Indian Singer Life Story: সিনেমায় মাত্র দু'টি গান... তাতেই লতা-রফি-কিশোরের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি পারিশ্রমিক! পাকিস্তানে চলে যেতে হয় কিংবদন্তি শিল্পীকে, কে বলুন তো

Last Updated:
Singer Life Story: এক এক জন কিংবদন্তি শিল্পীর হাতে এক একটি গানের জন্য আসত মাত্র ২৫০-৩০০ টাকা। আজকের সময়ে এ আর রহমানের মতো নামজাদা শিল্পী গানপ্রতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারেন।
1/13
ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক সময়ে প্লেব্যাক গায়কদের বিশেষ পারিশ্রমিক দেওয়া হত না। এক এক জন কিংবদন্তি শিল্পীর হাতে এক একটি গানের জন্য আসত মাত্র ২৫০-৩০০ টাকা। আজকের সময়ে এ আর রহমানের মতো নামজাদা শিল্পী গানপ্রতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারেন।
ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক সময়ে প্লেব্যাক গায়কদের বিশেষ পারিশ্রমিক দেওয়া হত না। এক এক জন কিংবদন্তি শিল্পীর হাতে এক একটি গানের জন্য আসত মাত্র ২৫০-৩০০ টাকা। আজকের সময়ে এ আর রহমানের মতো নামজাদা শিল্পী গানপ্রতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারেন।
advertisement
2/13
কিন্তু সেই যুগে একটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির শিল্পীরা যথাযোগ্য পারিশ্রমিক পেতেন না। কথা হচ্ছে ৬০ বছর আগের। লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, এবং কিশোর কুমারের মতো শিল্পীরা এই পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন। এই তালিকায় আরও একজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু সেই যুগে একটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির শিল্পীরা যথাযোগ্য পারিশ্রমিক পেতেন না। কথা হচ্ছে ৬০ বছর আগের। লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, এবং কিশোর কুমারের মতো শিল্পীরা এই পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন। এই তালিকায় আরও একজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
advertisement
3/13
তিনি হলেন, উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান। ভারতের সবথেকে বেশি প্রশংসিত, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সেই সময়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করার ক্ষমতা রাখতেন। ১৯৫০-এর দশকে, পরিচালক কে আসিফ তার বিখ্যাত ছবি মুঘল-ই-আজম-এর কাজ করছিলেন।
তিনি হলেন, উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান। ভারতের সবথেকে বেশি প্রশংসিত, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সেই সময়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করার ক্ষমতা রাখতেন। ১৯৫০-এর দশকে, পরিচালক কে আসিফ তার বিখ্যাত ছবি মুঘল-ই-আজম-এর কাজ করছিলেন।
advertisement
4/13
ভারতের যে কাল্ট ছবির সাউন্ডট্র্যাকও কাল্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুরকার নওশাদকে ৩০০০ টাকা (আজকের দিনে যা প্রায় ৩ লক্ষ টাকা) দেওয়া হয়েছিল মোট ২০টি গান রচনা করার জন্য। সাউন্ডট্র্যাকটিতে তানসেনের চরিত্রে দু’টি ধ্রুপদী গান ছিল।
ভারতের যে কাল্ট ছবির সাউন্ডট্র্যাকও কাল্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুরকার নওশাদকে ৩০০০ টাকা (আজকের দিনে যা প্রায় ৩ লক্ষ টাকা) দেওয়া হয়েছিল মোট ২০টি গান রচনা করার জন্য। সাউন্ডট্র্যাকটিতে তানসেনের চরিত্রে দু’টি ধ্রুপদী গান ছিল।
advertisement
5/13
আসিফ এবং নওশাদ জানতেন যে তাঁদের গান গাওয়ানোর জন্য হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর দখল থাকা কণ্ঠের প্রয়োজন। নিয়মিত প্লেব্যাক গায়কদের কথা বিবেচনা না করে সোজা শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে যান।
আসিফ এবং নওশাদ জানতেন যে তাঁদের গান গাওয়ানোর জন্য হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর দখল থাকা কণ্ঠের প্রয়োজন। নিয়মিত প্লেব্যাক গায়কদের কথা বিবেচনা না করে সোজা শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে যান।
advertisement
6/13
কিন্তু শিল্পীর কাছে সিনেমার গানে প্লেব্যাক করাটা অপমানজনক বলে মনে হওয়ায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এদিকে নির্মাতারা জেদ ধরে বসেছিলেন। তাঁদের নিরুৎসাহিত করার জন্য উস্তাদ খান প্রতি গানের জন্য ২৫,০০০ টাকা পারিশ্রমিক হেঁকে বসেন।
