Mithun Chakraborty SuperHit Film: রোম্যান্টিক হিরো মিঠুন, বলিউড ছবি তৈরির পর ২ বছর কেউ পাত্তা দেয়নি, মুক্তি পেতেই বিরাট সাফল্য, ৭৫ সপ্তাহ ব্লকবাস্টার

প্রায় ৪০ বছর আগে, একটি ছবি সুপার হিট হয়েছিল। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পেতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়। শ্যুটিং হওয়ার প্রায় ২ বছর আটকে ছিল সিনেমাটি। কোনওভাবে ছবিটি সিনেমা হল পর্যন্ত পৌঁছয় এবং তারপর বাকিটা ইতিহাস৷ বক্স অফিসে বিরাট সাফল্য অর্জন করে। আমরা যে সিনেমার কথা বলছি তার নাম 'পেয়ার ঝুকতা নেহি'।

১৯৮৫ সালে মুক্তি পায় পারিবারিক ছবি 'পেয়ার ঝুকতা নহি'। এতে মিঠুন চক্রবর্তী মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং তাঁর নায়িকা ছিলেন পদ্মিনী কোলহাপুরে। তিনি ছাড়াও ড্যানি, বিন্দু দেশাই, মাস্টার ভিকি, মধু মালিনী, বিকাশ আনন্দ এবং আরও অনেক তারকা এতে কাজ করেছিলেন। (ছবি সৌজন্যে: IMDb)

এটি ছিল মিঠুন চক্রবর্তী এবং পদ্মিম কোলাপুরের জুটিতে প্রথম ছবি। মজার ব্যাপার হল, মিঠুন চক্রবর্তী এই ছবিতে একটি রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যেখানে সেই সময়ে তিনি অ্যাকশন এবং নাচের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। এই কারণেই ছবিটি প্রস্তুত হলেও, ডিস্ট্রিবিউটাররা এটি কিনতে প্রস্তুত ছিলেন না। (ছবি সৌজন্যে: IMDb)

আইএমডিবি-র প্রতিবেদন অনুসারে, 'পেয়ার ঝুকতা নহি' ছবিটি ১৯৮৩ সালে তৈরি হয়েছিল, কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তী এতে ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার কারণে এটি দুই বছর ধরে ডিস্ট্রিবিউটার খুঁজে পায়নি। (ছবি সৌজন্যে: IMDb)

এর পর প্রযোজক কেসি বোকাদিয়া একটি বড় সিদ্ধান্ত নেন। ক্লান্ত হয়ে তিনি নিজেই ১৯৮৫ সালে এই ছবিটি মুক্তি দেন। ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রেক্ষাগৃহের বাইরে প্রচুর ভিড় জমে যায় এবং ছবিটি বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য লাভ করে। (ছবি সৌজন্যে: IMDb)

'পেয়ার ঝুকতা নহি'-এর সাফল্যের সঙ্গে, কেসি বোকাদিয়া রাতারাতি শীর্ষ প্রযোজক এবং বিজয় সাদানা শীর্ষ পরিচালক হয়ে ওঠেন। মিঠুন চক্রবর্তী এবং পদ্মিনী কোলহাপুরের রসায়ন রূপালি পর্দায় দারুণ ছিল। লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের সঙ্গীত মানুষের মন জয় করেছিল। (ছবি সৌজন্যে: IMDb)

আসলে, মিঠুন চক্রবর্তী এবং পদ্মিনী কোলহাপুরের 'পেয়ার ঝুকতা নহি' ছিল পাকিস্তানি ছবি 'আয়না'-এর রিমেক এবং এর পরে অনেক হিন্দি ছবি পাকিস্তানি ছবি থেকে নকল করা হয়েছিল। আপনি জেনে অবাক হবেন যে 'পেয়ার ঝুকতা নহি' ৭৫ সপ্তাহ ধরে প্রেক্ষাগৃহে চলেছিল। (ছবি সৌজন্যে: IMDb)

'পেয়ার ঝুকতা নহি'-এর জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন না মিঠুন চক্রবর্তী। এই সিনেমাটি প্রথমে ঋষি কাপুরকে অফার করা হয়েছিল, কিন্তু কোনও কারণে তিনি ছবিটির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এর পরে ছবিটি মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে যায় এবং তিনি এটি করতে রাজি হন। (ছবি সৌজন্যে: IMDb)