাল নই, এটা শোনা খুব কঠিন, খুব ভয়ানক। মনে হত, আমি যা-ই করি না কেন, তা যথেষ্ট নয়।” বারবার প্রত্যাখ্যান, বারবার ‘না’ শুনতে শুনতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নোরা। শেষ পর্যন্ত থেরাপির সাহায্য নিতে হয়। তিনি বলেন, “সবসময় তুলনা করে বলা হত, যোগ্য নই, এটা একা সহ্য করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।” এখন নোরা সার বুঝেছেন।
advertisement
তিনি জানেন, নিজের মরিয়া ভাব প্রকাশ করা উচিত নয়। নোরা বলছেন, “যদি কেউ বুঝে যায়, এটা আপনি খুব করে চাইছেন, তাহলে সে তার সুযোগ নিতে পারে।” ধীরে ধীরে আশা-আকাঙ্ক্ষাকে লুকিয়ে রাখতে শিখে যান নোরা। বলতে শুরু করেন, অভিনয় করতে চাই। কিন্তু নাহলে স্কুলে ফিরে যাব। কোনও অসুবিধা নেই।” এটা তাঁকে খুব সাহায্য করেছে।