গ্ল্যামার দুনিয়া বেশ চাকচিক্যে পরিপূর্ণ। যে কেউই খ্যাতি, অর্থ আর নাম পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সেদিকেই ধাবিত হন। কিন্তু উপর থেকে আলো ঝলমলে দেখালেও অন্দরটা কিন্তু পুরোপুরি অন্ধকারে মোড়া। তাই সকলেই যে এই দুনিয়ার আলোটুকু পান, এমনটা নয়। বহু ছেলেমেয়েই খ্যাতির নেশায় তলিয়ে যান অন্ধকারের অতলে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রী নিশা নূরের ক্ষেত্রে। আজ তাঁর বেদনাদায়ক জীবনের গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
আসলে জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির চূড়ায় থাকাকালীন আচমকাই পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। ফলে পরিচালকরাও আর খ্যাতনামা অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে চাইছিলেন না। কাজ কমে আসতে থাকে। আর যার জেরে অর্থও কমে যেতে শুরু করে। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই দেহ ব্যবসা বা পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর সেখান থেকেই নিশার জীবনের খারাপ সময় শুরু হয়ে যায়।
শুধু যে আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল, তা নয়। এইডসের মতো ভয়ঙ্কর ব্যাধির কবলেও পড়েছিলেন অভিনেত্রী। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২০০৭ সালে নিশাকে এক দরগার বাইরে থেকে উদ্ধার করা হয়। কোটরগত চোখ, অস্থি-চর্মসার চেহারা দেখে ঠাহরই করা যাচ্ছিল না এক সময়ের ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রীকে। এমনকী, শেষ অবস্থায় তাঁর শরীরে পোকা ধরে গিয়েছিল বলেও দাবি করা হয় সংবাদমাধ্যমের কিছু রিপোর্টে। অবশেষে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল তাঁর সমস্ত কষ্টের অবসান ঘটে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিশা নূর।