কিন্তু শিল্পীর কাছে সিনেমার গানে প্লেব্যাক করাটা অপমানজনক বলে মনে হওয়ায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এদিকে নির্মাতারা জেদ ধরে বসেছিলেন। তাঁদের নিরুৎসাহিত করার জন্য উস্তাদ খান প্রতি গানের জন্য ২৫,০০০ টাকা পারিশ্রমিক হেঁকে বসেন।
advertisement
7/13
শিল্পী ভেবেছিলেন তাঁরা হতাশ হয়ে ফিরে যাবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, আসিফ শুধু রাজি হয়েছিলেন তা-ই নয়, তখনই সেখানে দাঁড়িয়ে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দিয়ে দিয়েছিলেন।
শিল্পী ভেবেছিলেন তাঁরা হতাশ হয়ে ফিরে যাবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, আসিফ শুধু রাজি হয়েছিলেন তা-ই নয়, তখনই সেখানে দাঁড়িয়ে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দিয়ে দিয়েছিলেন।
advertisement
8/13
এভাবেই উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান মুঘল-ই-আজম-এ মাত্র দু’টি গান গেয়ে সেই সময়ে ৫০,০০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। আজকের দিনে যা ৫০ লাখ টাকারও বেশি। এমনকি আজকের প্রথম সারির শিল্পী যেমন সুনিধি চৌহান এবং অরিজিৎ সিংও গানপ্রতি এত বেশি চার্জ করতে পারেন না।
এভাবেই উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান মুঘল-ই-আজম-এ মাত্র দু’টি গান গেয়ে সেই সময়ে ৫০,০০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। আজকের দিনে যা ৫০ লাখ টাকারও বেশি। এমনকি আজকের প্রথম সারির শিল্পী যেমন সুনিধি চৌহান এবং অরিজিৎ সিংও গানপ্রতি এত বেশি চার্জ করতে পারেন না।
advertisement
9/13
প্রকৃতপক্ষে, সেই দিনগুলিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা মহম্মদ রফি এবং লতা মঙ্গেশকরও প্রতি গানের জন্য ২৫০-৩০০ টাকা নিতেন বলে শোনা গিয়েছে। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান তার প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করেছিলেন, যা আজও অকল্পনীয়।
প্রকৃতপক্ষে, সেই দিনগুলিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা মহম্মদ রফি এবং লতা মঙ্গেশকরও প্রতি গানের জন্য ২৫০-৩০০ টাকা নিতেন বলে শোনা গিয়েছে। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান তার প্রায় ১০০ গুণ বেশি চার্জ করেছিলেন, যা আজও অকল্পনীয়।
advertisement
10/13
উস্তাদ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কাসুর ঘরানার সঙ্গীতশিল্পীর পরিবারে জন্ম নেন ১৯০২ সালে। অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবই তাঁর জন্মস্থান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাঁর জন্মস্থান কাসুর পাকিস্তানে পড়ে এবং কণ্ঠশিল্পী সেখানে চলে আসেন।
উস্তাদ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কাসুর ঘরানার সঙ্গীতশিল্পীর পরিবারে জন্ম নেন ১৯০২ সালে। অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবই তাঁর জন্মস্থান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাঁর জন্মস্থান কাসুর পাকিস্তানে পড়ে এবং কণ্ঠশিল্পী সেখানে চলে আসেন।
advertisement
11/13
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
advertisement
12/13
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
তবে তিনি ভারতে থাকতে চেয়েছিলেন বলে এক দশক পরে এদেশে ফিরে আসেন। মুম্বইয়ের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং সেই শহরে বাড়িও কিনেছিলেন। তিনি পরে কলকাতায় এবং শেষে হায়দরাবাদে বাকি জীবনটা কাটান।
advertisement
13/13
১৯৬৮ সালে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান উস্তাদ। ভারত সরকার ২০০৩ সালে তাঁর স্মরণে একটি ডাকটিকিটও জারি করে। আজ জানা যায়, তাঁর প্রতিভা কেবল গানের জগতেই ছিল না, তিনি রাঁধতেন ভাল. মানুষের নকলও করতেন দারুণ।
১৯৬৮ সালে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান উস্তাদ। ভারত সরকার ২০০৩ সালে তাঁর স্মরণে একটি ডাকটিকিটও জারি করে। আজ জানা যায়, তাঁর প্রতিভা কেবল গানের জগতেই ছিল না, তিনি রাঁধতেন ভাল. মানুষের নকলও করতেন দারুণ।
advertisement
advertisement
advertisement