নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এবং আলিয়া সিদ্দিকী। বারবার শিরোনাম দখল করছেন প্রাক্তন তারকা দম্পতি। বলিপাড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দাম্পত্য কলহ নিয়ে। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন নওয়াজ, একটি ভিডিও পোস্ট করে স্বামীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনেন আলিয়া। জানান, নিজের সন্তানদের কথাও চিন্তা করেননি অভিনেতা।
অভিনেতার দাবি, বাচ্চাদের স্কুল ফি, চিকিৎসা, ভ্রমণ এবং কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি ছাড়াও গত দু’বছর ধরে তিনি আলিয়াকে মাসে ১০ লক্ষ টাকা করে পাঠান। সন্তানদের সঙ্গে দুবাইতে গিয়ে থাকার আগে প্রতি মাসে ৫-৭ লাখ টাকা দিতে হত। এ ছাড়া আলিয়ার ৩টি ছবির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন তিনি। যাতে আলিয়ার টাকা রোজগার হয়।
নওয়াজ লিখলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য দামি গাড়ি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে সেগুলি বিক্রি করে নিজের জন্য অর্থ ব্যয় করেছে। আমি আমার সন্তানদের জন্য মুম্বইয়ের ভার্সোভাতে সমুদ্র পাড়ে বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছি। বাচ্চারা ছোট বলে আলিয়াকে ওই অ্যাপার্টমেন্টের আংশিক মালিকানা দেওয়া হয়। দুবাইতে তাদের জন্য একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করেছি।’
আলিয়া নাকি কেবল টাকা চায়। এর আগেও তিনি নওয়াজ এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেই তিনি চুপ করে গিয়েছিলেন, মামলা তুলে নিয়েছেন বলে দাবি নওয়াজের। দেশে এলেই তাঁর ছেলেমেয়ে ঠাকুমার কাছে থাকত, নওয়াজের প্রশ্ন, ‘কেউ কীভাবে বাচ্চাদের বের করে দিতে পারে? বাড়ি থেকে যদি বের করে দেওয়া হয়, তাহলে তার ভিডিও নেই কেন?’
নওয়াজের অভিযোগ, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য, আমার কেরিয়ার ধ্বংস করার জন্য এবং তার অবৈধ দাবি পূরণ করানোর জন্য এই সব করছে। এই গ্রহের কোনও অভিভাবক কখনওই চাইবেন না যে তাঁদের বাচ্চারা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হোক বা ভবিষ্যৎ নষ্ট হোক। আমি আজ যা উপার্জন করছি তা সবই আমার বাচ্চাদের জন্য।’
নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আলিয়ার অভিযোগ ছিল, দিনের পর দিন ভয়ানক অত্যাচার করতেন তাঁরা৷ এরই মধ্যে জানা যায়, মুম্বইয়ে একটি ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়েছিলেন নওয়াজ, ফাঁকা বাড়িতে সেই সময়ে ঢুকে পড়েছিলেন স্ত্রী৷ আলিয়ার দাবি, নওয়াজের বাড়িতে খাবার, বিছানার মতো সাধারণ জিনিসগুলিও দেওয়া হত না আলিয়াকে। শৌচাগারেও যেতে দেওয়া হত না। আলিয়ার সঙ্গে পুরুষ দেহরক্ষীকে রাখা হত। নওয়াজ-আলিয়ার ছেলের পিতৃপরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকী তাঁর উপর নজর রাখার জন্য সিসিটিভিও বসানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।