মনোজ কুমারের মৃত্যুর কারণ কী? কীভাবে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়াণ ‘ভারত কুমার’?

Last Updated:
Manoj Kumar Death Reason: বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শুক্রবার সকালে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
1/6
বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শুক্রবার সকালে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মনোজ কুমারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।
বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শুক্রবার সকালে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মনোজ কুমারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।
advertisement
2/6
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মনোজ কুমারের মৃত্যুর কারণ সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক। জানা গেছে, তিনি তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction)-এর কারণে কার্ডিওজেনিক শকে (Cardiogenic Shock) আক্রান্ত হন, যা তাঁর মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে থেকেই তিনি ডিকম্পেনসেটেড লিভার সিরোসিস (Decompensated Liver Cirrhosis)-এ ভুগছিলেন, যার ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মনোজ কুমারের মৃত্যুর কারণ সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাক। জানা গেছে, তিনি তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction)-এর কারণে কার্ডিওজেনিক শকে (Cardiogenic Shock) আক্রান্ত হন, যা তাঁর মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে থেকেই তিনি ডিকম্পেনসেটেড লিভার সিরোসিস (Decompensated Liver Cirrhosis)-এ ভুগছিলেন, যার ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটে।
advertisement
3/6
অভিনেতার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র কুণাল গোস্বামী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, মনোজ কুমার দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে শান্তিতেই পরলোকগমন করেছেন। তিনি বলেন, “অনেক দিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ঈশ্বরের কৃপায় তিনি শান্তিপূর্ণভাবেই বিদায় নিয়েছেন।
অভিনেতার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র কুণাল গোস্বামী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, মনোজ কুমার দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে শান্তিতেই পরলোকগমন করেছেন। তিনি বলেন, “অনেক দিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ঈশ্বরের কৃপায় তিনি শান্তিপূর্ণভাবেই বিদায় নিয়েছেন।
advertisement
4/6
মনোজ কুমারের আসল নাম হরিকৃষ্ণ গিরি গোস্বামী। ১৯৩৭ সালের ২৪ জুলাই পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে জন্ম। দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার দিল্লিতে চলে আসে। শরণার্থী শিবিরে থাকতে হয়েছিল বেশ কিছুদিন। মাত্র ১০ বছর বয়সে দেশভাগের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করা এই শিশু যে একদিন ভারতের সবচেয়ে দেশপ্রেমী নায়ক হয়ে উঠবেন, তা ভাবতে পারেননি কেউই! ১৯৪৯ সালে তিনি নিজের নাম বদলে 'মনোজ কুমার' রাখেন। সেই সময়ে বলিউডে এমনটাই ছিল রীতি।
মনোজ কুমারের আসল নাম হরিকৃষ্ণ গিরি গোস্বামী। ১৯৩৭ সালের ২৪ জুলাই পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে জন্ম। দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার দিল্লিতে চলে আসে। শরণার্থী শিবিরে থাকতে হয়েছিল বেশ কিছুদিন। মাত্র ১০ বছর বয়সে দেশভাগের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করা এই শিশু যে একদিন ভারতের সবচেয়ে দেশপ্রেমী নায়ক হয়ে উঠবেন, তা ভাবতে পারেননি কেউই! ১৯৪৯ সালে তিনি নিজের নাম বদলে 'মনোজ কুমার' রাখেন। সেই সময়ে বলিউডে এমনটাই ছিল রীতি।
advertisement
5/6
মনোজ কুমারের ছবি মানেই দেশ আর দেশপ্রেম। তাঁর জনপ্রিয় সিনেমাগুলির মধ্যে রয়েছে ‘শহিদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘পুরব অউর পশ্চিম’ (১৯৭০), ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’ (১৯৭৪)। প্রতিটি ছবিতেই পরম মমতায় দেশের কথা বলেছেন। এই কারণে বলিউডে তাঁকে ‘ভারত কুমার’ নামেও ডাকা হয়। তাঁর “মেরে দেশ কি ধরতি” বা "ভারত কা রহনে ওয়ালা হুঁ, ভারত কি বাত সুনাতা হুঁ..." গান আজও দেশবাসীর মুখে মুখে ফেরে।
মনোজ কুমারের ছবি মানেই দেশ আর দেশপ্রেম। তাঁর জনপ্রিয় সিনেমাগুলির মধ্যে রয়েছে ‘শহিদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘পুরব অউর পশ্চিম’ (১৯৭০), ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’ (১৯৭৪)। প্রতিটি ছবিতেই পরম মমতায় দেশের কথা বলেছেন। এই কারণে বলিউডে তাঁকে ‘ভারত কুমার’ নামেও ডাকা হয়। তাঁর “মেরে দেশ কি ধরতি” বা "ভারত কা রহনে ওয়ালা হুঁ, ভারত কি বাত সুনাতা হুঁ..." গান আজও দেশবাসীর মুখে মুখে ফেরে।
advertisement
6/6
তবে শুধু অভিনেতা নন, সফল পরিচালকও ছিলেন মনোজ কুমার। তাঁর পরিচালিত আরও কিছু জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘হরিয়ালি অউর রাস্তা’, ‘ওহ কৌন থি’, ‘হিমালয় কি গোধ মে’, ‘দো বাদান’, ‘পত্থর কে সনম’, ‘নীলকমল’ ও ‘ক্রান্তি’। অভিনয় জগতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। শনিবার ৫ এপ্রিল মনোজ কুমারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
তবে শুধু অভিনেতা নন, সফল পরিচালকও ছিলেন মনোজ কুমার। তাঁর পরিচালিত আরও কিছু জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘হরিয়ালি অউর রাস্তা’, ‘ওহ কৌন থি’, ‘হিমালয় কি গোধ মে’, ‘দো বাদান’, ‘পত্থর কে সনম’, ‘নীলকমল’ ও ‘ক্রান্তি’। অভিনয় জগতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। শনিবার ৫ এপ্রিল মনোজ কুমারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
advertisement
advertisement
advertisement